নির্বাণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
TXiKiBoT (আলোচনা | অবদান)
r2.7.2) (বট যোগ করছে: eu:Nirvana
Ripchip Bot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.1) (বট পরিবর্তন করছে: tr:Nirvana
৮০ নং লাইন: ৮০ নং লাইন:
[[th:นิพพาน]]
[[th:นิพพาน]]
[[tl:Nirvana]]
[[tl:Nirvana]]
[[tr:Nirvana (Budizm)]]
[[tr:Nirvana]]
[[uk:Нірвана]]
[[uk:Нірвана]]
[[ur:نروان]]
[[ur:نروان]]

০১:০৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নির্বাণ হলো বৌদ্ধ ধর্ম মতানুসারে সাধনার চরম পরিণতি বা পরম প্রাপ্তি।[১] দীর্ঘ সময় সাধণার পরেই কেবল এমন স্তরে পৌঁছানো যায়। বৌদ্ধমতানুসারে নির্বাণ হলো মোক্ষলাভের শর্ত।[২]


সংজ্ঞা

'নি' উপসর্গের সাথে 'বাণ' শব্দের সমন্বয়ে নির্বাণ। 'নি' অর্থে নেই এবং 'বাণ' অর্থে তীর বা বন্ধন(তৃষ্ণা); যেখানে বন্ধন বা তৃষ্ণা নেই- তা-ই নির্বাণ ।[১]

বিশ্লেষণ

নির্বাণ অব্যক্ত, অনির্বচনীয়, তৃষ্ণার বিনাশই নির্বাণ। নির্বাণ সেই অবস্থা যেখানে জন্ম নেই, জরা নেই, ব্যাধি নেই, মৃত্যু নেই, শোক নেই, মনস্তাপ নেই, হতাশা নেই, এমনকি যেখানে পৃথিবী, জল, তেজ, বায়ু নেই। চন্দ্র-সূর্য গ্রহ নক্ষত্র-এর সংস্থান নেই, অথচ অন্ধকারও নেই। যেখানে সংসার স্রোতের গতি রুদ্ধ হয়েছে, সেই পরম অবস্থা কে নির্বাণ বলে।[১]

প্রকারভেদ

নির্বাণ দুই প্রকার । ১) সোপাদিশেষ নির্বাণ ২) অনুপাদিশেষ বা নিরুপাদিশেষ নির্বাণ।
সোপাদিশেষ নির্বাণ- পঞ্চস্কন্ধের বিদ্যমানতায় যদি সর্ববিধ তৃষ্ণার অবসান হয়ে কেউ স্থিতভাবে অবস্থান করে তবে সে অবস্থাকে সোপাদিশেষ নির্বাণ বলে।
অনুপাদিশেষ বা নিরুপাদিশেষ নির্বাণ - সোপাদিশেষ নির্বাণ এর পরবর্তিতে যখন পঞ্চস্কন্দের অবসান হয় তখন অনুপাদিশেষ বা নিরুপাদিশেষ নির্বাণ বলে।
উদাহারণস্বরুপ - গৌতম বুদ্ধ ৩৫ বছর বয়সে সকল প্রকার তৃষ্ণার নিবৃত্তি করে যে সম্বোধিতে উদ্ভাসিত হয়েছিলেন সেটি ছিল সোপাদিশেষ নির্বাণ
৮০ বছর বয়সে কুশিনগর এ তিনি যখন তার পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী ইহ জগত ত্যাগ করে মহাপরিনির্বাণ লাভের মাধ্যমে নামরুপ সমুহের ও সক্রিয়তার অবসান ঘটান সেটি হলো অনুপাদিশেষ বা নিরুপাদিশেষ নির্বাণ বলে। [৩]

তথ্যসূত্র

  1. ত্রিপিটক- মূল গ্রন্থের অনুবাদ থেকে গৃহীত, অনুবাদক: সুদর্শন বড়ুয়া, পৃষ্ঠা ২০০, প্রকাশকাল: ১৯৯৯।
  2. নির্বাণ- বৌদ্ধ দর্শন ও ধর্ম - স্বামী বিদ্যারণ্য, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্থক পরিষদ , ভারত, পৃষ্ঠা ১৬৩, প্রকাশকাল: মার্চ ১৯৮৪।
  3. DR. Shukomal Barua and Suman Kanti Barua - ত্রিপিটক পরিচিতি , Page 104, Chapter - Tripitok History. Bangla Academy December 2000