প্রত্যভিজ্ঞা
প্রত্যবিজ্ঞা[১] (সংস্কৃত: प्रत्यभिज्ञा) বা প্রতিবিজ্ঞা হল কাশ্মীর শৈবধর্মের আদর্শবাদী, অদ্বৈতবাদী ও আস্তিক দর্শনের দর্শন যা নবম শতাব্দীতে উদ্ভূত হয়েছিল। ত্রিকা শব্দটি অভিনবগুপ্ত সমগ্র কাশ্মীর শৈবধর্মের প্রতিনিধিত্ব করতে বা প্রত্যবিজ্ঞা ব্যবস্থাকে মনোনীত করতে ব্যবহার করেছিলেন।[২]
নামটি উৎপলদেবের সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা, ঈশ্বর-প্রতিবিজ্ঞা-কারিকা থেকে নেওয়া হয়েছে।[৩]:২৫৪ ব্যুৎপত্তিগতভাবে, "প্রতিবিজ্ঞা" এর অর্থ হল "নিজের সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান", "স্বীকৃতি।"[৪]:১১৭
এই দর্শনের কেন্দ্রীয় থিসিস হল যে সবকিছুই হল পরম চেতনা, যাকে শিব বলা হয় এবং এই মৌলিক বাস্তবতাকে "পুনরায় উপলব্ধি করা" এবং শিবের সাথে চিহ্নিত ও আনন্দে নিমজ্জিত সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।[৫] এইভাবে, দাস (পাসু: মানব অবস্থা) বেড়ি (পাশ) ঝেড়ে ফেলে এবং প্রভু হয় (পতি: ঐশ্বরিক অবস্থা)।[৩]:২৫৪
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Lalla, the prophetess (১৯২৪)। The Word of Lalla the Prophetess, being the Sayings of Lal Ded or Lal Diddi of Kashmir (ইংরেজি ভাষায়)। CUP Archive।
- ↑ Carl Olson, The Many Colors of Hinduism, Rutgers University Press, 2007, page 237
- ↑ ক খ S. Kapoor। The Philosophy of Saivism। 1।
- ↑ Jaideva Singh (১৯৮২)। Pratyabhijñāhrdayam। আইএসবিএন 8120803221।
- ↑ The Yoga of Kashmir Shaivism – S.Shankarananda, p. 45