নৈতিকতার বিবর্তন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নৈতিকতার বিবর্তন মানব বিবর্তনের ফলে মানুষের নৈতিকতার উদ্ভবকে ব্যাখ্যা করে। নৈতিকতাকে সংজ্ঞায়িত করা হয় এভাবে যে, এটা এমন একটা পদ্ধতিগত ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে নির্ধারণ করা যায় কোনটা সঠিক আর কোনটা অন্যায় আচরণ। অন্যান্য জীবে সামাজিক এই নৈতিকতা সবসময় গুরুত্ববহন না করলেও, প্রাত্যহিক জীবনে মানুষের আচার-আচরণের সাথে এর গভীর সংযোগ আছে। বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান এবং সমাজতাত্ত্বিক জীববিজ্ঞান যদিও এর সাথে একমত নয়। তাদের মতে যদিও মানুষের সামাজিক আচরণ জটিল, তথাপি এধরনের অনেক আচরণ এখন অনেক সামাজিক প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়। সমাজতাত্ত্বিক জীববিজ্ঞানের (sociobiology) মানবসমাজের আচরণ নিয়ে যে ব্যাখা, তা অবশ্য এখনো বিতর্কিত। সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে নৈতিকতা এক প্রকার গঠনমুলক আচরণ, যার সাথে সংস্কৃতির গভীর সংযোগ রয়েছে। কিন্তু কারো কারো মতে নৈতিকতার সাথেও বিজ্ঞানের সংযোগ রয়েছে, যার ফলে নৈতিকতাকেও বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারে।

প্রাণীর সামাজিকতা[সম্পাদনা]

যদিও অন্যান্য প্রাণী কোনো নৈতিক আচরণ অনুসরণ করে না, কিন্তু সকল সামাজিক প্রাণীকে দলবদ্ধভাবে বাস করতে হলে প্রয়োজনের খাতিরে নিজের আচরণ গত পরিবর্তন সাধন করতে হয়। আচরগত পরিবর্তনের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ খুজে পাওয়া যায় পিপড়া, মৌমাছি এবং উইপোকার সমাজে। পিঁপড়ার যে কলোনী সেখানে মিলিয়ন সংখ্যক অধিবাসীর মধ্যে প্রত্যেকে প্রত্যেকের দায়িত্ব পালন করে। ই.ও. উইলসন এ ক্ষেত্রে বলতে গিয়ে বলেন, সেখানকার বন্ধ্যা কর্মীদের প্রত্যেকের স্বতন্ত্র পরিশ্রমের ফলে পিঁপড়ার কলোনী সফলতার মুখ দেখে। এই মহিলা কর্মীদের জাত তাদের রাণীর প্রয়োজন পূরণ করতে সদা তৎপর। এমনকি তারা তাদের ভাই-বোনদের বড় করার জন্য নিজেদের প্রজনন ক্ষমতা পর্যন্ত নষ্ট করে ফেলে। এই সব সামাজিক প্রাণীর মধ্যে রাণী ব্যতীত বাকি নারী সদস্যরা সন্তান জন্মদানের প্রতিযোগিতায় নিজেদের বন্ধ্যা করে প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে পড়ে এবং কলোনীর ভিতরে থেকে কলোনীর ছোট সদস্যদের প্রতিপালন করার সহযোগিতামুলক কর্মে অংশ নেয়। এই আত্মত্যাগ এবং সহযোগিতা পিঁপড়ার জন্য অত্যাবশ্যকীয়, কারণ একটি একাকী পিঁপড়ার টিকে থাকা এবং বংশবৃদ্ধি করা অসম্ভব ব্যাপার। দলের অংশ হিসেবে পিপড়ার কলোনীগুলো দশ বছরের অধিক সময় ধরে টিকে থাকে। একারণেই এ গ্রহে পিপড়ার পরিবার অন্যান্য প্রজাতির পরিবারের তুলনায় সবচেয়ে সফল পরিবার গুলোর একটি বলে ধরা হয়।[১][২]   দলবদ্ধভাবে যে সব প্রাণী বেচে থাকে, তাদের এভাবে জীবন নির্বাহ করার প্রধান কারণ হলোঃ একাকি বাস করার চেয়ে গ্রুপ বা দলগতভাবে বাস করলে; টিকে থাকা এবং সফলভাবে প্রজনন করার জন্য চমৎকার সুযোগ পাওয়া যায়। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আচরণ, মানুষের স্বভাবগত আচরণের কাছাকাছি। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধে যারা উপরের স্তরে যেমনঃ প্রাইমেট, হাতি- সমানুভুতিনি:স্বার্থপরতার মত বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, একসময় যদিও মনে করা হত এ বৈশিষ্ট্যগুলো মানুষের একচেটিয়া অধিকারাধীন।[৩][৪]

 প্রাইমেট সামাজিকতা (Primate sociality)[সম্পাদনা]

মানবজাতির নিকট আত্মীয়রা হল সাধারণ শিম্পাঞ্জি এবং বনবো। এই প্রাইমেট ও মানুষের একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ রয়েছে যারা চার থেকে ছয় মিলিয়ন বছর পূর্বে পৃথিবীতে বাস করত। আর একারণেই আমাদের সেই পূর্বপুরুষ সম্পর্কে জানার জন্য শিম্পাঞ্জি এবং বনোবোকেই বর্তমানে সবচেয়ে উপযোগী প্রতিনিধি বলে মনে করা হয়। বারবারা কিং যুক্তি দেখান, মানুষের চোখে প্রাইমেটদের কাছে নৈতিকতা না থাকলেও, তারা কিছু বৈশিষ্ট্য দেখায় যা নৈতিকতার বিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ বুদ্ধিমত্তা, সাংকেতিক যোগাযোগের ক্ষমতা, সামাজিক প্রথা সংক্রান্ত অনুভূতি, আত্ম (self) সম্পর্কিত বোধ, এবং ধারাবাহিকতা সম্পর্কিত ধারণা।[৫][৬][৭] ফ্রান্স ডে ওয়াল এবং বারবারা কিং উভয়ই মানব নৈতিকতাকে প্রাইমেট সামাজিকতার উন্নত রূপ বলে মনে করেন। অনেক সামাজিক প্রাণী যেমন প্রাইমেট, ডলফিন এবং তিমি অনেক বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে যেগুলোকে মাইকেল শারমার "প্রিমোরাল সেন্টিমেন্ট" বা "প্রাকনৈতিক অনুভূতি" হিসেবে অভিহিত করেছেন। শারমারের মতে, নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো একই সাথে মানুষ এবং অন্যান্য সামাজিক প্রাণীসমূহের মধ্যে দেখা যায়, বিশেষ করে গ্রেট এপদের মাঝে:

আসক্তি এবং বন্ধন (attachment and bonding), সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সহায়তা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া (direct and indirect reciprocity), পরার্থপরতা এবং পারষ্পরিক পরার্থপরতা, সংঘাতের সমাধান এবং শান্তিস্থাপন (conflict resolution and peacemaking), প্রতারণা এবং প্রতারণা সনাক্তকরণ, সমাজ নিয়ে সচেতনতা এবং অন্যেরা নিজের সম্পর্কে কি ভাবছে তা নিয়ে ভাবা, গোষ্ঠীর সামাজিক নিয়ম সংক্রান্ত সচেতনতা এবং সাড়াদান।[৮]

শারমার বলেন, এই প্রাকনৈতিক অনুভূতিগুলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বার্থপরতার প্রতিরোধ এবং আরও বেশি সহযোগিতামূলক সমাজ গঠন করার জন্য প্রাইমেট সমাজে বিবর্তিত হয়েছে। যেকোন সামাজিক প্রজাতির জন্যই একটি পরার্থপর সমাজের সদস্য হবার উপকারিতা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদিতার (individualism) উপকারিতাকে ছাড়িয়ে যায়। যেমন, সামাজিক সংশক্তির (Group cohesiveness) অভাবে একজন সদস্যের উপর আক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। কোন দলের সদস্য হলে খাদ্য প্রাপ্তির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। যেসব প্রাণীকে বিশাল এবং বিপজ্জনক শিকারকে শিকার করার জন্য দল বেঁধে শিকার করতে হয় তাদের মধ্যে দলবদ্ধ থাকার উপকারিতা সুস্পষ্ট বোঝা যায়।

সকল সামাজিক প্রাণীরই ক্রমোচ্চ শ্রেণীবিভাগযুক্ত সমাজ থাকে যেখানে প্রত্যেকটি সদস্য তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানে। কিছু আশাতীত আচরণের কিছু নিয়মের মধ্য দিয়ে সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষিত হয় এবং দলের প্রভাবশালী সদস্যগণ শাস্তির মাধ্যমে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে। উচ্চ-স্থানের প্রাইমেট প্রজাতির মধ্যে পারষ্পরিকতার (reciprocity) অনুভূতিও দেখা যায়। একটি শিম্পাঞ্জি মনে রাখতে পারে যে কে তাকে সহায়তা করেছে এবং কে তার ক্ষতি করেছে। যেমন, শিম্পাঞ্জিদের বেলায় পূর্বে কেউ আদর করলে তার সাথে খাদ্য ভাগাভাগি করে নেয়ার ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়।[৯] রক্তচোষা বাঁদুড়ের (Vampire bat) মধ্যেও পরার্থপরতা ও পারষ্পারিকতার উদাহরণ দেখা যায়। পুনঃনিঃসরণ প্রক্রিয়ায় (regurgitation) তাদেরকে রক্ত প্রদান করতে দেখা যায়, কিন্তু এটা তারা যদৃচ্ছভাবে (randomly) করে না। তারা তাদেরকেই রক্ত প্রদান করে যারা পূর্বে তাদেরকে রক্তপ্রদান করেছিল বা যাদেরকে রক্তদান করা খুবই জরুরি।[১০]

মানুষের সামাজিক বিবর্তন[১১]
কাল (কত বছর পূর্বে) সমাজের ধরন সমাজে সদস্য সংখ্যা
৬,০০০,০০০ দল (Bands) 10s
১০০,০০০-১০,০০০ দল (Bands) 10s–100s
১০,০০০-৫,০০০ গোষ্ঠী (Tribes) 100s–1,000s
৫,০০০-৪,০০০ চিফডম (Chiefdoms) 1,000s–10,000s
৪,০০০-৩,০০০ রাষ্ট্র (States) 10,000s–100,000s
৩,০০০- বর্তমান সাম্রাজ্য (Empires) 100,000–1,000,000s

কাপুচিন বানর[১২] ও কুকুরের[১৩] মত প্রাণীদের মাঝেও ন্যায্যতাবোধের একটি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। যদি একই অবস্থায় পড়লে সমান সাহায্যপ্রাপ্তির সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে এরা সাহায্য করে না।

শিম্পাঞ্জি সম্মিলন-বিভাজন সমাজে (fission-fusion group) বাস করে যেখানে গড়ে ৫০ জন সদস্য থাকে। সম্মিলন-বিভাজন সমাজ বলতে সেই ধরনের সমাজ বোঝানো হয় যেখানে সদস্যগণ কোনকোন সময় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয় (যেমন দিনে খাদ্য সংগ্রহ বা শিকার ধরার জন্য) এবং কখনও আবার ছোট ছোট দলগুলো একত্রে মিলিত হয় (যেমন রাতে ঘুমানোর সময়)। এরকম হবার সম্ভাবনাই বেশি যে, মানুষের প্রাথমিক পূর্বপুরুষগণ ছোট আকারের দলে বাস করত। বর্তমান শিকারি-সংগ্রাহক (hunter gatherer) সমাজগুলোর আকারের ভিত্তিতে বলা যায়, আমাদের নিকট অতীতের প্রস্তরযুগীয় হোমিনিডরাও (paleolithic hominids) কয়েক শত মানুষের দলে বাস করত। মানব বিবর্তনের পথে সমাজের আকার বড় হতে থাকলে সামাজিক সংশক্তি অর্জনের জন্য অধিক শাসনের প্রয়োজন দেখা যায়। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ (social control), সংঘাত সমাধান (conflict resolution) এবং দলীয় সংহতির (group solidarity) উপায় হিসেবে এই ১০০ থেকে ২০০ জনের বন্ধনাবদ্ধ সমাজেই নৈতিকতা বিবর্তিত হয়ে থাকতে পারে। ১০০-২০০ জনের এই সাংখ্যিক সীমাবদ্ধতা আমাদের আমাদের জিনেই সুস্পষ্টভাবে লিখিত। আধুনিক মানুষের বেলাতেও ১০০ থেকে ২০০ জনের বেশি মানুষের সাথে সামাজিক সম্পর্ক রক্ষার বেলায় সমস্যা দেখা যায়। এই সামাজিক সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে এই সাংখ্যিক সীমাবদ্ধতাকে ডানবারের সংখ্যা বলা হয়। ডঃ ডে ওয়ালের মতে, মানব নৈতিকতায় দুটো অতিরিক্ত মাত্রার পরিশীলন বা অগ্রগতি দেখা যায়, যা অন্যান্য প্রাইমেট সমাজে পাওয়া যায় না। মানুষেরা সমাজে তাদের নৈতিক নীতিসমূহকে পুরস্কার, শাস্তি এবং মর্যাদা উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত করে অধিক অক্ষরে অক্ষরে বা অধিক বাধ্যতামূলকভাবে প্রয়োগ করে। এছাড়াও মানুষ অধিক মাত্রায় বিচার ও যুক্তির প্রয়োগ করে যা প্রাণীজগতের অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।

শাস্তি সমস্যা (The punishment problems)[সম্পাদনা]

While groups may benefit from avoiding certain behaviors, those harmful behaviors have the same effect regardless of whether the offending individuals are aware of them or not.[১৪] Since the individuals themselves can increase their reproductive success by doing many of them, any characteristics that entail impunity are positively selected by evolution.[১৫] Specifically punishing individuals aware of their breach of rules would select against the ability to be aware of it, precluding any coevolution of both conscious choice and a sense of it being the basis for moral and penal liability in the same species.[১৬]

মানষের সামাজিক বুদ্ধিমত্তা (Human social intelligence)[সম্পাদনা]

The Social rain Hypothesis and Its Implications for Social Evolution নামক আর্টিকেলে রবিন ডানবার ডানবারের সংখ্যা নামক হাইপোথিসিসের প্রবর্তন করেন। যেখানে তিনি বলেন,মস্তিষ্ক বাস্তব তথ্যকে প্রক্রিয়াজাত(বিশ্লষণ) করতেই বিবর্তিত হয়েছে এবং তার এ হাইপোথিস একে সমর্থন করে। মস্তিষ্ক প্রত্যেককে প্যাটর্ন শনাক্ত করতে, কথাকে/বক্তব্যকে হৃদয়ঙ্গম করতে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি যেমন: খাদ্যকে কতভাবে সংরক্ষণ করা যায়, তার কৌশল দফায় দফায় উন্নয়ন ঘটানোর জন্য মস্তিষ্কের পরিবর্তন ঘটেছে। বিশাল সাইজের মস্তিষ্ক থাকার কারণে মানুষ জটিল পরিস্থিতিকে বুঝতে সক্ষম। এটা বলা হয়, মানুষ এবং প্রাইমেটের নিউরোকর্টেক্সই; কারণ এবং সচেতনতাকে (consciousness) বুঝার জন্য দায়ী। বিভিন্ন সামাজিক প্রাণীতে সমাজভিত্তিক দর্শন বুঝার জন্য নিউরোকর্টেক্সের আকার বৃদ্ধি হয়। সসামাজিক প্রাণী যেমনঃ মানুষ দুইটি বিষয় বুঝতে সক্ষম, যথাঃ ১) দলবদ্ধভাবে বাস করা বা দল গঠন করার বিষয় ২) কৌশলগতভাবে প্রতারিত হওয়া, যেখানে দেখা যায় মিথ্যা বিশ্বাসকে আকড়ে থাকে। The fundamental importance of animal social skills lies within the ability to manage relationships and in turn, the ability to not just commit information to memory, but manipulate it as well.[১৭] An adaptive response to the challenges of social interaction and living is en:theory of mind. মার্টিন ব্রুনে Theory of mind কে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এই তত্ব প্রত্যেকের মানসিক স্থিতি ও আবেগকে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম।[১৮] Having a strong theory of mind is tied closely with possessing advanced social intelligence. মোটের উপর দলগতভাবে বাস করলে আন্ত:সহযোগিতা যেমন বৃদ্ধি পায়, প্রত্যেকের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও তৈরী হতে পারে। একত্রে বসবাস করার ফলে একটা শক্ত নির্বাচনমুলক প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরী হয়, যার ফলে টিকে থাকার জন্য নানাবিধ কৌশল রপ্ত করতে হয়। তবে সমাজবদ্ধ ভাবে বাস করার কিছু সুবিধা আছে। গ্রুপে বাস করার সুবিধা হলোঃ কোনো বহিরাগত যদি আক্রমণ করে, তাহলে দলবদ্ধভাবে বাস করলে সবাই একত্রে লড়াই করে, যার ফলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একা বাস করার চেয়ে দলবদ্ধভাবে বাস করলে বেশি সুসংহত থাকে। কিন্তু যদি অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, তাহলে এর অসুবিধাও আছে বৈকি। যেমনঃ দলবদ্ধভাবে গ্রুপে বাস করলে খাদ্য এবং সঙ্গীর জন্য একটা প্রতিযোগিতা হয়, যার ফলে বিবর্তনগত দিক থেকে প্রজাতির মধ্যে বাহুবল প্রদর্শনের সম্ভাবনা তৈরী হয়।

সু[সম্পাদনা]

Within populations of social animals, altruism, or acts of behavior that are disadvantageous to one individual while benefiting other group members has evolved. This notion seems to be contradictory to evolutionary thought, due to the fact that an organism's fitness and success is defined by its ability to pass genes on to the next generation. According to E. Fehr, in the article, The Nature of Human Altruism, the evolution of altruism can be accounted for when kin selection and inclusive fitness are taken into account; meaning reproductive success is not just dependent on the number of offspring an individual produces, but also the number of offspring that related individuals produce.[১৯] Outside of familial relationships altruism is also seen, but in a different manner typically defined by the prisoner's dilemma, theorized by John Nash. The prisoner's dilemma serves to define cooperation and defecting with and against individuals driven by incentive, or in Nash's proposed case, years in jail. In evolutionary terms, the best strategy to use for the prisoner's dilemma is tit-for-tat. In the tit-for-tat strategy, an individual should cooperate as long others are cooperating, and not defect until another individual defects against them. At their core, complex social interactions are driven by the need to distinguish sincere cooperation and defection.

Brune details that theory of mind has been traced back to primates, but it is not observed to the extent that it is in the modern human. The emergence of this unique trait is perhaps where the divergence of the modern human begins, along with our acquisition of language. Humans use metaphors and imply much of what we say. Phrases such as, "You know what I mean?" are not uncommon and are direct results of the sophistication of the human theory of mind. Failure to understand another's intentions and emotions can yield inappropriate social responses and are often associated with human mental conditions such as autism, schizophrenia, bipolar disorder, some forms of dementia, and psychopathy. This is especially true for autism spectrum disorders, where social disconnect is evident, but non-social intelligence can be preserved or even in some cases augmented, such as in the case of a savant.[১৮] The need for social intelligence surrounding theory of mind is a possible answer to the question as to why morality has evolved as a part of human behavior.

ধর্মের বিবর্তন[সম্পাদনা]

শারীরতত্ববিদ ম্যাট জে. রোজানো বিশদ গবেষণা করে বলেন যে, নৈতিকতার পরে এবং নৈতিকতার উপর ভিত্তি করেই ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে। ধর্মে ঐশ্বরিক ব্যক্তিত্ব, আত্মা এবং স্রষ্টাকে প্রবেশ করানোর পরে মানুষ বুঝতে পারে, এই ধর্মের ভয় দেখিয়ে ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে স্বার্থপরতা রহিত করা যাবে এবং দলবদ্ধভাবে বাস করতে গেলে একে অপরের সাথে আন্তঃসহযোগিতা বৃদ্ধি করা যাবে। যা কোনো জীবের প্রতিযোগিতামুলক পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য খুবই জরুরী [২০] ধর্মের উৎপত্তি এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে তার পরিবর্তন সমাজবদ্ধ মানুষের টিকে থাকার জন্য বাড়তি সুবিধা এনে দিয়েছিল।[২১][২২]

The Wason selection task[সম্পাদনা]

In an experiment where subjects must demonstrate abstract, complex reasoning, researchers have found that humans (as has been seen in other animals) have a strong innate ability to reason about social exchanges. This ability is believed to be intuitive, since the logical rules do not seem to be accessible to the individuals for use in situations without moral overtones.[২৩]

বিরক্তি[সম্পাদনা]

সাধারণ আবেগগুলোর মধ্যে বিরক্তি একটি পরিচিত আবেগ, বলা হয় নৈতিকতার নীতি গঠিত হতে এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। বিবর্তনের দৃষ্টিকোণ থেকে-বিপজ্জনক অথবা অবাঞ্চিত বিষয়/আচরণের প্রতি মানুষের যে সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া তাকে বিরক্তি হিসেবে ধরা হয়। One example is things that increase the risk of an en:infectious disease such as spoiled foods, dead bodies, other forms of microbiological en:decomposition, a physical appearance suggesting sickness or poor en:hygiene, and various body fluids such as feces, vomit, en:phlegm, and blood. Another example is disgust against evolutionary disadvantageous mating such as incest (the en:incest taboo) or unwanted sexual advances.[৪] বেইমানি, মিথ্যা বলা, চুরি করা এই আচরণগুলো দলবদ্ধভাবে বাস করতে গেলে; আন্তঃসহযোগিতা মুলক মনোভাবকে নষ্ট করে দেয়। এমআরআই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ধরনের বিরক্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি যখন মানুষ হয়, তখন তার মস্তিষ্কের একটি অংশ উদ্দীপ্ত হয়।[২৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Wilson, Edward; Bert Hölldobler (১৯৯৪)। "The origin of cooperation"Journey to the Ants। Cambridge, Mass; London: Belknap Press। আইএসবিএন 0-674-48525-4 
  2. Wade, Nicholas (জুলাই ১৫, ২০০৮)। "Taking a Cue From Ants on Evolution of Humans"New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-২৭ 
  3. Byrne, Richard; Lee, P.C.; Njiraini, N.; Poole, J.H.; Sayialel, K.; Sayialel, S.; Bates, L.A.; Moss, C.J. (২০০৮)। "Do Elephants Show Empathy?"। Journal of Consciousness Studies। 10-11। 15: 204–225। 
  4. Rodriguez, Tommy (2011). Diaries of Dissension: A Case Against the Irrational and Absurd. iUniverse Publishing. আইএসবিএন ১-৪৭৫-৯১৯৩৩-৬.
  5. What Binti Jua Knew
  6. King, Barbara (2007). Evolving God: A Provocative View on the Origins of Religion. Doubleday Publishing." আইএসবিএন ০-৩৮৫-৫২১৫৫-৩.
  7. Excerpted from Evolving God by Barbara J. King
  8. Shermer, Michael (২০০৪)। The Science of Good and Evil। New York: Times Books। পৃষ্ঠা 16আইএসবিএন 0-8050-7520-8 
  9. Videos of chimpanzee food sharing
  10. Reciprocal food sharing in the vampire bat
  11. Shermer, Michael (২০০৮)। The Mind of the Market। New York: Henry Holt & Co. LLC। আইএসবিএন 0-8050-8916-0 
  12. Capuchin Monkeys refusing unequal rewards
  13. The absence of reward induces inequity aversion in dogs Range, Fredericke et al.
  14. Friedrich Nietzsche Beyond Good and Evil: Prelude to a Philosophy of the Future 1886
  15. Dawkins, Richard (1979). Twelve misunderstandings of kin selection
  16. Allen, Elizabeth, et al. (1975). "Against 'Sociobiology'". [letter] New York Review of Books 22 (Nov. 13).
  17. Dunbar, R. 2009. The Social Brain Hypothesis and Its Implications for Social Evolution. Annals of Human Biology 562-572.
  18. Brune, M., and Brunecohrs, U. 2006. Theory Of Mind—Evolution, Ontogeny, Brain Mechanisms And Psychopathology. Neuroscience & Biobehavioral Reviews, 30:437-455.
  19. Fehr, E., & Fischbacher, U. 2003. The Nature Of Human Altruism. Nature 425:785-791.
  20. Rossano, Matt (২০০৭)। "Supernaturalizing Social Life: Religion and the Evolution of Human Cooperation" (পিডিএফ)। ৩ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৭ 
  21. Scientist Finds the Beginnings of Morality in Primate Behavior. New York Times. March 20, 2007. Nicholas Wade.
  22. Matthew Rutherford. The Evolution of Morality. University of Glasgow. 2007. Retrieved June 6, 2008
  23. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৭ 
  24. Tybur, J. M.; Lieberman, D.; Griskevicius, V. (২০০৯)। "Microbes, mating, and morality: Individual differences in three functional domains of disgust"Journal of Personality and Social Psychology97 (1): 103–122। ডিওআই:10.1037/a0015474পিএমআইডি 19586243 

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]