চুনার
চুনার | |
---|---|
City | |
ডাকনাম: চুনারগড় | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°০৮′ উত্তর ৮২°৫৪′ পূর্ব / ২৫.১৩° উত্তর ৮২.৯° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তর প্রদেশ |
জেলা | মির্জাপুর |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | নগর পালিকা পরিষদ |
উচ্চতা | ৮৪ মিটার (২৭৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৭,১৮৫ |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
Postal Index Number(PIN) | ২৩১৩০৪ |
যানবাহন নিবন্ধন | UP 63 |
ওয়েবসাইট | www.chunar.nic.in |
চুনার উত্তর প্রদেশের মীর্জাপুর জেলার একটি নগর পালিকা পরিষদ (তহসিল) শহর । এর অবস্থান ২৪°৪৭′ হতে ২৫°১৫′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২°৪২′ হতে ৮৩°১২′ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যবর্তী। এর আয়তন ১৬৪৭.৫ বর্গ কিলোমিটার (৬৩৬ বর্গ মাইল)। চুনার শহর নিয়ে দু'টি শহর ও ৭৪৩ টি গ্রাম এর অন্তর্গত । চুনার শহর ২৫টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এর মোট লোকসংখ্যা ৩৭১৮৫ জন, যার মধ্যে ১৯৬৪৭ জন পুরুষ আর ১৭৫৩৮ জন স্ত্রী।[১] অনূর্ধ্ব ৬ বছরের শিশুর সংখ্যা ৪৯২৬ জন যা চুনারের মোট জনসংখ্যার ১৩.২৫% ; প্রতি ১০০০ পুরুষের নিরিখে নারীর সংখ্যা ৮৯৩, যেখানে রাজ্যে ৯১২ জনের তুলনায় খানিকটা পিছিয়ে। সাক্ষরতার হার ৭৬.৪৯% রাজ্যের ৭৬.৬৮% এর তুলনায় কিছুটা এগিয়ে। [১]
ভৌগোলিক অবস্থান
[সম্পাদনা]গঙ্গানদী এই তহসিলের মধ্য দিয়ে পশ্চিম হতে পূর্বে প্রবাহিত। এর দক্ষিণাংশ বিন্ধ্য-মালভূমির মধ্যভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিমে বিন্ধ্যপর্বত গঙ্গানদী অবধি এসেছে। পূর্বাংশে বহুদূর পর্যন্ত সমভূমি। জিরগো পাহাড় দক্ষিণ হতে উত্তরে চুনার শহরের গঙ্গাতীর পর্যন্ত বিস্তৃত। চুনারে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮১৭ মিলিমিটার (৩২.৭ ইঞ্চি)। গ্রীষ্মকালীন গড় তাপমাত্রা ৩২° সেন্টিগ্রেড (৯০° ফারেনহাইট) ।
ঐতিহাসিক চুনার
[সম্পাদনা]ঐতিহাসিক চুনার শহর গঙ্গা নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। এটাই চুনার তহসিলের প্রধান শহর ও কার্যালয়। চুনার রেলপথে কাশী ও এলাহাবাদের সাথে যুক্ত।
চুনার দুর্গ
[সম্পাদনা]বিখ্যাত চুনার দুর্গকে কেন্দ্র করে এই শহর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ইতিহাস গড়ে উঠেছে। কথিত আছে উজ্জয়িনীরাজ বিক্রমাদিত্যের ভাই ভর্তিনাথ দুর্গটি স্থাপন করেন । মুঘল আমলে শেরশাহ দুর্গটি বিবাহের যৌতুক হিসাবে পান। এই দুর্গকে কেন্দ্র করে মুঘল ও পাঠানদের মধ্যে বহুবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। অবস্থানগত কারণে তৎকালীন শাসকদের কাছে দুর্গটির আকর্ষণ ছিল দুর্নিবার। ১৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দে আকবর দুর্গটি অধিকার করেন এবং তা অষ্টাদশ শতাব্দীর কিছুকাল পর্যন্ত মুঘলদের অধিকারে থাকে। পরে সেটি অযোধ্যার অধীনে যায়। পরিশেষে ১৭৬৪ খ্রিষ্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধের পর চুনার দুর্গটি ইংরেজদের অধীনে আসে।
চুনারের দ্রষ্টব্য বিষয়
[সম্পাদনা]চুনার শহরের আনুমানিক ৪০% মানুষ বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্পকর্মে নিযুক্ত। শিল্পগুলির মধ্যে প্রস্তরশিল্প ও মৃৎশিল্পই প্রধান। বহু প্রাচীন কাল থেকেই চুনারের এই দুটি শিল্পের প্রসিদ্ধি সর্বজনবিদিত।[২] চুনার দুর্গটি ৩৬০ মিটার দীর্ঘ আর ১২০-১৬০ মিটার বিস্তৃত, দুর্গের বেশির ভাগ অংশই হিন্দুগৃহ আর মন্দিরের বিভিন্ন উপকরণ দ্বারা সজ্জিত। রেল-স্টেশনের কাছে দুর্গাকুণ্ড ও জীর্ণ নালার ধারে কামাক্ষা মন্দির অবস্থিত। নিকটের পর্বতগাত্রে হাতি, সিংহ ও ঘোড়ার বহু মূর্তি খোদিত আছে ; পিছনের দেওয়ালে প্রাপ্ত শিলালিপি গুপ্তযুগের বলেই অনুমান করা হয়। এছাড়াও কিছু দূরে দুর্গাখো নামক গুহাতে প্রতি বছর দুর্গাপূজার নবমীতে একটি মেলা হয়। এখানেও গুপ্তযুগের শিলালিপি পাওয়া গেছে। এছাড়াও চুনারে মীর্জা মুয়াজ্জীনের জুম্মা মসজিদ, গণেশ্বরনাথের মহাদেব মন্দির, শাহ কাশিম ফকিরের দরগাহ, ইফতি খাঁর মসজিদ ও আন্যান্য দ্রষ্টব্য স্থান আছে। [৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Chunar City Population Census 2011 - Uttar Pradesh"। census2011.co.in।
- ↑ Uttarpradesh Handicrafts Survey Monograph, Vol. XV, part VII A, no 3, Delhi, 1964.
- ↑ THE Imperial Gazetteer of India, Vol X, Oxford, 1908 ;