কামাক্ষী
কামাক্ষী বা ললিতাম্বা [১] হলেন সনাতন ধর্মের এক দেবী। কামাক্ষী শক্তিপীঠ ভারতের তামিলনাড়ুর কাঞ্চীপুরম এ অবস্থিত। এটি অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ এর অন্তর্ভুক্ত।[২] দেবীর নিতম্ব ভাগ পতিত হয়েছিল। ভৈরব হলেন একাম্রনাথ । কামাক্ষী শব্দের অর্থ কামনা রূপ অক্ষী যাঁর(স্ত্রী)
মুর্তিতত্ত্ব
[সম্পাদনা]কামাক্ষী আম্মান বা ত্রিপুরাসুন্দরী শ্রীকুলের দেবী। কামাক্ষী ধনুক, পঞ্চবাণ, পাশ ও অঙ্কুশধারিনী। পাশ মায়ার প্রতীক, অঙ্কুশ মোক্ষের , পঞ্চবাণ পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের প্রতীক এবং ইক্ষুধনু মনের প্রতীক।
পৌরাণিক কাহিনী
[সম্পাদনা]দেবীর ‘কামাক্ষী’ নামের তত্ত্ব আছে। ‘কা’ অর্থাৎ দেবী সরস্বতী, ‘মা’ অর্থাৎ দেবী লক্ষ্মী এবং ‘অক্ষি’ অর্থাৎ চোখ। এখান থেকেই বলা হয় যে, যে দেবীর দুই চোখে লক্ষ্মী ও সরস্বতী অবস্থিত; তিনিই দেবী কামাক্ষী। তাঁকে দর্শন করলে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর মতো দুই মহাদেবীকে দর্শনের পুণ্যও লাভ হয়। পুরাণ অনুসারে তিনি ভণ্ডাসুর কে বধ করতে আবির্ভূত হন। এবিষয়ক ত্রিপুরাসুন্দরী নিবন্ধ দেখুন । বলা হয় রামচন্দ্র এর বংশের কুলদেবী হলেন কামাক্ষী । তাই তাদের বংশের নাম ইক্ষুবাক।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কাঞ্চীপুরমের কেন্দ্রে রয়েছে দেবী কামাক্ষীর সুপ্রাচীন ও সুবিশাল মন্দির। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করেই এই কাঞ্চীপুরম শহর গড়ে উঠেছে। গড়ে উঠেছে নানান দেবদেবীর অসংখ্য মন্দিরও। তাই এই শহরকে মন্দিরের শহর এবং দক্ষিণের বারাণসী বলা হয়। দেবীর মন্দিরটি ঠিক কবে নির্মিত হয়েছে, তার সঠিক সময় নির্ণীত হয়নি। ঐতিহাসিকেরা বলেন যে, খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী থেকে খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর কোন এক সময় এই মন্দির নির্মিত হয়। পল্লব রাজাদের রাজত্বকালে এই মন্দির বর্তমান ছিল। কাঞ্চীপুরম তাঁদের রাজধানী ছিল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Frawley, David: "Tantric Yoga and the Wisdom Goddesses", page 89. Motilal Banarsidass Publishers, reprint 2005
- ↑ Ashtadasa Shakti Peethas and Rahasya and mahimas। KS Omniscriptum Publishing। ২০২১। আইএসবিএন 9786200626400।