বিষয়বস্তুতে চলুন

উইলিয়ামিনা ফ্লেমিং

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উইলিয়ামিনা প্যাটন স্টিভেন্স ফ্লেমিং

উইলিয়ামিনা প্যাটন স্টিভেন্স ফ্লেমিং (মে ১৫, ১৮৫৭ - মে ২১, ১৯১১[]) একজন স্কটল্যান্ডীয় জ্যোতির্বিদ। তিনি স্কটল্যান্ডের ডান্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রবার্ট স্টিভেন্স এবং মা মেরি ওয়াকার স্টিভেন্স

জীবন ও কর্ম

[সম্পাদনা]

এই মহীয়সী নারী ডান্ডিতেই তার মাধ্যমিক পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং মাত্র ১৪ বছর বয়সে ছাত্রাবস্থাতেই শিক্ষকতা শুরু করেন। জেমস ওর ফ্লেমিংকে বিয়ে করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ২১ বছর বয়সে ম্যাসাচুসেট্‌স অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে স্থায়ী হন। [] গর্ভবতী থাকাকালীন অবস্থায় তার স্বামী তাকে পরিত্যাগ করেন এবং এরপর তাকে কাজের সন্ধানে নেমে পড়তে হয়। তার ছেলে এডওয়ার্ড এবং নিজে চলার জন্য শুরু করেন সংগ্রাম।

তিনি অধ্যাপক এডওয়ার্ড চার্লস পিকারিং-এর বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। অধ্যাপক পিকারিং হাওয়ার্ড করেজ অবজারভেটরিতে তার পুরুষ সহকারীর কাজে আশাহত হন এবং উইলিয়ামিনাকেই তার মহকারী হিসেবে নিয়োগ করেন।

১৮৮১ সাল থেকে উইলিয়ামিনা মানমন্দিরে ক্লার্ক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখানে থাকাকালীন সময়ে তিনি তারার বর্ণালী বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাতে যে পরিমাণ হাইড্রোজেনের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তার উপর ভিত্তি করে উক্ত তারার জন্য একটি বর্ণ নির্ধারণের কাজে কর্তৃপক্ষকে প্রচুর সহায়তা করেন। "এ" শ্রেণীর তারাতে হাউড্রোজেন সবচেয়ে বেশি, "বি"-তে এর চোয়ে কম এবং এভাবে চলতে থাকবে। পরবর্তীতে অ্যানি জাম্প ক্যানন এই বর্ণায়িতকরণের পদ্ধতির আরো উন্নতি সাধন করে তাপমাত্রার ভিত্তিতে একটি প্রতীকায়ন ব্যবস্থার সূচনা ঘটিয়েছিলেন।

ফ্লেমিং তারার তালিকা তৈরীতে প্রত্যক্ষ অবদান রাখেন এবং এই তালিকাটিই হেনরি ড্র্যাপার তালিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়। মাত্র ৯ বছরে ১০,০০০ এরও বেশি তারার তালিকা তৈরি করেছিলেন। এই গবেষণা কাজের সময় তিনি ৫৯টি গ্যাসীয় নীহারিকা, ৩১০ এরও বেশি বিষমতারা এবং ১০টি নবতারা আবিষ্কার করেন। ১৯০৭ সালে তিনি ২২২ টি বিষমতারার একটি তালিকা প্রকাশ করেন যার সবগুলোই তিনি আবিষ্কার করেছিলেন।

১৯৮৮ সালে মিসেস. ফ্লেমিং হার্ভার্ড প্লেটের উপর একটি হর্সহেড নীহারিকা আবিষ্কার করেন [] যার নাম কখন ছিল বি২৩১২। এটি একটি উজ্জ্বল নীহারিকা ছিল পরবর্তীকালে যার নাম দেয়া হয়েছে আইসি-৪৩৪। তিনি বলেন যে এই নীহারিকার একটি একটি অর্ধবৃত্তাকার indentation। তিনিউ আবিষ্কার করেন যে এর ব্যাস ৫ মিনিট এবং জেটা অরিয়নিস নামক তারাটি থেকে তা ৩০ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Williamina FLEMING"scientificwomen.net 
  2. "Women Working 1800–1930, Williamina Paton Stevens Fleming (1857–1911)"Harvard University Library Open Collections Program। ২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৭  With links to manuscripts and other resources.
  3. Cannon, Annie J. (জুন ১৯১১)। "Williamina Paton Fleming"Science (প্রকাশিত হয় ৩০ জুন ১৯১১)। 33 (861): 987–988। ডিওআই:10.1126/science.33.861.987পিএমআইডি 17799863বিবকোড:1911Sci....33..987C 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]