আহমেদুল কবির
আহমেদুল কবির | |
---|---|
ঢাকা-২৫ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ২৪ মার্চ ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ |
উত্তরসূরী | আসন বিন্যাস |
নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৩ মার্চ ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | আসন শুরু/ নিজে |
উত্তরসূরী | দেলোয়ার হোসেন খান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ |
মৃত্যু | ২৪ নভেম্বর ২০০৩ | (বয়স ৮০)
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
আহমেদুল কবির (৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ - ২৪ নভেম্বর ২০০৩) একজন রাজনৈতিক ও সাংবাদিক। তিনি গণতন্ত্রী পার্টি এর প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি।[১]
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]আহমদুল কবির ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম মনু মিয়া। ঘোড়াশালের জমিদার আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির ছিলেন তার পিতা। তার মায়ের নাম মরহুমা সুফিয়া খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]শিক্ষা জীবন শেষ করার পর তিনি রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় যোগ দেন। তারপর ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে তিনি পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন এবং সেখানকার প্রতিনিধী হিসেবে ১৯৫১ সালে গ্যাটে সম্মেলনে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালের জানুয়ারিতে নিজস্ব ব্যবসা শুরু উদ্দেশ্যে তিনি সরকারি চাকুরি ছেড়ে আসেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এছাড়াও তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানি’র মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান এর উদ্যক্তা।[২]
রাজনীতি
[সম্পাদনা]ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে ১৯৬৫ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ঢাকা-২৫ ও ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-২ নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][৪] ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়ে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করেন। রোমে ফাও-এর কনফারেন্সে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। ইইসি দেশগুলোতে তিনি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। কবির তদানীন্তন পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। আশির দশকে তিনি গণতন্ত্রী পার্টি গঠন করেন যা এখন ১৪ দলের অন্যতম শরীক দল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ছিলেন।[৫]
সাংবাদিকতা
[সম্পাদনা]কবির ১৯৫৪ সালে সংবাদ মাধ্যম সংবাদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সরকার ‘সংবাদ’ অফিস পুড়িয়ে দেয় এবং আহমদুল কবিরকে গ্রেফতার করে। ১৯৭২ সালে সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে তিনি সংবাদ এর প্রধান সম্পাদক হন এবং আমৃত্যু এ দায়িত্বে ছিলেন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ সমবারু চন্দ্র মহন্ত (২০১২)। "কবির, আহমদুল"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ জুবায়ের, সালাম (২৪ নভেম্বর ২০১৮)। "আহমদুল কবির : সাংবাদিকতার আলোকবর্তিকা"। সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। পলাশ উপজেলা। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৮।