তারামাছ
তারামাছ সময়গত পরিসীমা: অর্ডোভিশিয়ান–বর্তমান | |
---|---|
![]() | |
Fromia monilis | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Echinodermata |
মহাশ্রেণী: | Asterozoa |
শ্রেণী: | Asteroidea Blainville, 1830 |
তারামাছ অথবা সমুদ্রতারা হচ্ছে অ্যাস্টেরয়ডিয়া শ্রেণীর একাইনোডার্মাটা পর্বের অন্তরভুক্ত তারা আকৃতির মাছ। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Asteris(Star fish) অন্য প্রজাতি Ophiura(Brittle star)। তারা-মাছদের মস্তিস্ক ও রক্ত থাকে না তবে চোখ থাকে, কোন কারণ বসত এদের হাত কেটে গেলে তা পুনরায় সৃষ্টি হয় ।পৃথিবীর সকল সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ১৫০০ প্রজাতির তারামাছ পাওয়া যায় এমনকি উপকূল ও মেরুর হিমশীতল জলেও এদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। চিন, ইন্দোনেশিয়ায় সহ কিছু দেশে এটি সামুদ্রিক খাবার হিসাবে প্রচলিত।এদের দেহকন্টক ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে গঠিত |
গঠন
[সম্পাদনা]তারামাছ এক প্রকার সামুদ্রিক অমেরুদন্ডী প্রাণী। সাধারণত এদের দেহে একটি কেন্দ্রীয় চাকতি এবং এর সাথে সংযুক্ত পাঁচটি বাহু থাকে, তবে কিছু প্রজাতির এর বেশি সংখ্যক বাহু থাকতে পারে। এদের উপরপৃষ্ঠ মসৃণ হতে পারে, আবার দানাদার অথবা কাঁটাময়ও হতে পারে এবং অধিক্রমণ প্লেট দ্বারা আবৃত থাকে। তারামাছের নলাকৃতির পা আছে যা হাইড্রোলিক সিসটেম দ্বারা পরিচালিত হয় এবং নিচের পৃষ্ঠে একটি মুখ থাকে। এরা এদের দেহের ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থান অথবা বাহু পুনঃগঠন করতে পারে। তারামাছের বেশিরভাগ প্রজাতি উজ্জ্বল রঙের লাল অথবা কমলা আভা যুক্ত হয়। এছাড়া নীল, ধূসর এবং বাদামী রঙের তারামাছও দেখা যায়।

বংশবৃদ্ধি
[সম্পাদনা]তারামাছের জীবনচক্র অনেক জটিল। এরা পুরুষ ও স্ত্রী লিঙ্গের হয়ে থাকে এবং যৌন ও অযৌন উভয় প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি করতে পারে। তারামাছের কিছু প্রজাতি ডিম্বক এবং শুক্রাণু একই সাথে উৎপন্ন করতে পারে। প্রটানডাস [] প্রজাতি যেমন Asterina gobbosa জীবনের শুরুতে পুরুষ লিঙ্গের হয় এবং বেড়ে উঠার সাথে সাথে স্ত্রী লিঙ্গে পরিবর্তিত হয়। এছাড়া কিছু প্রজাতি যেমন Nepanthia belcheri এর একটি বড় স্ত্রী তারামাছ বিভক্ত হয়ে দুটি পুরুষ তারামাছে পরিণত হয়। অযৌন প্রক্রিয়ায় তারামাছ কেন্দ্রীয় চাকতির ফিশন অথবা এক বা একাধিক বাহুর অটোটমির মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। প্রজাতি ভিত্তিতে তারামাছ ১০ থেকে ৩৪ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
খাদ্যাভ্যাস
[সম্পাদনা]তারামাছ সাধারণত শিকারী প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা মূলত শামুক, শৈবাল, স্পঞ্জ, ঝিনুকজাতীয় প্রাণী (bivalves) এবং অন্যান্য ছোট ছোট সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।