দাদ
দাদ | |
---|---|
বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ, চর্মরোগবিদ্যা |
দাদ ([Dermatophytosis] ত্রুটি: {{Lang-xx}}: text has italic markup (সাহায্য)) একটি সংক্রামক চর্মরোগ। তবে "Ringworm" ও "Tinea" নামেও পরিচিত। তবে এর কারণ কোন "worm" বা ক্রিমি নয়। এর কারণ ত্বকের উপরের দিকে (superficially) ছত্রাক সংক্রমণ।
দাদের ছত্রাক
তিনরকম :
- ট্রাইকোফাইটন- (Trichophyton গণ)
- এপিডার্মফাইটন (Epidermophyton গণ)
- মাইক্রোস্পোরাম (Microsporum গণ)
সংক্রমিত অঙ্গ
শরীরের যেকোন অঙ্গের চামড়ায় হতে পারে।
- টিনিয়া ক্রুরিস =কুঁচকির (groin) দাদ
- টিনিয়া ক্যাপাইটিস=মাথার দাদ
- টিনিয়া কর্পোরিস= শরীরে(trunk) বা হাত পায়ে দাদ
- টিনিয়া পেডিস (অ্যাথলেট'স ফুট)= পায়ের পাতায় দাদ
- টিনিয়া আঙ্গুয়াম= নখে দাদ
মাথায় চিরুণী দ্বারা ও পায়ে পুরোন মোজা দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।
সংক্রমন
সাধারণত ঘামে ভেজা শরীর, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন শরীর, দীর্ঘ সময় ভেজা থাকে এমন শরীর, ত্বকে ক্ষত আছে এমন শরীর এই ছত্রাকগুলোর স্পোর (বা, হাইফা) দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই ছত্রাকগুলোর সুপ্তিকাল ৩ থেকে ৫ দিন।
উপসর্গ
- প্রথমে আক্রান্ত স্থানে ছোট লাল গোটা হয় এবং সামান্য চুলকায়।
- পরে আক্রান্ত স্থানে বাদামী বর্ণের আইশ হয় এবং স্থানটি বৃত্তাকারে বড় হতে থাকে।
- ক্রমে সুনির্দিষ্ট কিনারা সহ বৃত্তের আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং মাঝখানে ত্বক স্বাভাবিক হয়ে আসে।
- চুলকানি বৃদ্ধি পায়।
- চুলকানোর পর আক্রান্ত স্থানে জবালা হয় এবং আঠালো রস বের হয়।
- মাথায় হলে স্থানে স্থানে চুল উঠে যায়, নখে হলে দ্রুত নখের রঙ বদলায় এবং শুকিয়ে খণ্ড খণ্ড ভেঙ্গে যেতে পারে।
বিস্তার
এটি সংক্রামক রোগ। অতিসহজেই রোগী থেকে সুস্থ দেহে বিস্তার লাভ করতে পারে। রোগীর চিরুনি, তোয়ালে, বিছানা ইত্যাদি ব্যবহার করলে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকে। তবে রোগাক্রান্ত পোষা বিড়ালের মাধ্যমে এটি বেশি ছড়ায়।
নিরাময়
সাধারণতঃ- ছত্রাকঘাতী (Antifungal) ক্রিমে কাজ হয়। মাথা বা নখে হলে খাবার জন্য বড়ি দেওয়ারও দরকার পড়তে পারে।