পরাশর বর্মা
পরাশর বর্মা একটি বাংলা সাহিত্যের কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। এই চরিত্রের সৃষ্টিকর্তা সাহিত্যিক প্রেমেন্দ্র মিত্র।[১]
চরিত্রচিত্রণ
পরাশর বর্মা প্রেমেন্দ্র মিত্রের সৃষ্ট গোয়েন্দা যে একাধারে কবি ও গোয়েন্দা। তার বন্ধু সম্পাদক কৃত্তিবাস ভদ্র অর্থাৎ গল্পের কথকের মতে পরাশর বর্মার কবিতা অখাদ্যই নয় জঘন্য। কিন্তু পরাশর একটি অদ্ভুত ব্যক্তি যে হেঁয়ালি করতে ভালবাসে, নিজেকে গোয়েন্দা নয় কবি হিসেবে পরিচয় দেয়। রহস্য সমাধান করার দিকে যখন এগিয়ে যাচ্ছে এমন সময়েও পরাশর নিস্পৃহ থাকে। আবার অতীব জটিল দুর্বোধ্য সমস্যার সমাধান কবিতা পড়তে পড়তেও করে ফেলেছে এমন উদাহরণ আছে। লেখকের নিজের ভাষায় "কবি হলেও পরাশর বর্মাকে গোয়েন্দাগিরি করতে হয় কিন্তু শার্লক হোমস, পোয়ারো কি মাইগ্রে কারুর সংগে কোনো আত্মীয়তা তার নেই। আত্মীয়তা পাতাবার চেষ্টাও সে কখনও করেনা"[২]
কাহিনী
প্রেমেন্দ্র মিত্র পরাশর বর্মার বহু ছোটগল্প ও গোয়েন্দা উপন্যাস রচনা করলেও তা তার অন্যতম সৃষ্টি ঘনাদার মত জনপ্রিয় হয়নি। মূলত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যেই পরাশর গোয়েন্দার গল্পগুলি লেখেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। দুটি কাহিনীতে ঘনাদার সাথে পরাশরের মোলাকাত হয়, সেগুলির নাম 'ঘনাদা ফিরলেন' ও 'পরাশরে ঘনাদায়'। পরাশর কাহিনীর বই এর প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছিলেন শিল্পী শৈল চক্রবর্তী।
পরাশর বর্মা সিরিজের গল্প উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে:[২][৩]
- গোয়েন্দা হলেন পরাশর বর্মা
- ক্লাবের নাম কুমতি
- ভয়ংকর ভাড়াটে ও পরাশর বর্মা
- রং নম্বর
- সুন্দ উপসুন্দের আধুনিক উপাখ্যান
- পরাশর বর্মা ও ভাঙা রেডিও
- পরাশর বর্মা ও কবিতার ঘন্ট
- অঙ্কে কাঁচা পরাশর বর্মা
- পরাশরের কমা-সেমিকোলন
- বেইমান বাটকারা
- প্রেমের চোখে পরাশর বর্মা
- গন্ধ পেলেন পরাশর বর্মা
- নিলেম ডাকলেন পরাশর বর্মা
- হার মানলেন পরাশর বর্মা
- হিপি-সঙ্গে পরাশর বর্মা
- ঘোড়া কিনলেন পরাশর বর্মা
- ঘুড়ি ওড়ালেন পরাশর বর্মা
- গোয়েন্দা কবি পরাশর
- সাংঘাতিক শিশি ও পরাশর বর্মা
- পরাশর বর্মা ও অশ্লীল বই
- পরাশর বর্মা ও বাঁধানো ছবি
- চেঞ্জে গেলেন পরাশর বর্মা
- প্রেমের ত্রিকোণে পরাশর
- পরাশর এবার জহুরি
- পুবে বালি পশ্চিমে বালি
- দূরবিন চোখে পরাশর বর্মা
- ছবি চিনলেন পরাশর বর্মা
- দুনৌকোয় পরাশর বর্মা
- প্রেমের প্রান্তে পরাশর
- নিজের জবানিতে পরাশর
- পরাশর বর্মা ও বোম্বাই ধান্দা
- কৃত্তিবাসের অজ্ঞাতবাস
- তুরুপের তাস চুরি
- পরাশরের শর
- পরাশর পলাতক
- স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট
- ফুটপাথের বই
তথ্যসূত্র
- ↑ অঞ্জন দত্ত (২৫ মার্চ ২০১২)। "ব্যোমকেশই আমাকে বাঙালি করে তুলেছে"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ প্রেমেন্দ্র মিত্র (১৯৭৭)। আদ্যোপান্ত পরাশর। কলকাতা: সাক্ষরতা প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৩।
- ↑ প্রেমেন্দ্র মিত্র (১৯৮৩)। রহস্যভেদী পরাশর। কলকাতা: প্রগতি লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা ৭,২২,৫০,৬৮।