বায়ুপ্রবাহ
বায়ুপ্রবাহ বা বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চালন বলতে বিরাট ক্ষেত্র জুড়ে বায়ুর স্থান পরিবর্তনকে বোঝায়। বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমেই পৃথিবীপৃষ্ঠে উত্তাপের বিতরণ ঘটে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বিবেচনায় সূর্যের তাপ পৃথিবীতে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে পড়ে, যার ফলে কোনো স্থান যখন সরাসরি উত্তপ্ত হয়, তখন তুলনামূলক শীতল স্থানের দিকে উত্তপ্ত বায়ু প্রবাহিত হয়। বায়ুর ধর্মই হলো বায়ু, অধিক উষ্ণ স্থান থেকে শীতল স্থানের দিকে প্রবাহিত হয়, আর একারণেই পৃথিবীতে বায়ুপ্রবাহের ঘটনা ঘটে। এই বায়ুপ্রবাহ যখন সীমাবদ্ধ মাত্রায় হয়, তখন দখিনা হাওয়ার মতো সুখকর অনুভূতি বয়ে আনে, আবার যখন তা মাত্রাতিরিক্ত হয়, তখন তা স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় এবং জলভাগে তৈরি করে জলোচ্ছ্বাস। মূলত উচ্চচাপীয় অঞ্চল থেকে নিম্নচাপীয় অঞ্চলে বায়ু প্রবাহিত হয়। মানুষ দৈনন্দিন জীবনে বায়ুপ্রবাহকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। যেমন- চরকা ঘোরানো, শরীর ঠান্ডা রাখতে, নদীতে পাল তোলা নৌকা চালাতে, কোনো ভেজা বস্তু শুকাতে, ভেজা চুল শুকাতে ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও মানুষ দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে বায়ুপ্রবাহকে ব্যবহার করে। তাই বলা যায়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বায়ুপ্রবাহের গুরুত্ব অপরিসীম।
সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহে বায়ুপ্রবাহ
[সম্পাদনা]বৃহস্পতি
[সম্পাদনা]বৃহস্পতিতে বিভিন্ন গ্যাস ও বায়ুর প্রচন্ড সঞ্চালন লক্ষ করা যায়। এমনকি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় ঝড়টির পেছনে কাজ করছে এই বায়ুপ্রবাহ।[১]
নেপচুন
[সম্পাদনা]সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ নেপচুনে চলছে পৃথিবীর আকৃতির সমান একটি ঝড়। সূর্য থেকে ৪,৫৩,৬৮,৭৪,৩২৫ কিলোমিটার দূরে সঞ্চারণশীল এই গ্রহে বায়ুপ্রবাহের কারণ এখন জানা যায় নি।[১]