২০১৭ ওয়েস্টমিনিস্টার হামলা
২০১৭ ওয়েস্টমিনিস্টার হামলা | |
---|---|
স্থান | ওয়েস্টমিনিস্টার, লন্ডন, যুক্তরাজ্য |
স্থানাংক | ৫১°৩০′০৩″ উত্তর ০°০৭′১৯″ পশ্চিম / ৫১.৫০০৮৩° উত্তর ০.১২১৯৪° পশ্চিম |
তারিখ | ২২ মার্চ ২০১৭ দুপুর ২:৪০ (জিএমটি) |
হামলার ধরন | |
ব্যবহৃত অস্ত্র |
|
নিহত | ৬ (৪ জন পথচারী, ১ জন পুলিশ কর্মকর্তা, এবং আক্রমণকারী) |
আহত | ৪৯ (৪ জন গুরুতর, ১ জন সংকটাপন্ন) |
অপরাধী | খালিদ মাসুদ |
কারণ | মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা অভিযানের প্রতিশোধ[১] |
২০১৭ সালের ২২ মার্চ লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে ও ওয়েস্টমিনিস্টার ব্রিজে বুধবারের সন্ত্রাসী হামলায় আক্রমণকারীসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পালার্মেন্টের সামনে ওই হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা পিসি কেইথ পালমার (৪৮)।[২] হামলাকারী প্রথমে টেমস নদীর ওপর ওয়েস্টমিনিস্টার সেতুতে পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দিয়ে পার্লামেন্ট ভবনের সীমানার ভেতরে ঢুকে ছুরি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। দেশটির পুলিশ এই ঘটনাকে ‘ইসলামপন্থী সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।[৩]
বর্ণনা
[সম্পাদনা]বুধবার গ্রিনিচ মানসময় ১৫:০০-টার অল্প কিছুক্ষণ আগে লন্ডন পার্লামেন্টের সামনে গুলি এবং চিৎকারের শব্দ শোনা যায়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেখানে পৌঁছায়৷ হাউস অফ কমন্সও পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়৷
যে জায়গায় হামলা হয়েছে তার ঠিক পাশেই লন্ডনের বিখ্যাত বিগ বেন টাওয়ার ও ওয়েস্টমিনিস্টার সেতু। এই জায়গাটি দেখতে প্রতি বছর লাখো পর্যটক ভিড় করেন। পার্লামেন্টের সামনে ছাড়াও ওয়েস্টমিনিস্টার ব্রিজের উপর একটি গাড়ি বেশ কয়েকজনকে চাপা দেয়৷ গাড়িটি ‘বিগ বেন’-এর সামনে একটি গেটে ধাক্কা খেয়ে থেমে যায়৷ হামলাকারী গাড়ি থেকে নেমে পার্লামেন্ট ভবনের সীমানার ভেতরে ৪৮ বছর বয়সী এক পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় দায়িত্বরত আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গুলি করে হত্যা করে।[৩]
হামলার পরপরই লন্ডনের ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট এলাকার দিকে যাওয়া সব বাসের গতিপথ বদলে দেয়৷ ওয়েস্টমিনিস্টার সিটিতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি কার্যালয় এবং এটি শহরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রও বটে৷
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]হামলার সময় পার্লামেন্টের ভেতরে ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। সেখানে তখন যৌথ অধিবেশন চলছিল। গুলির শব্দ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি রূপালি রঙয়ের গাড়িতে করে প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্ট থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি সদস্যরা পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে কয়েক ঘণ্টার জন্য আটকা পড়েন। প্রধানমন্ত্রী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে ‘অসুস্থ ও বিকৃত রুচির’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।[৩]
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সব রকম সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে যুক্তরাজ্যের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেছেন৷ স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলাস স্টারজেন সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং স্কটিশ সংসদে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বিষয়ক গণভোট নিয়ে বিতর্কও বাতিল করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Last message left by Westminster attacker Khalid Masood uncovered by security agencies
- ↑ "লন্ডন হামলায় এক ব্রিটিশ এমপির বীরত্ব"। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৫"। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৭।