২০১২ ডিএ১৪
আবিষ্কার[১] | |
---|---|
আবিষ্কারক | OAM Observatory, La Sagra (J75) 0.45-m Reflector |
আবিষ্কারের তারিখ | ২৩ February 2012 |
বিবরণ | |
এমপিসি পদমর্যাদা | 2012 DA14 |
ক্ষুদ্র গ্রহসমূহের শ্রেণী | Pre-2013: Apollo NEO[২] Post 15 Feb 2013: Aten[২] |
কক্ষপথের বৈশিষ্ট্য[৩] | |
যুগ ৩০ Sep ২০১২ (Uncertainty=0)[৩] | |
অপসূর | 1.110 AU (Q) |
অনুসূর | 0.8935 AU (q) |
অর্ধ-মুখ্য অক্ষ | 1.001 AU (a) |
উৎকেন্দ্রিকতা | 0.1081 |
কক্ষীয় পর্যায়কাল | 366.2 days |
গড় ব্যত্যয় | 299.9° (M) |
নতি | 10.33° |
উদ্বিন্দুর দ্রাঘিমা | 147.2° |
অনুসূরের উপপত্তি | 271.0° |
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ | |
মাত্রাসমূহ | ~৫০ মিটার (১৬০ ফুট)[৪] |
ঘূর্ণনকাল | ~6 hr[৫] |
বর্ণালীর ধরন | L-type[৫] |
আপাত মান | ৭.২ (2013 peak)[৬] |
পরম মান (H) | ২৪.১[৩] |
২০১২ডিএ১৪ পাথর আকৃতির একটি গ্রহাণু যেটি নিকট সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করবে। নাসার প্রকাশ করা খবর অনুসারে ভূপৃষ্ঠ থেকে এর দূরত্ব হবে ১৭ হাজার ৭০০ মাইল। গ্রহাণুটির দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট।[৭][৮]
গঠন
[সম্পাদনা]২০১২ডিএ১৪ ৫০ মিটারের একটি পাথর খণ্ডের মতো। অন্যান্য গ্রহানুপুঞ্জগুলোর মতো বরফ বা বিভিন্ন মেটারিয়াল দিয়ে গঠিত হয়নি ২০১২ডিএ১৪।[৮]
সংঘর্ষ
[সম্পাদনা]একটি ফুটবল মাঠের অর্ধেকের সমান এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাই আঘাত হানার ভয় নেই। তবে মহাকাশে অবস্থানকারী অধিকাংশ কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) কক্ষপথের কাছে থাকবে এই গ্রহাণুটি। নাসার গবেষণাকেন্দ্র জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী ডোনাল্ড ইয়েওমানস বলেন, গ্রহাণুটির সম্ভাব্য গমনপথ স্পষ্ট। এটি পৃথিবীর ১৭ হাজার মাইলের মধ্যে আসবে না। তাই পৃথিবীতে কোনো প্রভাবও ফেলবে না। বিভিন্ন স্যাটেলাইটের কক্ষপথের পাঁচ হাজার মাইলের মধ্য দিয়ে গ্রহাণুটি অতিক্রম করবে। ১৯৯০ সালে মহাকাশ সার্ভে চালু করার পর থেকে পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে এতো বড় আর কোন বস্তু অতিক্রম করতে দেখা যায়নি। ডন আশাবাদী হয়ে বলেন, প্রতি ৪০ বছরে একবার এসটেরিওড পৃথিবীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করলেও প্রতি ১২শ’ বছরে একবার সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়।[৭][৮] তবে যদি গ্রহাণুটি ভূপৃষ্ঠে আঘাত হানে, তাহলে ২ দশমিক ৪ মেগাটন ওজনের বোমার আঘাতের মতো প্রতিক্রিয়া হবে। এতে বড় কোনো এলাকা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তবে গোটা পৃথিবী তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। এ রকম গ্রহাণু প্রতি ৪০ বছর পর পর পৃথিবীর কাছাকাছি অঞ্চল অতিক্রম করলেও প্রতি এক হাজার ২০০ বছরে মাত্র একবার আঘাত হানে। কারণ, ১০০ বছরেরও কিছু আগে (১৯০৮ সালের ৩০ জুন) পৃথিবীতে একটি গ্রহাণু আঘাত হেনেছিল। এতে সাইবেরিয়ার তুংগুস্কা অরণ্যাঞ্চলের প্রায় ৮০০ বর্গমাইল এলাকা মাটিতে মিশে যায়। ওই আঘাতের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৫০০ মাইল। পারমাণবিক বোমার চেয়ে গ্রহাণুর আঘাতের ধরন ভিন্ন। পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মহাজাগতিক গ্রহাণু একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানে।[৭][৯]
দৃশ্যমান
[সম্পাদনা]ভারত মহাসাগরের সুমাত্রা দ্বীপের ওপর দিয়ে ভাসমান গ্রহাণুটিকে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়া অঞ্চল থেকে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যাবে। এটিকে নক্ষত্র বা ছোট্ট আলোকবিন্দুর মতো দেখাবে।[৭][৯]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "MPEC 2012-D51 : 2012 DA14"। IAU Minor Planet Center। ২০১২-০২-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-০৫। (K12D14A)
- ↑ ক খ Paul Chodas and Don Yeomans (ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৩)। "Asteroid 2012 DA14 To Pass Very Close to the Earth on February 15, 2013"। NASA/JPL Near-Earth Object Program Office। এপ্রিল ৬, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-০১।
- ↑ ক খ গ "JPL Close-Approach Data: (2012 DA14)"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Earth Impact Risk Summary: 2012 DA14"। NASA/JPL Near-Earth Object Program Office। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-১৪।
- ↑ ক খ Dr. Lance A. M. Benner (২০১৩-০১-১৩)। "2012 DA14 Goldstone Radar Observations Planning"। NASA/JPL Asteroid Radar Research। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-১৫।
- ↑ "2012DA14 Ephemerides for 15 February 2013"। NEODyS (Near Earth Objects - Dynamic Site)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-১০।
- ↑ ক খ গ ঘ ১৫০ ফুট দীর্ঘ গ্রহাণু ধেয়ে আসছে ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৮-০২-২৩ তারিখে,এএফপি ও লাইভসায়েন্স, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৩-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ ক খ গ ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে গ্রহানুপুঞ্জের! ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে, দৈনিক মানবজমিন। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ ক খ ১৫০ ফুট দীর্ঘ গ্রহাণু ধেয়ে আসছে ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মে ২০১৩ তারিখে,এএফপি ও লাইভসায়েন্স, নিউজবিডি৭১ডেস্ক। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৩-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Asteroid 2012 DA14 to Safely Pass Earth (JPLnews video Feb 4, 2013)
- Guide to Asteroid 2012 DA14 Super Close Approach (Bruce Betts 2013/02/04 includes video)
- Physical characteristics of 2012 DA14, nasa.gov
- 2012 DA14 Earth Impact Risk Summary ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে, nasa.gov
- No, asteroid 2012 DA14 will not hit us next year ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ মার্চ ২০১২ তারিখে, Bad Astronomy blog (Phil Plait, March 4, 2012)
- Cool animation showing asteroid DA 14′s near miss next year ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মার্চ ২০১২ তারিখে, Bad Astronomy blog (Phil Plait, March 8, 2012)
- 2012 DA14 sparks asteroid fever ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ জুন ২০২০ তারিখে (Astro Bob, March 6, 2012)
- Near-miss asteroid will return next year (ESA – 15 March 2012)
- Discovery of 2012 DA14 (Jaime Nomen and team – La Sagra Sky Survey) - includes animated discovery images
- 2012 DA14 orbit calculation with a 3 day observation arc (mpml : February 26, 2012)
- Meteoroid hazard to satellites comes overwhelmingly from the marbles, not the mountains (mpml : March 26, 2012)
- Table of next close approaches (Sormano Astronomical Observatory)
- SAEL - Small Asteroid Encounter List (Sormano Astronomical Observatory)