১৯৫৬-এর পাকিস্তানের সংবিধান
পাকিস্তানের সংবিধান (১৯৫৬) ইসলামি প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান যা ১৯৫৬ সালে প্রণীত হয়। এই সংবিধান ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৫৮ সালের সামরিক অভ্যুত্থান পর্যন্ত কার্যকর ছিল। এই সংবিধানের ১৩টি ভাগ, ২৩৪টি অনুচ্ছেদ ও ৬টি তফসিল ছিল। এই সংবিধানের মাধ্যমে পাকিস্তান অধিরাজ্য ইসলামি প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান নাম গ্রহণ করে। ১৯৫৬ সালের সংবিধানের ২১৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা ও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উল্লিখিত হয়েছিল।
উৎস
[সম্পাদনা]১৯৪৭ সালে যুক্তরাজ্য থেকে পাকিস্তান স্বাধীন হয়, কিন্তু ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো ব্রিটিশ অধিরাজ্য হিসেবে বহাল ছিল। ভারতীয় স্বাধীনতা আইন, ১৯৪৭ এর ধারা ৮ এর অধীন, ভারত সরকার আইন, ১৯৩৫ কিছু সংশোধনী সহকারে পাকিস্তানের সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল ১৯৫৬ পর্যন্ত। কিন্তু পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা সংবিধান প্রণয়নের প্রয়োজন ছিল। তাই স্বাধীনতা আইনের অধীনে প্রথম পাকিস্তানের গণপরিষদ গঠিত হলে গণপরিষদ প্রথমে সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত হয়।[১]
সীমাবদ্ধতা ও সমালোচনা
[সম্পাদনা]জাতীয় পরিষদে বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিল। প্রদেশগুলিকে কোন স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয় নি। সেনাবাহিনী প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের সূচনাও হয় এই সংবিধানের মাধ্যমে।
বাতিল
[সম্পাদনা]১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবর, রাষ্ট্রপতি ইসকান্দার মির্জা একটি অভ্যুত্থান ডি'আতাত মঞ্চস্থ করেছিলেন। তিনি সংবিধান বাতিল করে দিয়েছিলেন, সামরিক আইন চাপিয়ে দিয়েছিলেন এবং জেনারেল মুহাম্মদ আইয়ুব খান চিফ মার্শাল আইন প্রশাসক এবং আজিজ আহমদকে সেক্রেটারি জেনারেল এবং উপ -প্রধান মার্শাল আইন হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন প্রশাসক। তবে, তিন সপ্তাহ পরে জেনারেল আইয়ুব - যিনি সামরিক আইন আরোপের আগে সরকারের কর্তৃত্বকে প্রকাশ্যে প্রশ্ন করেছিলেন - তিনি ১৯৫৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্কান্দার মির্জাকে দায়ের করেছিলেন এবং রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণ করেছিলেন, যা পাকিস্তানের রাজনৈতিক ব্যবস্থার সামরিকীকরণকে কার্যত আনুষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিক করে তুলেছিল।[২] চার বছর পরে একটি নতুন দলিল, ১৯৬২ সালের সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। এটি শেষ পর্যন্ত ১৯৭৩ সালের সংবিধান দ্বারা সফল হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "The Parliamentary History"। ২০০৮-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৮।
- ↑ "Islamic Pakistan"। ghazali.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-৩১।