হ্যারল্ড সনি লাডো
হ্যারল্ড সনি লাডো | |
---|---|
জন্ম | ট্রিনিদাদ |
হ্যারল্ড সনি লাডো (১৯৪৫-১৯৭৩) ক্যারিবীয়-কানাডীয় লেখক। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস নো পেইন লাইক দিস বডি। মহাজ্ঞানী গৌতম বুদ্ধের লব্ধ জ্ঞান ‘There is no pain’-কে আশ্রয় করে রচিত এই উপন্যাসের লেখক হ্যারল্ড ১৯৭৩ সালে দেশের বাড়িতে মায়ের সাথে দেখা করতে গেলে খুন হন। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মিসিসাগা ক্যাম্পাসে ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এর জন্য হ্যারল্ডের নামে একটি পুরস্কার চালু আছে বর্তমানে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত অধ্যাপক নিক মাউন্টের লেখা '‘অ্যারাইভাল : দ্য স্টোরি অব ক্যানলিট’' [আনানসি, টরন্টো] গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ে হ্যারল্ডের নাম ও বিস্তারিত ভূমিকা দেখে বর্তমান লেখকের আগ্রহ জাগে অভিবাসী অকালপ্রয়াত এই লেখকের সম্পর্কে। নিক লিখছেন, ‘পূর্বের অন্যান্য সব কিছুর থেকে ভিন্ন কানাডীয় সাহিত্যের যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল হারল্ড লাডো ছিলেন সেটির অবিচ্ছেদ্য অংশ’। [পৃ : ৫] [১]
জীবন
[সম্পাদনা]তিনি কানাডায় আসেন ১৯৬৮ সালে। দারিদ্র্যক্লিষ্ট হ্যারল্ড তেইশ বছর বয়সে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য পড়তে এই বিদেশ-বিভূঁইয়ে পাড়ি জমান। হ্যারল্ড টরন্টোতে আসার আগেই বিয়ে করেন। ওর স্ত্রী র্যাচেল সিং হ্যারল্ডের চেয়ে পাঁচ-ছয় বছরের বড়ো ছিলেন। র্যাচেলের প্রথম স্বামী খুন হলে পরে হ্যারল্ডের সাথে তার বিয়ে হয়। তখন র্যাচেল দুই সন্তানের মা। বিয়ের পর র্যাচেল ও হ্যারল্ডের আরও দুটি সন্তান হয়।
উপন্যাস
[সম্পাদনা]- নো পেইন লাইক দিস বডি (১৯৭২)
- ইয়েসটারডেজ (১৯৭৩)
হ্যারল্ড সনি লাডোকে নিয়ে বই
[সম্পাদনা]- ডেনিস লী অকাল প্রয়াত বন্ধু হ্যারল্ডকে নিয়ে দীর্ঘ এক কবিতা লিখলেন। ১৯৭৬ সালে সেটি দ্য ডেথ অব হ্যারল্ড লাডো নামে পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়।
- কবি ও লেখক পিটার সাচ লিখলেন দীর্ঘ এক রচনা। প্যানক্যারিবিয়ান ডট কমে বর্তমানে লভ্য সে রচনাটির নাম '‘দ্য শর্ট লাইফ অ্যান্ড সাডেন ডেথ অব হ্যারল্ড লাডো’'।