হেত্বাভাস থেকে যুক্তিতর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হেত্বাভাস বা অপযুক্তির আশ্রয়ে কোন দাবি উত্থাপন করলেই সেই দাবি ভুল হওয়ার যুক্তি হলো ফ্যালাসি ফ্যালাসি বা অপযুক্তির কুযুক্তি।[১] একে argument to logic (argumentum ad logicam), কুযুক্তির কুযুক্তি ( the fallacy fallacy),[২] কুযুক্তিকের কুযুক্তি (the fallacist's fallacy)[৩] ও বদকারণিক কুযুক্তি (the bad reasons fallacy)[৪] বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

যেকোন বিতর্কে কোনো কেইস বা অবস্থান গঠনের জন্য কিছু যৌক্তিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়া বা logical operation সম্পাদন করা আবশ্যক। অন্যথায় সব যৌক্তিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ফলাফলও ভুলই হবে।

আবার একটা সঠিক দাবি উত্থাপনের লক্ষ্যে বেঠিক যুক্তির আশ্রয় নিলে কিন্তু দাবিটি মিথ্যা হয় না। “পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে” দাবিটির পক্ষে লড়তে গিয়ে প্রতিপক্ষকে কোন অপ্রাসঙ্গিক যুক্তি দিলে বা প্রসঙ্গচ্যুত হলেও, মূল দাবিটির সত্যতা বিন্দুমাত্র কমবে না।

একটি আরগুমেন্ট প্রতিষ্ঠা করার জন্য লজিক্যাল অপারেশনগুলো সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদন করাই মুখ্য নয়, অনুমিতিগুলোর সত্যতাও নিশ্চিত করা আবশ্যক।

উদাহরণ[সম্পাদনা]

ব্যক্তি ক দাবি করল যে পত্রিকার স্বাস্থ্য পাতার চিকিৎসক কলামলেখক যেহেতু বলেছেন দৈনিক দুটো ডিম খাওয়া বর্তমানে খুব প্রচলিত, তার মানে দৈনিক দু’টো ডিম খাওয়া নিশ্চয়ই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী! ব্যক্তি ক এখানে একাধারে চিকিৎসকের প্রতি appeal to authority হেত্বাভাসের শিকার হয়েছে ও লেখকের ব্যক্তিনিষ্ঠ(subjective) বক্তব্য হতে অযৌক্তিকভাবে একটা বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। ব্যক্তি ক-এর সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াটি ভুল, কিন্তু এতে প্রতিদিন দুটো ডিম খাওয়ার সম্ভাব্য উপকারিতা বাতিল হয়ে যায় না। কোন ব্যক্তি ঙ যদি এখন দাবি করে যে যেহেতু ব্যক্তি ক অপযুক্তি দিয়েছে তাই ডিম খাওয়া খারাপ, তাহলে তিনিও Fallacy fallacy বা আর্গুমেন্ট ফ্রম ফ্যালাসির শিকার হয়েছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. K. S. Pope (২০০৩)। "Common Logical Fallacies in Psychology: 26 Types & Examples"। Fallacies & Pitfalls in Psychology। 
  2. Burkle-Young, F. A.; Maley, S. (১৯৯৭)। The research guide for the digital age। পৃষ্ঠা 324। আইএসবিএন 978-0-7618-0779-7 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ff নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. Warburton, Nigel (২০০৭)। Thinking from A to Z। Routledge। পৃষ্ঠা 25। আইএসবিএন 978-0-4154-3371-6। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৩