হিসিলা য়মী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হিসিলা য়মী
हिसिला यमी
নয়া দিল্লির ইন্ডিয়া হ্যাবিট্যাট সেন্টারে তার মেয়ে মানুষী ভট্টরাইকে নিয়ে নির্মিত নেপালের কন্যা স্ক্রিনিংয়ে হিসিলা য়মি
নেপাল সমাজতন্ত্রী দলের সহসভাপতি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৮ জুলাই ২০২২
পূর্বসূরীঅবস্থান প্রতিষ্ঠিত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1959-06-25) ২৫ জুন ১৯৫৯ (বয়স ৬৪)
কাঠমান্ডু
জাতীয়তানেপালি
রাজনৈতিক দলনেপাল সমাজবাদী দল
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
  • সিপিএন (মাওবাদী) (২০০১ - ২০১৫)
  • নয়া শক্তি পার্টি, নেপাল (২০১৬ - ২০১৯)
  • সমাজবাদী পার্টি, নেপাল
দাম্পত্য সঙ্গীবাবুরাম ভট্টরাঈ
সন্তান
মাতাহীরা দেবী কংসকর
পিতাধর্মরত্ন য়মি
শিক্ষাএম. স্থাপত্য
প্রাক্তন শিক্ষার্থীনিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ, স্থপতি
ডাকনামপার্বতী (ছদ্মনাম)

হিসিলা য়মি (নেপালি: हिसिला यमी) (জন্ম ২৫ জুন ১৯৫৯), তার ছদ্মনাম পার্বতী নামেও পরিচিত, একজন নেপালি রাজনীতিবিদ এবং স্থপতি। তিনি নেপাল সমাজতন্ত্রী দলের সহসভাপতি এবং সারা নেপাল নারী সংস্থার (বিপ্লবী) প্রাক্তন সভাপতি। তার বাবা ধর্মরত্ন য়মি ছিলেন একজন নেপালি সমাজকর্মী, লেখক এবং সরকারের উপমন্ত্রী।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

য়মি ১৯৮২ সালে ভারতের দিল্লির পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তিনি তার স্থাপত্যকলায় এমআর্কিটেক্ট সম্পন্ন করেন। ১৯৯৫ সালে মার্কিন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ নিউক্যাসল আপন টাইন থেকে এমআর্কিটেক্ট শেষ করেন।

সক্রিয়তা[সম্পাদনা]

পঞ্চায়েত শাসনের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের বিদ্রোহের সময়, য়মি বিক্ষোভে সবচেয়ে উচ্চ-পদস্থ নারী নেতাদের একজন ছিলেন। তিনি সারা ভারত নেপালি ছাত্র সংস্থার ১৯৮১১-১৯৮২ সময়ের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রকৌশল ইন্সটিটিউট, পুলচক ক্যাম্পাসে প্রভাষক ছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সারা নেপাল নারী সমিতির (বিপ্লবী) সভাপতি হন এবং দুই বছরের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (মাওবাদী) নেতৃত্বে গণযুদ্ধের সূচনার পর তিনি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান। ২০০১ সাল থেকে, তিনি সিপিএন (মাওবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন এবং পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে কাজ করেছেন।

রাজনৈতিক পেশা[সম্পাদনা]

সরকার এবং মাওবাদীদের মধ্যে তৎকালীন চলমান শান্তি আলোচনা চলাকালীন ১৮ জুন ২০০৩-এ তিনি তার প্রথম জনসাধারণের সমক্ষে উপস্থিত হন।[১]

২০০৫ সালের প্রথম দিকে তিনি এবং ভট্টরাঈ, দিনা নাথ শর্মার সাথে পার্টি নেতৃত্বের দ্বারা পদত্যাগ করেছিলেন। জুলাই মাসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে পুনর্বহাল হন। ১ এপ্রিল ২০০৭-এ হিসিলা য়মি নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারে ভৌত পরিকল্পনা ও কর্ম মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন।[২] সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ২০০৭ পর্যন্ত সরকারের মাওবাদী বয়কটের পর, য়মি আবার ৩১ ডিসেম্বর ২০০৭-এ ভৌত পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।[৩] ২০০৮ সালের সাংবিধানিক পরিষদ নির্বাচনের বিজয়ের পর, তিনি কাঠমান্ডু আসন নং ১৭ থেকে, তিনি গণপরিষদের সদস্য হন। তিনি সেপ্টেম্বরে সিপিএন (মাওবাদী) নেতৃত্বাধীন সরকারে পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন।

২০১৫ সালে, য়মি এবং ভট্টরাঈ সিপিএন (মাওবাদী) থেকে আলাদা হয়ে যান। ২০১৬ সালে, তারা নয়া শক্তি পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। [৪] ৯ মে, ২০১৯-এ, নয়া শক্তি, ফেডারেল সোশ্যালিস্ট ফোরামের সাথে একত্রিত হয়ে সমাজবাদী পার্টি, নেপাল প্রতিষ্ঠা করে।[৫] পরে সমাজবাদী পার্টি রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনতা সমাজবাদী পার্টি গঠন করেন।[৬] ২০২০ সালে, য়মি জনতা সমাজবাদী পার্টির অংশ ছিলেন।[৭]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

য়মি সহকর্মী মাওবাদী নেতা বাবুরাম ভট্টরাইকে বিয়ে করেছেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১]
  2. "eKantipur.com - Nepal's No.1 News Portal"। ২০০৭-০৯-২৭। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৪ 
  3. "Nepal swears in Maoist ministers", Al Jazeera, December 31, 2007.
  4. Mitra, Devirupa। "'We Did the Right Thing by Leaving Prachanda': Hisila Yami"The Wire। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০২০ 
  5. "Forum, Naya Shakti unify to form Samajwadi Party"OnlineKhabar। ৬ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০২০ 
  6. "Two key Madhesi parties in Nepal merge to form Janata Samajwadi Party"The Week। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০২০ 
  7. "JSP-N MP's abduction case a hot potato"The Himalayan Times। ২৯ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০২০