বিষয়বস্তুতে চলুন

হালতির বিল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হালতি বিল

হালতির বিল বা হালতি বিল নাটোর সদর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে নলডাঙ্গা থানার অন্তর্গত বিল। এটি অত্র অঞ্চলের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।[]

বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে এখানে পাটুল থেকে খাজুরা পর্যন্ত যে রাস্তা আছে সেটাই বেশি আকর্ষনীয়। বর্ষায় যখন পানিতে পরিপূর্ণ হতে থাকে বিল, তখন এই রাস্তার সৌন্দর্য বাড়তে থাকে। পর্যটকের ভিড় তখন বাড়তে থাকে।

বিলের ভিতরে দ্বীপের মত যে ছোট ছোট গ্রাম আছে, সেগুলো আরো মনোমুগ্ধকর। নাটোর সদর উপজেলার পিপরুল, খাজুরা, মাধনগর ও ব্রক্ষপুর ইউনিয়নের বিস্তৃত এলাকা  হালতি বিলের অংশ। বৈশাখ মাস হতে কার্তিক মাস পর্যন্ত  বিল এলাকা ৫ ফুট হতে ৮ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। প্রাকৃতিক মাছের প্রজননস্থল হিসেবে হালতি বিল বিখ্যাত। হালতি বিল আত্রাই নদীর সাথে সংযুক্ত। শীতকালে হালতি বিলের যে অংশে পানি থাকে - তা ম‌ৎস অভয়ারন্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে উক্ত অভয়ারন্যে শীতকালে যে মাছগুলোকে সংরক্ষণ করা হয় - সেগুলো বর্ষাকালে হালতি বিলে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রজনন মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রচুর পরিমাণ মাছ উৎপাদন করে। এ এলাকায় উৎপাদিত ছোট-বড় দেশী মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু। বর্ষাকালে এ এলাকার প্রাকৃতিক দৃশ্য নয়নাভিরাম । বর্ষাকালে হালতি বিলে নৌ-ভ্রমণের  জন্য পাটুল- হাপানিয়া এলাকায়   প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে।[]

বর্ণনা

[সম্পাদনা]

উত্তরাঞ্চলে কোনো সমুদ্র নেই, তাই এ অঞ্চলের মানুষের কাছে সমুদ্রসৈকত এক স্বপ্ন। তবে নাটোরের হালতি বিল এখন সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে এই এলাকার সাগরপিয়াসী মানুষদের। হালতি বিলের উত্তাল জলরাশি আর ঢেউ যে কারো মন নিমেষেই ভালো করে দেয়ার মত। বর্ষায় অথৈ পানি আর শীতে ফসলি জমির এই বিলের মাঝ বরাবর ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক নির্মাণ করা হয় ২০০৪ সালে।[]

পর্যটন আকর্ষণ

[সম্পাদনা]

পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে অনেক দোকানপাট, হোটেল ইত্যাদি। এই বিলে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসছেন সমুদ্রের স্বাদ নিতে। বিলের সামনের পাটুল-খাজুরা রাস্তায় যেতেই চোখে পড়বে বড় অক্ষরে লেখা সাইনবোর্ড 'পাটুল মিনি কক্সবাজার'। পথ ধরে দু'কদম গেলেই চোখে পড়বে উত্তাল জলরাশি।

চিত্রকক্ষ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "এক মহা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নাটোরের হালতির বিল - The Dhaka Times"The Dhaka Times। ৮ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৬ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. "উত্তরাঞ্চলের কক্সবাজারনাটোরের হালতি বিল"Samakal Online Version। ১৩ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৬