হাতপাখা
এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। (জানুয়ারি ২০২৩) অনুবাদ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী পড়ার জন্য [দেখান] ক্লিক করুন।
|
হাতপাখা হচ্ছে গরমে বিশেষত গ্রীষ্মকালে প্রশান্তির জন্য ব্যবহৃত হাতে চালিত পাখা। এটি বাংলাসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি অংশ।[১][২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]হাতপাখা তৈরি ও ব্যবহারের ইতিহাস বহু প্রাচীন। প্রায় তিন হাজার বছর গ্রিক-রােমান যুগেও হাতপাখার প্রচলন ছিল। তৎকালীন রাজাদের সিংহাসনের দুই পাশে ময়ূরের পালক বা রেশমি কাপড়ের তৈরি পাখা হাতে ডানে-বাঁয়ে দাঁড়িয়ে বাতাস করার প্রচলন ছিল।অনেকেই শৌখিন বেশে কাছারিঘরে ছাদ বরাবর কড়িকাঠে ঝাুলিয়ে রাখতেন। এই ধরনের বড় হাতপাখা কাপড়ের তৈরি ছিল যা রশি টেনে চালানাে হতো।
বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]প্রাচীন সময়ে বেত, বাঁশ, তালগাছের ডাল, তালের পাতা বা কাপড় দিয়ে হাতপাখা তৈরি করা হলেও আধুনিক সময়ে প্লাস্টিকসহ অন্যান্য বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি হাতপাখা পাওয়া যায়। এসব হাতপাখাতে বিভিন্ন কারুকাজও করা হয়ে থাকে যা নকশি পাখা নামে পরিচিত[৩] এবং অনেকটা নকশিকাঁথার মতাে। তবে পাখার ক্ষেত্রফল কম হওয়ায় সেখানে বিস্তৃত কারুকাজের সুযােগ কম। তবে সুতা দিয়ে পাখার গায়ে পাখি, ফুল, লতাপাতা, কারও মানুষের নাম অথবা চিহ্ন ফুটিয়ে তােলা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে ময়মনসিংহ, নরসিংদী, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু জেলায় হাতপাখা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়। শীতের মাঝামাঝি সময়ে তালপাতার পাখা তৈরির কাজ শুরু হয়ে থাকে যা গ্রীষ্ম পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
উপকরণ ও বুননশৈলী
[সম্পাদনা]তালপাতা বা বাঁশ, বাঁশের কঞ্চি ও সুই-সুতা হলাে হাতপাখার উপকরণ। প্রথমে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে অথবা রোদে রাখা হয় পাতা। তারপর সেই পাতাকে সুবিধামত আকারে কাটা, সরু লম্বা কাঠি দিয়ে বাঁধা, রং করা প্রভৃতি পর্বের মধ্য দিয়ে পাখা তৈরি হয়। কেবল তালপাতা দিয়েও পাখা তৈরি করা যায় এতে অতিরিক্ত হিসেবে কেবল সুতার প্রয়োজন হতে পারে যদিও সুতা ছাড়াও তালপাতার পাখা তৈরি সম্ভব। একটি তালপাতা থেকে একাধিক পাখা তৈরি করা যায়। বর্তমানে তালগাছ কমে আসার ও সর্বত্র বিদ্যুতের সরবরাহ থাকায় এর উৎপাদন কমে গিয়েছে।[৪] তবে আধুনিক সময়ে প্লাস্টিকের তৈরি হাতপাখাও পাওয়া যায় যা সাধারণত কলের তৈরি।[৫][২]
তথ্যসুত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Bangla, Aparajeo। "তালপাতার হাতপাখায় জীবনগাঁথা...পুঁজি সঙ্কটই বড় বাধা"। Aparajeo Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১২।
- ↑ ক খ পারভেজ, আনোয়ার। "কাহালুর হাতপাখা ব্যবসায় বৈশাখী হাওয়া"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "নকশি পাখা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১২।
- ↑ "হাতপাখার নেশায় ৫৭ বছর"। Newsbangla24। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১২।
- ↑ "হাতপাখার সাতকাহন"। Jugantor (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১২।