হাইড্রেনজিয়া
হাইড্রেনজিয়া বা রতনরাজি হলো Hydrangeaceae পরিবারভুক্ত ফুল। এর বৈজ্ঞানিক নাম: Hydrangea macrophylla।[১]
হাইড্রেনজিয়া | |
---|---|
![]() | |
Hydrangea macrophylla | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiospermae |
শ্রেণীবিহীন: | Eudikotil |
শ্রেণীবিহীন: | Asteridae |
বর্গ: | Cornales |
পরিবার: | Hydrangeaceae |
গণ: | Hydrangea L. |
Spesies | |
Lihat teks |
নিবাস[সম্পাদনা]
চীন ও জাপান এই ফুলের আদি নিবাস। বাংলাদেশে সাধারণত সাদা নীলচে বেগুনি রঙের একটি জাত বেশি দেখা যায়। সাধারণত টবেই চাষ করা হয় ফুলটি। ফুলের মৌসুমে বিভিন্ন নার্সারিতে দেখা যায় ফুলগাছটি। এর বংশবৃদ্ধি হয় কাটিং ও মূলের গেঁড় থেকে। অল্প রোদ, ছায়াঘর ও স্যাঁতসেঁতে জায়গা এর জন্য উপযোগী।
বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]
হাইড্রেনজিয়া ফুলের গন্ধ নেই। তবে এর চমৎকার একটি বৈশিষ্ট্য হলো—ফুলটি রঙ বদলায়। ফোটার সময় গাঢ় হলুদ তারপর সাদা এবং শেষে নীলচে বেগুনি রঙ ধারণ করে ঝরে পড়ে। এ ফুলগাছটি দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। টবে এবং মাটিতে সরাসরি দু’ভাবেই চাষ করা যায়। ছায়াযুক্ত ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায়ও গাছটি বেঁচে থাকতে পারে। হাইড্রেনজিয়ার মঞ্জরি গুচ্ছবদ্ধ, বেশ বড় ও আয়তাকার। পাপড়ির সংখ্যা চার বা ততোধিক, মসৃণ ও পুরু। আমাদের দেশে সাদা-গোলাপি মেশানো হাইড্রেনজিয়া হর্টেনসিস ভ্যারাইটি জাতটি সহজলভ্য। এটি জাপানের Hydrangea macrophylla জাতের শঙ্কর। হাইড্রেনজিয়ার প্রায় ৮০টি জাতের অধিকাংশই শীতপ্রধান এলাকায় সহজলভ্য।[২] এ ফুল ফোটার মৌসুম বসন্ত ও গ্রীষ্ম। আমাদের দেশে সাধারণত বসন্তের শেষভাগ থেকেই ফুটতে শুরু করে ফুলটি। নজরকাঁড়া সৌন্দর্যের কারণে কদর বাড়ছে চিত্তাকর্ষক হাইড্রেনজিয়ার। [২]
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
Hydrangea sp painted by the botanical artist Redouté.
Hydrangea flowers at the "Cerro El Avila" National Park, Venezuela.
Hydrangea flowers in Petrópolis, Brazil.
Hydrangeas near the Black Lake of Gramado, southern Brazil.
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "The United States National Arboretum: Hydrangea FAQ"। ১৬ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ ক খ "হাইড্রেনজিয়া"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৫।
