স্বরূপ সন্ধান (প্রামান্য চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্বরূপ সন্ধান
পরিচালকমুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
আরাফাতুল কবির রিজভী
সুরকারদিদারুল করিম
রবিন্স চৌধুরী
চিত্রগ্রাহককামরুজ্জামান ফিরোজ
মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
সম্পাদকআবু সুফিয়ান
পরিবেশকঅন্বেষা প্রোডাকশন
মুক্তি২ এপ্রিল ২০১৪
স্থিতিকাল২৪৭ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

স্বরূপ সন্ধান বাংলাদেশের প্রায় ছয় দশকের চলচ্চিত্রের ইতিহাস এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলচ্চিত্রের ভাষা ও সংস্কৃতির পরিবর্তন নিয়ে নির্মিত নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র। এর পরিচালক মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ও আরাফাতুল কবির রিজভী। [১]

১৯৫৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দেশের চলচ্চিত্রের দীর্ঘ পথপরিক্রমার বিষয়ে নির্মাতারা নিজস্ব গবেষণার সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্র অঙ্গনের কয়েক দশকের প্রতিনিধিত্বমূলক নির্মাতাদের বক্তব্য। চলচ্চিত্রের ইতিহাস ও ভাষা-সংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে ১৯ জন চলচ্চিত্র নির্মাতার সাক্ষাৎকার স্থান পেয়েছে পর্যবেক্ষণমূলক এই চলচ্চিত্রে।

‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের স্বরূপ সন্ধান’ বা সংক্ষেপে ‘স্বরূপ সন্ধান’ নামের নিরীক্ষাধর্মী এই চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য ২৪৭ মিনিট। চলচ্চিত্রটি সম্পাদনা করেছেন আবু সুফিয়ান। এতে সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন কামরুজ্জামান ফিরোজ ও মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।

নির্মাণ ইতিহাস[সম্পাদনা]

‘স্বরূপ সন্ধান’-এর অন্যতম নির্মাতা মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, ‘চলচ্চিত্রের ইতিহাস এবং এর নানা গতি-প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, মূলত সামরিক শাসন ও গণতান্ত্রিক শাসনামলসহ নানা রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পালটে গেছে চলচ্চিত্রের ভাষা ও সংস্কৃতির ধারা।’ তিনি জানান, পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের গতি-প্রকৃতিকে কয়েকটি পর্বে ভাগ করে এই সেই পর্বের চলচ্চিত্র ভাষা ও ধারাকে তুলে ধরা হয়েছে ‘স্বরূপ সন্ধান’-এ। বিভিন্ন সময়ে দেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলন, সংগ্রাম এবং বিভিন্ন শাসনামলের সরাসরি প্রভাব পড়েছে সেই সময়ের চলচ্চিত্রে।[২]

‘স্বরূপ সন্ধান’ চলচ্চিত্রটিতে ইতিহাসক্রম অনুযায়ী উপস্থাপিত এই পর্বগুলো হলো— প্রতিবাদ পর্ব (১৯৫৬-৭০), প্রতিরোধ পর্ব (১৯৭১), আবেগ পর্ব (১৯৭২-৭৫), সম্ভাবনা পর্ব (১৯৭৬-৯৮), স্বপ্নভঙ্গ পর্ব (১৯৯৩-২০০৭) এবং বিনির্মাণ পর্ব (১৯৯৯-২০১১)।[৩]

স্বরূপ সন্ধানের জন্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে মতামত দিয়েছেন প্রয়াত পরিচালক সুভাষ দত্ত, আমজাদ হোসেন, চাষী নজরুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, তানভীর মোকাম্মেল, মোরশেদুল ইসলাম, নারগিস আক্তার, কাজী হায়াৎ, ফৌজিয়া খানসহ আরও অনেকে। [৪]

সংগীত[সম্পাদনা]

প্রযোজনা সংস্থা ‘অন্বেষা’র ব্যানারে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছেন দিদারুল করিম ও রবিন্স চৌধুরী এবং গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভাগীরথ মালো। [৩]

নির্মাতা[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রে অন্যতম পরিচালক মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্রসহ দৃশ্যশিল্পের নানা মাধ্যম নিয়ে গবেষণা ও পাঠদান করেছেন। পেশাদার সাংবাদিকতায় কর্মরত ছিলেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রধান আলোকচিত্রী হিসেবে। বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজমের ফ্যাকাল্টি সদস্য। অপর পরিচালক আরাফাতুল কবির রিজভী চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে কাজ করছেন।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে 'স্বরূপ সন্ধান'"। ৩০ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৪ 
  2. ছয় দশকের চলচ্চিত্রের ‘স্বরূপ সন্ধান’
  3. "চলচ্চিত্র দিবসে চলচ্চিত্রের 'স্বরূপ সন্ধান'"। ১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৪ 
  4. "চলচ্চিত্র দিবসে 'স্বরূপ সন্ধান'"। ৩০ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]