স্ক্যাভেঞ্জার হান্ট
স্ক্যাভেঞ্জার হান্ট একটি দলবদ্ধ খেলা যেখানে আয়োজকেরা কিছু নির্দিষ্ট কিছু জিনিসের তালিকা তৈরি করেন যা প্রতিযোগীদের খুঁজে বের করতে হয়(জিনিস) অথবা করে দেখাতে হয়(কাজ)। তবে শর্ত হচ্ছে কোন জিনিস কেনা যাবে না। [১] সাধারণত প্রতিযোগীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে এই খেলা খেলে থাকে। খেলার লক্ষ্য হল সবার আগে সব জিনিস খুঁজে বের করা অথবা সবচেয়ে বেশীসংখ্যক কাজ সম্পন্ন করা।
খেলাটির বিভিন্ন রকমভেদ দেখা গেলেও একটা দিক সর্বক্ষেত্রেই লক্ষ্যণীয়। এক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের যেসব কাজ সম্পন্ন করতে দেয়া হয় তাতে প্রচুর সৃষ্টিশীলতার ছাপ থাকে। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল যে ট্রেজার হান্ট বা গুপ্তধন খোঁজ এর সাথে এর বেশ ভালোরকমের একটা পার্থক্য আছে। ট্রেজার হান্টে মূল্যবান কিছু খুঁজতে দেয়া হয় । কিন্তু স্ক্যাভেঞ্জার হান্টে সেইসব জিনিস খুঁজতে দেয়া হয় যার দিকে হয়তো আমরা প্রতিদিনই তাকাই কিন্তু দেখিনা অথবা এমন কোন সৃষ্টিশীল কাজ করতে দেয়া হয় যা হয়তো নিয়মিত কেউ করে না।[২]
বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ মারকাস মন্টোলার মতে, এই খেলার উৎপত্তি হয়েছে প্রাচীন লোকজ খেলা থেকে।[৩] গসিপ কলামিস্ট এলসা ম্যাক্সওয়েল সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রে এ খেলা জনপ্রিয় করেন। এজন্য তিনি ১৯৩০ এর দশকে নিউ ইয়র্কে বেশ কয়েকটি খেলার আয়োজন করেন।[৪][৫] নিউ ইয়র্কের অভিজাত পরিবারগুলোয় এই খেলার প্রভাব তুলে ধরে ১৯৩৬ সালে My Man Godfrey নামক বিদ্রূপাত্মক চলচ্চিত্র মুক্তি পায় যেখানে কিছু অভিজাত প্রতিযোগীদের একজন ঘরহারা লোক খুঁজে বের করতে বলা হয়।[৬]
আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সাধারণত নিয়মিত এই খেলার আয়োজন করা হয়। যার উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হল ১৯৮৭ সালে চালু শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় স্ক্যাভেঞ্জার হান্ট
যা এখনো প্রতি বছর মে মাসে চার দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হয়। দিনবিন্যাস এমনভাবে করা হয় যাতে ফলাফল নির্ধারণের দিনটি মা দিবস এ অনুষ্ঠিত হয়। ইউটা অঙ্গরাজ্যের প্রোভো শহর ২০৭৯ প্রতিযোগী নিয়ে স্ক্যাভেঞ্জার হান্ট আয়োজন করে বিশ্বরেকর্ড গড়ে।[৭]
ইন্টারনেট এবং মিডিয়া স্ক্যাভেঞ্জার হান্ট[সম্পাদনা]
ইন্টারনেট স্ক্যাভেঞ্জার হান্ট মাঝে মাঝে অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কারের বিনিময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং ধাঁধা সমাধানের আহবান জানায়। প্রথম ইন্টারনেট হান্ট ১৯৯২ এ রিক গেটস আয়োজন করেন শুধুমাত্র জনগণকে ইন্টারনেট কার্যকরভাবে ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে ।বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন সিরিজ স্ক্যাভেঞ্জার হান্টকে বাজারজাতকরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, যার মধ্যে দ্য দা ভিঞ্চি কোড (উপন্যাস) এবং The Lost Room উল্লেখযোগ্য[৮]।অভিনেতা মিশা কলিন্স বর্তমানে একটি গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের মালিক।তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্ক্যাভেঞ্জার হান্টের আয়োজন করেন যাতে ৯০ টি দেশের ১৪৫৮০ জন প্রতিযোগী ৯৭২ টি দলে ভাগ হয়ে অংশ নেয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Debra., Wise, (২০০৩-০১-০১)। Great Big Book of Children's Games.। McGraw-Hill। আইএসবিএন 0071422463।
- ↑ ["Scavenger Hunt vs Treasure Hunt – The Difference". Scavenger Hunt Ideas. Retrieved 27 June 2016. "Scavenger Hunt vs Treasure Hunt – The Difference"]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। http://www.scavengerhuntideas.com/। Master Scavenger। সংগ্রহের তারিখ 27-4-2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য);|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "The Hunter Games"। THE NEW YORKER। Patricia Marx। 02-07-2012। সংগ্রহের তারিখ 27-04-2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "The Press: Elsa at War"। TIME। 27-11-1944। সংগ্রহের তারিখ 27-4-2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Life Magazine, 9 (25), Time, Inc., Dec 16, 1940,,। পৃষ্ঠা p. 53। আইএসবিএন ISSN 0024-3019
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। - ↑ City that Never Sleeps। Rutgers University Press। ২০০৭। পৃষ্ঠা p. 153। আইএসবিএন -13:978-0-8135-4032-0(pbk: alk paper)
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। - ↑ "Largest scavenger hunt"। http://www.guinnessworldrecords.com/। Guinness World Records। 27-6-2016। সংগ্রহের তারিখ 27-4-2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য);|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "Win $5 M In Lost Room Hunt"। http://www.sliceofscifi.com/। SAM SLOAN। 22-11-2006। সংগ্রহের তারিখ 27-4-2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য);|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)