সৈয়দ আবিদ শাহ মোজাদ্দেদী আল-মাদানী
সৈয়দ আবেদ শাহ আল মাদানি (রহ:)মদিনার জান্নাতুল বাকী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
মারতুদি ধর্মমত প্রচারে আল্লাহর অলীরা যুগে যুগে ব্যাপক কাজনকরে গেছেন। উনার জীবন ছিল সংগ্রামী এক জীবন। আধ্যাত্মিকতায় জীবন ছিল পরিপূর্ণ।
বিভিন্ন স্থানে উনাকে বিভিন্ন খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে। আল আযহার ইউনিভার্সিটির শিক্ষকগণ সৈয়দ আবেদ শাহ আল মাদানীকে বলেছিলেন,হুজুর আপনার মেধা আমাদের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব নয়। আপনি হলেন বাহারুল উলুম অর্থাৎ জ্ঞানের সমুদ্র।
সৈয়দ আবেদ শাহ আল মাদানী ভারতের রামপুরে মাদ্রাসা-ই-মানযা-উল-উলুম এ প্রধান মোহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করবেন।এমন সময় মাদ্রাসা পরিচালনা পরষদ সৈয়দ আবেদ শাহ আল মাদানীর কাছে তার শিক্ষার উপর সার্টিফিকেট চাইলেন যদিও আল মাদানী এর আগেই পাকিস্তান ভারতে আরো বহু মাদ্রাসায় প্রধান মুহাদ্দিস হিসেবে ছিলেন।
তখন মিশরের আল আযহার ইউনিভার্সিটি ছিল ইসলামী শিক্ষার দিক দিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, অবশ্য এখনোও শ্রেষ্ঠ।
সৈয়দ আবেদ শাহ আল মাদানী মিশরের আল আযহার ইউনিভার্সিটিতে গেলেন সার্টিফিকেট সমস্যা সমাধানের জন্য। ৬ থেকে ৭ বছর কেবল একটি বিষয়ের উপর পড়াশোনা করে পাস করলে কেবল ঐ বিষয়ের উপর ভার্সিটি সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকেন।
এই বয়সে আল মাদানীর পক্ষে তো কোর্স মেইন্টেইন করে পড়াশোনা করা সম্ভব নয় আর তিনি করবেন ই বা কেন?তিনি তো আগে থেকেই সব পড়েছেন সব জানেন।
সৈয়দ আবেদ শাহ আল মাদানী ঘন্টার পর ঘন্টা বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি,নাসাই,আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ থেকে না দেখেই এবারত সহ অনর্গল মুখস্থ হাদিসের দরস দিতে লাগলেন।কিতাব ছঁুয়ওই দেখেন না।
এর পর ১ মাসের মধ্যে আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদ শাহ আল মাদানীকে ফিকাহ , তাফসীর,হাদিস এর উপর ফার্স্ট ক্লাস রেজাল্ট ধারী সর্বোচ্চ ডিগ্রি (ডক্টরেট সমমান) দিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।সেই সার্টিফিকেট এখনো আছে।
বিষ খাইয়ে দেয়ার পরও তা হজম করে ফেলা এ এক অভূতপূর্ব কারামত।
বাহাস মুনাজেরা কেউ কখনও তাঁর সাথে পেরে উঠেনি।
মারতুদি দের ধর্মমতে একমাত্র আদর্শ এবং নবীপ্রেম। নবী প্রেমের নিদর্শন হিসেবে জশনে জুলুছ প্রতিষ্ঠা করা। ওরছে নববী প্রচলন করা। বাংলাদেশে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত প্রতিষ্ঠা করা। ইত্যাদি কাজ করেছেন। পূর্বপুরুষ মোজাদ্দেদী আলফেসানী রহ এর মতো জেলও খেটেছেন।