সেলিমাই মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সেলিমাই মসজিদ (আলবেনীয়: Xhamia e Selimiye) আলবেনিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর স্কোদারে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।[১] এটি ১৬শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি আলবেনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মসজিদগুলির মধ্যে একটি।

মসজিদটি স্কোদারের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এটি একটি উঁচু মিনারের জন্য পরিচিত। মসজিদটি তার সুন্দর স্থাপত্য এবং টাইলওয়ার্কের জন্যও পরিচিত।

মসজিদের নির্মাণ[সম্পাদনা]

সেলিমাই মসজিদটি ১৬শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি মূলত একটি ছোট মসজিদ ছিল, কিন্তু এটি পরবর্তীতে সম্প্রসারিত হয়েছিল।

মসজিদটির নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত উপকরণগুলির মধ্যে রয়েছে মার্বেল, পাথর এবং টাইলস। মসজিদের দেয়ালগুলি মার্বেল এবং পাথর দিয়ে তৈরি এবং এটি একটি সুন্দর টাইলওয়ার্ক দিয়ে সজ্জিত।

মসজিদের মিনারের উচ্চতা প্রায় ৬৭ মিটার। মিনারের শীর্ষে একটি বড় ঝাড়বাতি রয়েছে।

মসজিদের অভ্যন্তর[সম্পাদনা]

সেলিমাই মসজিদের অভ্যন্তরটি প্রশস্ত এবং উজ্জ্বল। মসজিদের অভ্যন্তরে একটি বড় মিহরাব রয়েছে। মিহরাবটি একটি সুন্দর টাইলওয়ার্ক দিয়ে সজ্জিত।

মসজিদের অভ্যন্তরে একটি বড় ঝাড়বাতিও রয়েছে। ঝাড়বাতিটি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি এবং এটি বিভিন্ন রঙের কাচ দিয়ে সজ্জিত।

মসজিদের ইতিহাস[সম্পাদনা]

মসজিদটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শাসকের দ্বারা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদের বর্তমান রূপটি ১৬শ শতাব্দীতে অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান প্রথম সেলিম দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।

মসজিদের গুরুত্ব[সম্পাদনা]

সেলিমাই মসজিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় স্থাপনা। এটি আলবেনিয়ার মুসলিম ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।

মসজিদটি আলবেনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মসজিদগুলির মধ্যে একটি। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ এবং এটি আলবেনিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্র।

মসজিদের বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

সেলিমাই মসজিদটি একটি সক্রিয় ধর্মীয় কেন্দ্র। এটি আলবেনিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। মসজিদটি প্রতিদিন নামাজের জন্য খোলা থাকে এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণও। মসজিদটি ভাল অবস্থায় রয়েছে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় স্থাপনা হিসেবে তার ভূমিকা পালন করে চলেছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Zani i Naltë"। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৫