বিষয়বস্তুতে চলুন

সিমলাপাল মঙ্গলময়ী বালিকা বিদ্যামন্দির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সিমলাপাল মঙ্গলময়ী বালিকা বিদ্যামন্দির ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার খাতড়া মহকুমার অন্তর্গত। সিমলাপালে এর অবস্থান। মূলত এই এলাকার নারী শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যেই এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়। এই বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠনের সুযোগ রয়েছে। এখানে প্রায় ১৪০০ জন ছাত্রী পড়াশোনা করে। শিক্ষিকা আছেন ২৫ জন।

তথ্য[সম্পাদনা]

DISE CODE: 19132004505

Email: simlapalmmbv@gmail.com

Recog.No:S/238 dated 13-02-1987

Board's Index No: U1-101

H.S Code No:114132

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭৩ সাল। তৎকালীন এম এল এ ফণিভূষণ সিংহবাবুর আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল একটা বালিকা বিদ্যালয় গড়ে তোলার। শুরু হয় বিদ্যালয়ের কাজ। সম্পাদক বগলাপ্রসাদ সিংহবাবু, প্রধান শিক্ষিকা নীলারানি রায়। বিদ্যালয় অনুমোদন না পাওয়া দুই বৎসর চলার পর বন্ধ হয়ে যায়। এর পর দ্বিতীয় বার প্রচেষ্টা ও হয় ১৯৭৯ সালে। সম্পাদক মধুসূদন গরাই। চলে তিন বৎসর। কিন্তু একই কারণে এবারও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ নীরবতা। ১৯৮৫ সালের জুন মাসের ৯ তারিখে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে একটি সভা আহ্বান করা হয়। সভায় ৭৭ জন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি উপস্থিত হন। গঠিত হয় নিম্নরূপ অ্যাডহক কমিটি ১। সত্যকিঙ্কর দাশমহন্ত সভাপতি ২। সুভাষচন্দ্র সিংহবাবু-সম্পাদক ৩। ভাবানীপ্রসাদ সেন (কোষাধ্যক্ষ) ৪। ভূমিদাতা ও ৫।সুধীররঞ্জন রায়। শুরু হয় ভূমিদাতার খোঁজ। ১৫/৮/৮৫ তারিখের সভায় কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য যিনি ভূমি দান করবেন, তাঁর ইচ্ছানুসারেই বিদ্যালয়ের নামকরণ হবে।

সিমলাপাল নিবাসী প্রহ্লাদচন্দ্র সিংহবাবুর পুত্র ধীরেন্দ্রনাথ সিংহবাবুর পত্নী আরতি সিংহবাবু বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য ৪ বিঘা জমি দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ১/১১/৮৫ তারিখে কমিটির সভার তাঁর প্রস্তাবিত মঙ্গলময়ী বালিকা বিদ্যামন্দির নাম রাখার প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো হয়। ১৩/১/৮৬ সভায় আরতি সিংহবাবুর দান করা ৪ বিঘা জমি শ্রদ্ধার সহিত গ্রহণ করা হয় এবং প্রতিষ্ঠাত্রী হিসাবে তাঁর নাম নথিভুক্ত হয়। ২৫/১/৮৬ তারিখে জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দল বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। ১/৫/৮৬ তারিখে বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন জেলা সভাধিপতি দীনবন্ধু মহান্তি। এই বিদ্যালয়ের সরকারিভাবে মাধ্যমিক স্তরের অনুমোদন পায় ১ জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে। ২/৭/৯০ তারিখ থেকে বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে পাঠদান কার্য শুরু হয়। তার আগে ১/১/৮৬ থেকে ২/৭/৯০ এই দীর্ঘ সময় বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন সহ যাবতীয় কাজ সিমলাপাল মদন মোহন উচ্চবিদ্যালয়ে হত।

এই প্রসঙ্গে সিমলাপাল মদনমোহন উচ্চবিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। তাঁরা শ্রম দিয়ে অর্থ দিয়ে সাহায্য না করলে বালিকা বিদ্যালয় গড়ে তোলা সম্ভব হতনা।

১/৩/২০০৩ তারিখে  রাজা শ্যামসুন্দর সিংহচৌধুরীর দান করা ২৫ শতক ভূমিতে গড়ে তোলা "কল্যাণীপ্রসাদ স্মৃতি ছাত্রী নিবাস"এর দ্বারোদঘাটন করেন মাননীয় উপেন কিস্কু। 

২০০৪ সালে এই বিদ্যালয় সরকার কর্তৃক উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত হয়।[১]

শ্রেণি ও বিভাগ[সম্পাদনা]

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এই বিদ্যালয়ে ছাত্রী সংখ্যা।

V= ১৫৬

Vl= ২০৬

Vll= ১৭৮

Vlll= ২১০

IX= ২১১

X= ২৫১

Xl= ১০০

Xll= ৩১

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে এই বিদ্যালয়ে বাংলা, ইংরেজি বিষয় ছাড়াও সংস্কৃত,ইতিহাস ভূগোল এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়গুলি পড়ানো হয়।

তথ্য সূত্র[সম্পাদনা]

  1. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি=সিমলাপাল মঙ্গলময়ী বালিকা বিদ্যামন্দির স্মরণিকা