শেখ মুজিবুর রহমান (সাতক্ষীরার রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শেখ মুজিবুর রহমান
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২০০৮ – ২০১৩
পূর্বসূরীহাবিবুল ইসলাম হাবিব
উত্তরসূরীমুস্তফা লুৎফুল্লাহ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1943-12-03) ৩ ডিসেম্বর ১৯৪৩ (বয়স ৮০)
বড় কাশিপুর, সরুলিয়া, তালা, সাতক্ষীরা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীরাশিদা রহমান (মিনু)
সন্তানসাবরিনা রহমান ও মোস্তাহিদুর রহমান (চঞ্চল)
পিতামাতাশেখ মোকছেদ আলী (পিতা)
আমিরুন্নেছা বেগম (মাতা)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকুমিরা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাজশাহী সরকারী কলেজ, পাকিস্থান প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমান বুয়েট)
জীবিকাব্যবসা

প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান (জন্ম ৩রা ডিসেম্বর ১৯৪৩) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ এবং সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন।

শৈশব ও পড়াশুনা[সম্পাদনা]

শেখ মুজিবুর রহমান সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নের বড় কাশিপুর গ্রামে ১৯৪৩ সালের ৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ মোকছেদ আলী এবং মাতার নাম মোছাঃ আমিরুন্নেছা বেগম। তিনি ছিলেন পিতা-মাতার কনিষ্ঠ সন্তান।

শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শেষে, কুমিরা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ১ম বিভাগ অর্জন করেন। এরপর ১৯৬২ সালে রাজশাহী সরকারী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২য় শ্রেণীতে এইস.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীকালে তৎকালীন পাকিস্থান প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমান বুয়েট) ঢাকা থেকে ১৯৬৮ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) ২য় শ্রেণীতে উত্তীর্ন হন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৮ সালের ১৫ জানুয়ারি রাশিদা রহমান (মিনুর) সাথে সংসার জীবনে আবদ্ধ হন। সংসার জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক (এক কন্যা ও এক পুত্র)। তার কন্যার নাম সাবরিনা রহমান ও পুত্রের নাম মোস্তাহিদুর রহমান (চঞ্চল)।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ হতে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পাকিস্থান প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তির দাবিতে গড়ে তোলা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। পূর্ব পাকিস্থানের স্বাধিকার আন্দোলনে গনঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন সাতক্ষীরা মহাকুমার (বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা) মুজিব বাহিনীর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের এক নং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।।

৮ম ও ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন[সম্পাদনা]

তিনি ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবের কাছে পরাজিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব কে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইঞ্জিঃ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাপ্ত ভোট ছিলো ১৬৮২৯৮ ভোট এবং চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের প্রাপ্ত ভোট ছিলো ১৪১১৬৪ ভোট। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরবর্তীতে তিনি যোগাযোগ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।। [১]

প্রতিষ্ঠাতা[সম্পাদনা]

তিনি সাতক্ষীরার উন্নয়নে এবং গণ-মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি অদ্যাবধি সাতক্ষীরার উন্নয়নে এবং গণ-মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার সাথে সাথে তিনি বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরা মহাকুমার মুজিব বাহিনীর প্রধান হিসেবে অবদান রেখেছেন। তিনি তালা উপজেলার পাটকেলঘাটাতে আমিরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলারোয়া উপজেলার বামনখালীতে ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৯