শিল্প ও সাংগঠনিক মনোবিজ্ঞান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শিল্প মনোবিজ্ঞান হল মনোবিজ্ঞানের যে শাখায় শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা ক্ষেত্রে সংঘটিত মানব আচরণের বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করে। শিল্প মনোবিজ্ঞান বিশেষভাবে শিল্প-কারখানা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত ব্যক্তিদের আচরণ আলোচনা করলেও সাধারনভাবে এর পরিসর আরও বিস্তত। যেমন সরকারি অফিস,  আধা সরকারি অফিস বা স্বায়ত্বশাসিত প্রশাসনিক প্রাতিষ্ঠানের কার্যকলাপও শিল্প মনোবিজ্ঞানের আওতায় পড়ে। অতএব, ব্যাপক অর্থে শিল্প মনোবিজ্ঞানকে মানুষের কার্যকলাপ সংক্রান্ত বিজ্ঞান বলা চলে।

শিল্প মনোবিজ্ঞানের লক্ষ্য[সম্পাদনা]

শিল্প মনোবিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।  উৎপাদনের পরিমানগত এবং গুনগত মানের সমৃদ্ধি সাধন করা। যেহেতু এটি একটি মনোবিজ্ঞান তাই উৎপাদনের সাথে জড়িত কর্মচারীদের সকল আচরণ যেমন দক্ষতা, মনোবল, কর্মসন্তুষ্টি পর্যালোচনা করে। সঠিক ব্যক্তিদের নির্বাচন, সুষ্ঠ প্রশিক্ষণ এবং কর্ম প্রেরণা সৃষ্টি করাই শিল্প মনোবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য। এমনকি কর্মচারীদের সমস্ত অভিযোগ শ্রবণ করে মালিকের মতামত নিয়ে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করাও শিল্প মনোবিজ্ঞানের কাজ।

শিল্প মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]

শিল্প মনোবিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু তুলে ধরা হল:

  • কর্ম ও কর্মী বিশ্লেষণ ( Job and Worker analyses)
  • কর্মচারী নির্বাচন ( Personnel selection)
  • শিল্পে প্রশিক্ষণ ( Training in industry)
  • প্রকৌশল মনোবিজ্ঞান ( Engineering psychology)
  • কর্মদক্ষতা ও ক্লান্তি ( Efficiency and Fatigue)
  • শৈল্পিক দুর্ঘটনা (Industrial Accident)
  • শিল্পে মানবিক সম্পর্ক (Human relation in industry)
  • কর্মসন্তুষ্টি ও কর্মচারী মনোবল ( Job satisfaction and employee morale)
  • বিজ্ঞাপন ও ভোক্তা জরিপ ( Advertising and consumer survey)
  • শিল্প মনোবিজ্ঞানের গবেষণা ( Research in Industrial psychology)

শিল্প মনোবিজ্ঞানের ঐতিহাসিক পটভূমি[সম্পাদনা]

শিল্প মনোবিজ্ঞানের জন্ম ও বিকাশের সাথে যে সব মনোবিজ্ঞানী জড়িত ছিলেন তাঁদের মধ্যে স্কট ( W.D Scott) এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য.

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]