শিয়াবে আবি তালিবে বন্দি
শিয়াবে আবি তালিব দ্বারা ৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে কুরাইশ সম্প্রদায় দ্বারা বনু হাশিম গোত্রকে বয়কট করা বুঝানো হয়।[১] মক্কার কুরাইশ সম্প্রদায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে হত্যা করার জন্য আত্নপক্ষ সমর্থন করতে বললে আবু তালিব এটাকে প্রত্যাখান করে। তখন কুরাইশ বংশ ও সকল বংশ একত্র হয়ে বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব গোত্রের সাথে সকল লেনদেন বন্ধ করে দেয়।[২]
ফলে মুহাম্মাদ এর চাচা আবু তালিব অপারগ বাড়ি ঘর ছেড়ে মুহাম্মাদ সহ বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব গোত্রের নারী,পুরুষ ও শিশুসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বাধ্য হয়ে শি'বে আবু তালিব নামক পাহাড়ে মধ্যে আত্মনির্বাসিত হলেন।[৩]
চুক্তি সমূহ
[সম্পাদনা]কুরাইশ নেতৃবর্গ নেতৃত্বে মক্কার সকল গোত্রের সমন্বয়ে বনি হাশেম ও বনু মুত্তালিব গোত্রকে বয়কট করে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। সেগুলো হলঃ
১. মক্কার কোন ব্যক্তি বনি হাশেম ও বনু মুত্তালিব গোত্রের সাথে আত্মীয়তা করবে না।
২. উক্ত গোত্রদ্বয়ের কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে কোন প্রকার পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করবে না।
৩. এমনকি; কোন প্রকার খাদ্য দ্রব্যও পাঠাবে না। সেই সাথে যতদিন পর্যন্ত তারা মুহাম্মদকে হত্যা করার জন্য আমাদের হাতে সমর্পণ না করবে ততদিন পর্যন্ত এ চুক্তি বলবৎ থাকবে।[৪]
এ চুক্তি পত্রটি লিখেছিলো বোগাইজ ইবনে আমের ইবনে হাশেম। তবে কেও কেও বলেন মনসুর ইবনে ইকরিমা ইবনে আমের ইবনে হাশেম বা নযর ইবনে হারেস লিখেছিল।[৪]
বন্ধী থেকে মুক্তি
[সম্পাদনা]এই সঙ্কীর্ণ গিরি-দুর্গের মধ্যে ৩ বছর কারারুদ্ধ ছিলেন রাসুল ও বনু হাশিম সম্প্রদায়। এরপরে ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দে এখান থেকে মুক্তি পায়।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "শিয়াবে আবু তালিবে বন্দি অবস্থায় রাসূল (সা.) এর তিন বছর"। Islami Barta - ইসলামী বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৪।
- ↑ adminr (২০১৭-০৪-১১)। "রাসূল সা: এর দুই বছরের কারাজীবন"। Muazzin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩।
- ↑ "হযরত আবু তালিব সম্পর্কিত কিছু তথ্য"। আল হাসানাইন (আ.)। ২০১৭-০৪-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩।
- ↑ ক খ গ "শি'বে আবু তালিব উপত্যকায় বন্দী জীবন"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]