শামিমা শেখ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শামীমা শেখ (১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ - ৮ জানুয়ারি ১৯৯৮) ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত মুসলিম নারী অধিকার কর্মী এবং উল্লেখযোগ্য মুসলিন নারীবাদী এবং সাংবাদিক

জীবনী[সম্পাদনা]

তিনি ট্রপিক অব ক্যাপিকর্নের উত্তরে লুই ট্রাইকার্ডে (বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার লিম্পোপো প্রদেশ) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি সালাহউদ্দিন এবং মরিয়ম শেখের ছয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। তার পরিবার মাত্র ১০০ এর বেশি কিমি দক্ষিণে পিটার্সবার্গে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তার প্রাথমিক স্কুলের সময়গুলো লুই ট্রাইকার্ডেটে কাটে।

১৯৭৮ সালে স্কুল শেষ করার পর, শেখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী আইনের অধীনে সংরক্ষিত ডারবান-ওয়েস্টভিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি তার ব্যাচেলর অফ আর্টস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন, আরবি এবং মনোবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন। এই বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভূক্তির বছর ছিল, এবং তিনি পরবর্তী দুই বছরের জন্য আজানিয়ান পিপলস অর্গানাইজেশন (আজাপো) এর সাথে জড়িত হন।

১৯৮৫ সালে শেখ ইসলামিক সোসাইটি অফ ইউডি-ডব্লিউ-এর নির্বাহী কমিটিতে নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বরে, ডারবানে সাদা চামড়ার ব্যক্তিদের মালিকানাধীন ব্যবসা বয়কটের জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান করে লিফলেট বিতরণের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই বয়কটের আহ্বান জানানো হয়েছিল ফেডারেশন অব সাউথ আফ্রিকান ট্রেড ইউনিয়নস (ফোসাতু), দেশের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন এবং মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ আফ্রিকা (এমএসএ) এর পক্ষে, যারা এই বিশেষ প্যামফলেট ব্লিটজের আয়োজন করেছিল। শেখ পরবর্তী কয়েক ঘন্টা ডারবানের সিআর সোয়ার্ট থানায় (বর্তমানে ডারবান কেন্দ্রীয় থানা) এমএসএর সভাপতি না'ম জিনার সাথে কাটান। এটি ছিল তাদের প্রথম সাক্ষাৎ এবং তারা সম্ভবত দুই বছর পর বিয়ে করেন।

১৯৮৫ সালে ডিগ্রি শেষ করার পর, শেখ তার জন্মস্থান পিটার্সবার্গে তক্ষশিলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (বর্তমানে পোলোকওয়ানে বলা হয়) শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৮৭ সালের ২০ ডিসেম্বর জিনাকে বিয়ে করেন এবং জোহানেসবার্গে চলে যান। তিনি ১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বরে মিনহাজ এবং ১৯৯০ সালে শিরার জন্ম দেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৯৬ সালে, শেখ পুনরায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং ১৯৯৮ সালের ৮ জানুয়ারি মেফায়ারে তার বাড়িতে মারা যান। শেখের অনুরোধ অনুযায়ী তার চারটি জানাজার নামাজের মধ্যে একটিতে তার ঘনিষ্ঠ মহিলা বন্ধু ফারহানা ইসমাইল ইমামতি করেছিল, যেখানে মহিলা এবং পুরুষ উভয়ই ছিলেন। উপরন্তু, জোহানেসবার্গ মসজিদে এবং কেপ টাউনের ক্ল্যারমন্ট মেইন রোড মসজিদে তার জানাজা এবং দাফনের সময় অনেক মহিলা উপস্থিত ছিলেন। পিটার্সবার্গে, তার দাফনে কয়েক ডজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্বামী ও ২ সন্তান রেখে গেছেন। [১][২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]