শাকিরাঘা সমাধিসৌধ
শাকিরাঘা সমাধি (আজারবাইজানীয়: Şakirağa türbəsi) ১৫ শতাব্দীর একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ। এটি আজারবাইজানের বাকু শহরের বালাখানি গ্রামে অবস্থিত।
শাকিরাঘা সমাধি | |
---|---|
আজারবাইজানি: Şakirağa türbəsi | |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | সমাধিসৌধ |
স্থাপত্য রীতি | আর্কিটেকচার অফি অব আজারবাইজান |
অবস্থান | বালাখানি |
শহর | বাকু |
দেশ | আজারবাইজান |
স্থানাঙ্ক | ৪০°২৭′৪৯″ উত্তর ৪৯°৫৫′১২″ পূর্ব / ৪০.৪৬৩৭১৯° উত্তর ৪৯.৯২০০৮৭° পূর্ব |
বর্তমান দায়িত্ব | মিরেরাখুর শাকির আগা ইবনে-মারহুম মুর্তজা |
নির্মাণকাজের সমাপ্তি | ১৪২৭-১৪২৮ |
ইতিহাস[সম্পাদনা]
শাকিরাগা সমাধিসৌধ বালাখানি কবরস্থানে অবস্থিত এবং এটি ১৪২৭-১৪২৮ সালে নির্মিত হয়েছিল।[১] এটি হাজী শাহলা মসজিদ থেকে ছয় মিটার দূরে যা ১৩৮৫-১৩৮৬ সালে নির্মিত হয়। স্মৃতিসৌধটি সম্পর্কে তথ্য সীমিত। এই স্মৃতিসৌধটি একসময় সোভিয়েত কর্তৃক একটি ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে ধ্বংস করা হয়েছিল।[২]
১৯৭৬ সালে একটি খননকার্যের সময়, এর ভিত্তিস্থলে স্বর্ণ পাওয়া যায়। সেই সময়, স্বর্ণে পূর্ণ বড় মাটির পাত্রগুলো তাদের ভবিষ্যতের পুনরুদ্ধারের জন্য স্মৃতিস্তম্ভগুলির ভিত্তিতে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। সমাধিস্থলে পাওয়া সোনার কয়েক শতাংশ দিয়ে সমাধিসৌধটি মেরামত করা হয়েছিল।[২]
আর্চ আকৃতির প্রবেশদ্বারের দরজায় আরবি ভাষায় দুই-রেখাযুক্ত শিলালিপি রয়েছে। লেখায় লেখা আছে:
“ | "জাতি ও ধর্মের অন্যতম প্রাচীন মীরখুর শাকির আগা ইবনে মারহুম মুর্তজা এই সৌধ নির্মাণের নির্দেশ দেন। বছর ৮৩১ (১৪২৭-২৮)" | ” |
অন্য একটি সূত্র অনুসারে, শাকিরাঘা সমাধিসৌধটি ১৪২৭ সালে শিরভান ইব্রাহিমের উজির দ্বারা তার পুত্রের সম্মানে নির্মিত হয় এবং এটিকে একটি প্রাসাদ বলা হয়।[২]
স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]
সমাধিটি একটি গম্বুজসহ হলঘর এবং পাদদেশের সম্মুখভাগের একটি প্রধান খিলান নিয়ে গঠিত। এটি শ্বেতপাথর দিয়ে নির্মিত, যা অ্যাবশেরন স্থাপত্যের একটি বৈশিষ্ট্য।
পরিকল্পনায় সমাধিটি ক্রস আকৃতির। আবশেরোনে এর অভ্যন্তরীণ কাঠামোর দ্বারা বেশ কয়েকটি ক্রস-আকৃতির স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে (নারদারানে খানের বাগান প্যাভিলিয়ন, শিরবংশাহ কমপ্লেক্সের প্রাসাদে সমাধি এবং অন্যান্য)। যাইহোক, আজারবাইজানে শাকিরাঘা সমাধির মতো অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক কাঠামোর ক্রস আকারের দ্বিতীয় কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নেই।
সমাধির ভিতরে বিভিন্ন আকারের আয়তক্ষেত্রের ৮টি কুলুঙ্গি রয়েছে।
প্রবেশদ্বারে একটি দরজা রয়েছে, যা একটি নিম্ন তীর-আকৃতির খিলান দিয়ে নির্মিত। দরজার খিলান সম্পূর্ণ পাথর থেকে তৈরি। পাথরের পৃষ্ঠটি উদ্ভিদের অলঙ্কার দিয়ে সজ্জিত। প্রবেশপথের খিলান পাথরের উপরে আরেকটি পাথর স্থাপন করা হয়েছে, যার উপরে একটি মহাকাব্যের দুটি লাইন খোদাই করা আছে। প্রবেশদ্বার এবং লেখাসহ পাথরটি প্রোফাইলযুক্ত বড় পাথরের খন্ড দিয়ে ফ্রেমযুক্ত।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Ölkə və yerli əhəmiyyətli Memarlıq və Arxeoloji abidələr" (আজারবাইজানী ভাষায়)। sabunchu-ih.gov.az। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "Hacı Şakir türbəsi" (আজারবাইজানী ভাষায়)। kataloq.gomap.az। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৮।