শমিতা দাশ দাশগুপ্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শমিতা দাশ দাশগুপ্ত
জন্ম
শুক্লা দাস
শিক্ষাসাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাই স্কুল
বিএস, এমএস, পিএইচডি ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি
পেশাশিক্ষাদান, সামাজিক সক্রিয়তা
উল্লেখযোগ্য কর্ম
মানবীর সহ-প্রতিষ্ঠাতা
দাম্পত্য সঙ্গীসুজন দাশগুপ্ত
সন্তানসায়ন্তনী দাশগুপ্ত

শমিতা দাশ দাশগুপ্ত (জন্ম ১৯৪৯) একজন এশীয় ভারতীয় পণ্ডিত এবং কর্মী[১] তিনি ১৯৭০-এর দশকের শুরু থেকেই একজন সামাজিক কর্মী হিসেবে কাজ করছেন এবং ১৯৮৫ সালে মানবী সহ-প্রতিষ্ঠা করেন।[২] এই সংস্থাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার মহিলাদের ওপরে ঘটা সহিংসতার বিরুদ্ধে সহায়তার জন্য তৈরি একটি সংস্থা। তিনি আংশিক সময়ে শিক্ষকতা করেন এবং পূর্ণ-সময় সমাজ কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তিনি জাতি, লিঙ্গ, অভিবাসন এবং নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে ব্যাপকভাবে লিখেছেন। তাঁর বইগুলির মধ্যে রয়েছে: এ প্যাচওয়ার্ক শাল: ক্রনিকলস অফ সাউথ এশিয়ান উইমেন ইন আমেরিকা; বডি এভিডেন্স: ইন্টিমেট ভায়োলেন্স এগেইন্সট সাউথ এশিয়ান উইমেন ইন আমেরিকা; গ্লোবালাইজেশন অ্যাণ্ড ট্রান্সন্যাশনাল সারোগেসি ইন ইণ্ডিয়া: আউটসোর্সিং লাইফ এবংমাদারস ফর সেল: উইমেন ইন কলকাতা'স সেক্স ট্রেড

পটভূমি[সম্পাদনা]

অল্প বয়সে বিবাহ হবার পর তিনি ১৯ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।[১] তিনি ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক-পূর্ব এবং স্নাতক স্তরে অধ্যয়ন করেন। তিনি উন্নয়নমূলক মনোবিজ্ঞানে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি নিউ জার্সিতে চলে আসেন এবং বেশ কয়েক বছর ধরে রটজার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন, তিনি বেশ কিছু গবেষণামূলক পত্র এবং বই লিখেছেন।[৩][৪] বিভিন্ন মহিলা সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে দক্ষিণ এশীয় নারীরা সাধারণত মূলধারার গার্হস্থ্য সহিংসতা সংস্থাগুলি দ্বারা উপেক্ষিত হয়। তাই তিনি এমন একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেন, যেটি নারীদের বিশেষ সমস্যাগুলিতে মনোযোগ দেবে। তিনি অন্য পাঁচজন নারীকে নিয়ে নিউ জার্সিতে দক্ষিণ এশীয় নারীদের জন্য একটি বিশেষ সংগঠন মানবী সহ-প্রতিষ্ঠা করেন।[২][৫][৬]

সক্রিয়তা এবং শিক্ষাক্ষেত্র[সম্পাদনা]

যদিও, শমিতা নিজেকে একজন সমাজ কর্মী হিসেবে বর্ণনা করেন,[৭] তবে তিনি সেইসব সমাজ কর্মীদের একজন যাঁরা গবেষণা ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে নিজেদেরকে শিক্ষাবিদ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশীয় মহিলাদের সমস্যাগুলির উপর অসংখ্য নিবন্ধ লিখেছেন এবং মা-মেয়ের অভিজ্ঞতার বিষয়ে তাঁর চিকিৎসক কন্যা সায়ন্তনী দাশগুপ্তের সাথে একত্রে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ল-এর একজন অনুষদ সদস্য। তিনি ভায়োলেন্স এগেইন্সট উইমেন পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডে কাজ করেন।[৮] তিনি ব্যানারম্যান ফেলোশিপসহ অনেক পুরস্কারের প্রাপক।[২][৬] তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় সংস্থার বোর্ডে রয়েছেন।

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. The Family of Women by Carolyn Jones and Todd Lyon ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-০২-১৭ তারিখে
  2. "NRI world – the Platform for Global Indians"। ২০০৬-১১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৬ 
  3. sushmitadutt2 (২০২২-০৩-১০)। "International Women's Day"Welcome (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০১ 
  4. দাশগুপ্ত, শমিতা দাশ (১৯৯৬)। "Feminist Consciousness in Woman‐Centered Hindi Films"The Journal of Popular Culture (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ (১): ১৭৩–১৮৯। আইএসএসএন 0022-3840ডিওআই:10.1111/j.0022-3840.1996.00173.x 
  5. Roy, Debjani (২০১২)। "South Asian Battered Women's Use of Force Against Intimate Male Partners": 1108–1118। আইএসএসএন 1077-8012ডিওআই:10.1177/1077801212461431পিএমআইডি 23108807 
  6. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; the original নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  7. One America celebrating our diversity
  8. Sage Journal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১০-০১-০৪ তারিখে

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]