শক্তি মিল গণধর্ষণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

২০১৩ সালের মুম্বাই গণধর্ষণ বা শক্তি মিলের গণধর্ষণ[১][২] সেই ঘটনাকে বোঝায় যেখানে মুম্বাইয়ের একটি ইংরেজি ভাষার ম্যাগাজিনে ইন্টার্নি করা একজন ২২ বছর বয়সী ফটোসাংবাদিককে একজন কিশোরসহ পাঁচজন মিলে গণধর্ষণ করেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৩ সালের ২২ আগস্ট, যখন তিনি একজন পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের মহালক্ষ্মীর কাছে নির্জন শক্তি মিলস কম্পাউন্ডে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার সহকর্মীকে বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখা হয় এবং মহিলাকে অভিযুক্তরা ধর্ষণ করে। অভিযুক্তরা যৌন নিপীড়নের সময় নির্যাতিতার ছবি তুলেছিল, এবং ধর্ষণের কথা অন্য কোথাও বললে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। পরে, আঠারো বছর বয়সী কল সেন্টারের একজন কর্মচারী জানান যে তিনিও মিল কমপ্লেক্সের ভিতরে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।[৩]

২০১৪ সালের ২০ মার্চ, মুম্বাইয়ের একটি দায়রা আদালত ১৩ টি মামলায় উভয় ক্ষেত্রে পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল, ফটোসাংবাদিক ধর্ষণ মামলায় তিনজন পুনরাবৃত্ত অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। অন্য দুই আসামির মধ্যে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অন্য আসামি এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই একজন করে মোট দুজন নাবালকের বিচার কিশোর বিচার বোর্ড পৃথকভাবে বিচার করেছিল। ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং একটি নাসিক সংস্কার স্কুলে তিন বছরের (হেফাজতে থাকা সময় সহ) সাজা দেওয়া হয়েছিল, ভারতীয় আইনে কিশোর অপরাধীর এটাই সর্বোচ্চ শাস্তি।

ঘটনা[সম্পাদনা]

মুম্বাইয়ে কর্মরত একজন ২২ বছর বয়সী ফটো সাংবাদিককে শক্তি মিল কম্পাউন্ডে পাঁচজন লোক গণধর্ষণ করে, যেখানে তিনি ২০১৩ সালের ২২ আগস্ট একজন পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে পত্রিকার কাজ নিয়ে গিয়েছিলেন।[৪] দুই ভুক্তভোগীর পুলিশকে দেওয়া বিবৃতি অনুসারে, ফটোসাংবাদিক ও তার সহকর্মী নির্জন শক্তি মিল কম্পাউন্ডের কিছু ছবি তোলার জন্য একটি অ্যাসাইনমেন্টে বিকাল ৫ টার সময় তাদের অফিস ত্যাগ করেন। পাঁচজন অভিযুক্ত পুরুষ সহকর্মীকে বেঁধে ফেলে এবং ফটোসাংবাদিককে পরপর ধর্ষণ করে, তার গলায় বিয়ারের ভাঙা বোতল চেপে ধরে, যাতে সে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে না পারে। এরপর ধর্ষকরা ভিকটিমকে অপরাধের স্থান পরিষ্কার করতে বাধ্য করে এবং মুঠোফোনে তার দুটি ছবি তুলে নেয় এবং হুমকি দেয় যে সে যদি হামলার খবর দেয় তাহলে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rebecca Samervel (২০১৪-০৪-০৪)। "Mumbai Shakti Mills rape cases: Death penalty for 3 repeat offenders"The Times of India। TNN। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-০৮ 
  2. Sukanya Shantha (২০১৪-০৪-০৮)। "Mumbai Shakti Mills gangrape: All three convicts sentenced to death for repeat offence"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-০৮ 
  3. V Narayan; S Ahmed Ali (৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Call centre staffer too was raped inside Shakti Mills - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৭ 
  4. Ellen Barry; Mansi Choksi। "Gang rape in India, routine and invisible"The Times of India। NYT News Service। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৮ 
  5. "Mumbai gang-rape: photographer has left hospital, accused taken to Shakti Mills"। NDTV। ২০১৩-০৮-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-১১