শকুন্তলা রেলওয়ে
শকুন্তলা রেলওয়ে | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
অন্য নাম | Shakuntala Railway |
অঞ্চল | মহারাষ্ট্র - আকোলা, অমরাবতী, ওয়াশিম, যাভাতমাল জেলাসমুহ |
স্টেশন | Yavatmal, 16 ,Murtajapur Junction (1), 11, Achalpur, 16-1-11 |
পরিষেবা | |
পরিচালক | Central Railways, Bhusawal railway division |
শকুন্তলা রেলওয়ে বা শকুন্তলা রেলপথ কিলিক-নিক্সন অ্যান্ড কোম্পানি ১৯০৩ সালে তৈরি করে। ১৯১০ সালে প্রথমে গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলা রেলওয়ে কোম্পানি(জিআইপিআরসি), পরে ১৯১৩ সালে জিআইপিআরসি-এর শাখা সেন্ট্রাল প্রভিন্স রেলওয়ে কোম্পানি (সিপিআরসি)-র হাতে তা হস্তান্তরিত হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৫১ সালে সমস্ত বেসরকারি রেল কোম্পানিই ভারতীয় রেলের আওতায় চলে আসে। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র শকুন্তলা রেল। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আজও এই রেল রয়েছে বেসরকারি মালিকানাতেই। ফলে ভারতের মধ্যে হয়েও ভারতীয় রেলের অন্তর্ভুক্ত নয় এই রেল। আজও এটি সিপিআরসি-র অধীনে। যা আবার ব্রিটিশ কোম্পানি কিলিক-নিক্সনের হাতে। শকুন্তলা রেল গিয়ে মিশেছে মুম্বই-নাগপুর-কলকাতা ব্রড গেজ লাইনের সঙ্গে। সেই সময় মুম্বই বন্দর থেকে ম্যানচেস্টারের কাপড় শিল্পের জন্য পাঠানো হতো প্রচুর পরিমাণ তুলো। অমরাবতী জেলা থেকে তুলো নিয়ে যাওয়ার কাজেই প্রধানত ব্যবহৃত হত এই রেল লাইন। ১৯২১ সালে ম্যানচেস্টারে তৈরি একটি জেডডি স্টিম ইঞ্জিন চলত এই লাইনে। ৭০ বছর পর ১৯৯৪-এর ১৫ এপ্রিল পুরনো ইঞ্জিনের বদলে একটি ডিজেল ইঞ্জিন আনা হয় শকুন্তলা রেলের জন্য। বর্তমানে মধ্য রেলের ভুষওয়াল ডিভিশনের মধ্যে রয়েছে এই শকুন্তলা রেল। কিন্তু মুর্তাজাপুর থেকে যাবতমল(১১৩ কিমি) এবং মুর্তাজাপুর থেকে আচলপুর (৭৬ কিমি) শকুন্তলা রেলের এই মোট ১৮৯ কিমি পথ আজও রয়েছে সিপিআরসি-র আওতায়।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "British Company Still Gets Royalty For Shakuntala Railway"। IndiaTV। আগস্ট ১৫, ২০১১।