বিষয়বস্তুতে চলুন

লেসার পাঞ্চ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

লেসার পাঞ্চ
Lesser Punch
ডানা বন্ধ অবস্থায়
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Lepidoptera
পরিবার: Riodinidae
গণ: Dodona
প্রজাতি: D. dipoea
দ্বিপদী নাম
Dodona dipoea
(Hewitson, 1865)

লেসার পাঞ্চ (বৈজ্ঞানিক নাম: Dodona dipoea (Hewitson)) এক প্রজাতির মাঝারি আকারের প্রজাপতি যার শরীর ও ডানা লালচে খয়েরি রঙের। এরা ‘রিওডিনিডি’ পরিবারের সদস্য।

লেসার পাঞ্চ এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৪৩-৫২ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[]

উপপ্রজাতি

[সম্পাদনা]

ভারতে প্রাপ্ত লেসার পাঞ্চ এর উপপ্রজাতি হল- []

  • Dodona dipoea dipoea Hewitson, 1865 – Himalayan Lesser Punch
  • Dodona dipoea nostia Fruhstorfer, 1912 – West Himalayan Lesser Punch

বর্ণনা

[সম্পাদনা]

প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-

পুরুষ এবং স্ত্রী নমুনা অনুরূপ।

উপরিপৃষ্ঠ

[সম্পাদনা]

ডানার উপরিতলের রঙ কালচে বাদামী; সারিবদ্ধ ফ্যাকাশে কমলা হলুদ দাগ ছোপ এবং বন্ধনী যুক্ত। সামনের ডানায় কোস্টার কাছাকাছি অংশ থেকে একটি সরু বন্ধনী সেল এর মধ্যভাগ দিয়ে তীর্যকভাবে ১ নং ইন্টারস্পেসের তলা অবধি নেমে গেছে। একটি সামান্য তেরচা, ছোট, সরু বন্ধনী কোস্টা থেকে সেলের শীর্ষভাগের বাইরে পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বন্ধনীর ঠিক নিচে ২ নং ইন্টারস্পেসে একটি তেরচা ছোপ বিদ্যমান। ডিসকাল ছোপের সারিটিও তীর্যকভাবে অবস্থিত যাদের মধ্যে ১ নং ইন্টারস্পেসে ২টি এবং ৩,৬ ও ৮ নং ইন্টারস্পেসে একটি করে ছোপ রয়েছে। ডিসকাল ছোপের সারিটির একটু পরেই পোস্ট-ডিসকাল ছোপের একটি তীর্যক সারি বর্তমান। এই ছোপগুলির মধ্যে ৪ ও ৫ নং ইন্টারস্পেসে অবস্থিতছোপগুলি সারির ভিতরের দিকে সরে এসেছে। সাবটার্মিনাল ছোপের সারিটি তীর্যক এবং খুব অস্পষ্ট এবং ছোপগুলি রেখাকৃতি, কিছুটা কমন পুঞ্চ প্রজাতির অনুরূপ।

পিছনের ডানার দাগ ছোপ কিছুটা কমন পুঞ্চ এর মত তবে লেসার পুঞ্চ এর পিছনের ডানার উপরিতলের দাগ ছোপগুলি ফ্যাকাশে অস্পষ্ট বাদামী(হালকা কমলা হলুদ নয়)। ডানার শীর্ষভাগে এবং টর্নাল লতিতে কালো ছোপগুলি কমন পুঞ্চ এর অনুরূপ।

নিম্নপৃষ্ঠ

[সম্পাদনা]

ডানার নিম্নতল বাদামি, কালচে বাদামি এবং কমলা হলুদ এর মিশ্রণ এবং সাদা দাগ ছোপ ও বন্ধনীযুক্ত। সামনের ডানায় কোস্টাল প্রান্তরেখার বেস এ একটি ছোপ দেখা যায়। বেসাল, সাব বেসাল এবং ডিসকাল অংশে তীর্যক বন্ধনী বিদ্যমান। শেষোক্ত বন্ধনীটি ছোপের সমষ্টি দ্বারা গঠিত এবং ৩ নং ইন্টারস্পেসে সমাপ্ত হয়েছে। সাবটার্মিনাল ছোপের সারিটি তীর্যক আঁকাবাকা এবং কোস্টাল প্রান্তরেখা ও শীর্ষভাগের সংযোগস্থল থেকে উৎপন্ন হয়ে টর্নাস এর দিকে নেমে গেছে। ডিসকাল বন্ধনী এবং সাবটার্মিনাল ছোপগুলির মধ্যবর্তী অংশে কোস্টাল প্রান্তরেখার মধ্যভাগ থেকে উতপন্ন একটি ছোট তীর্যক বন্ধনী এবং ৩ নং ইন্টারস্পেসে একটি তীর্যক ছোপ চোখে পড়ে। সাবটার্মিনাল ছোপের সারি এবং টার্মিনাল প্রান্তরেখার মধ্যভাগে টার্মেন এর প্রায় সমান্তরাল ভাবে একটি আবছা ফ্যাকাশে রেখা দেখা যায়। প্রায় সমস্ত সাদা দাগ ছোপগুলির ভিতরের দিকে ধূসর কালচে বাদামী বর্ণে ছাওয়া এবং কোস্টাল প্রান্তরেখার অভিমুখে এদের প্রান্তভাগ গুলি রূপালী বর্ণের হয়।

পিছনের ডানায় ডরসাম বরাবর একটি কমলা-হলুদ এবং সাদায় মেশানো আঁকাবাকা ডোরা অথবা দাগ রয়েছে যা টর্নাস অবধি পৌঁছায়নি। এর অনুরূপ খুব সরু দুটি ডোরা বর্তমান ১ক এবং ১ নং শিরা বরাবর সাববেসাল অংশে একটি হালকা সীমারেখাযুক্ত রূপালী ডোরা অথবা দাগ কোস্টা থেকে উৎপন্ন হয়ে সেল এর মধ্যভাগ ভেদ করে কিছুটা নেমে গিয়েছে। একটি অনুরূপ খুব সরু ডোরা অথবা দাগ সেল এর শীর্ষভাগের কাছে অবস্থিত যা ডিসকোসেলুলার অংশেই সীমাবদ্ধ। ৩ এবং ৬নং শিরার মধ্যবর্তী অংশে একটি অনুরূপ ডিসকাল ডোরা অথবা দাগ বর্তমান যার ঠিক বাইরের পাশেই একটি সাদা প্রান্তরেখাযুক্ত সরু, আঁকাবাকা কালো রেখা অবস্থিত। এই সরু আঁকাবাকা কালো রেখাটি ৩নং শিরা থেকে টর্নাল লতির উপর পর্যন্ত বিস্তৃত। দুটি সাদা প্রান্তরেখা অথবা সীমারেখা যুক্ত কালো ছোপ চোখে পড়ে এপিকাল অংশের অথবা শীর্ষভাগের একটু নিচের দিকে (সাব-এপিকাল অংশে)। টার্মেন লোব অথবা লতিতে কিডনি অথবা বৃক্কের মত আকার যুক্ত একটি বড় কালো ছোপ এবং ফ্যাকাশে সাদা বহিঃ এবং অন্তর প্রান্তরেখা যুক্ত একটি ঘন লালচে বাদামী সাব-টার্মিনাল বন্ধনী দেখা যায়।

শুংগ, মাথা, থোরাক্স এবং উদরদেশের উপরিতল কালচে অথবা ঘন বাদামী বর্ণের। নিম্নতলে, শুংগ সাদা বলয়যুক্ত এবং পাল্পি, থোরাক্স এবং উদর কালচে ধূসর অথবা ছাইরংগা হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Singh, Arun Pratap (২০১১)। Butterflies of India (ইংরেজি ভাষায়)। Uttar Pradesh: Om Books International। পৃষ্ঠা 108। আইএসবিএন 978 938006960 9 
  2. "Dodona dipoea Hewitson, 1865 – Lesser Punch"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৭ 
  3. Isaac, Kehimkar (২০০৮)। The book of Indian Butterflies (ইংরেজি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। নতুন দিল্লি: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা 279। আইএসবিএন 978 019569620 2 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]