লিফ এবং লিফথ্রাসির
নোর্স পুরান মতে, লিফ (পুরাতন নোর্স পুরানের স্ত্রীবাচক বিশেষ্য লাইফ, দেহের জীবনের সমরূপ)[১] এবং লিফথ্রাসির (পুরাতন নোর্স পুরান মতে লিফ এবং থ্রাসির নামক পুরুষবাচক বিশেষ্যের নাম। লেক্সিকন পয়েটিকামের মতে এই নামের অর্থ "Livæ amator, vitæ amans, vitæ cupidus", "লিফের প্রেমিক, জীবনের প্রেমিক, জিবনোদ্দীপনা")[২]—পুরুষ এবং স্ত্রী ক্রমানুসারে— হল দুইজন মানুষ যারা র্যাগ্নারকের ঘটনায় রক্ষা পেয়েছিল একটি কাঠের ভিতরে লুকিয়ে যার নাম ছিল হডমিমিস হল্ট এবং যখন আগুন নিভে গেল, তারাই পৃথিবীকে পুনরায় মানবসমৃদ্ধ ও উর্বর করে তুললো। পয়েটিক এডাতে, 'যা ১৩শতকে উদ্ধার করা হয়েছিল এবং এডা কাব্যে যা ১৩ শতকে স্নোরি স্টারলুস্ন কর্তৃক লিখিত হয়েছিল লিফ এবং লিফথ্রাসিরের নাম উল্লেখিত হয়েছে। নাম দুটির অন্তর্নিহিত অর্থ এবং উৎস সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ এবং ধারণা প্রচলিত রয়েছে।
প্রত্যয়ন
[সম্পাদনা]ভাফ্রুনিস্মল (Vafþrúðnismál) কবিতানুসারে, যা পয়েটিক এডা হতে প্রাপ্ত, দেবতা ওডিন জতুন ভাথ্রুনির (jötunn Vafþrúðnir) কাছে জানতে চান যে মানবজাতির মধ্যে কে বেঁচে থাকবে যখন পৃথিবীর ধ্বংসের শীতকাল ফিম্বুল্ভেতর (Fimbulvetr) আসবে। জবাবে ভাথ্রুনির জানান যে লিফ এবং লিফথ্রাসির, যারা হডমিমিস কাঠের ভিতর আশ্রয় নিবে। তারা ভোরের শিশিরকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করবে এবং তাদের মাধ্যমে মানব প্রজাতির বিস্তার ঘটবে।[৩]
গাইলাফানিং নামক এডা কাব্যের বইয়ের ৫৩ অধ্যায়ে হাই গাংলেরিকে (Gangleri) বলেন (রাজা জিলফির ছদ্মবেশে) যে লিফ এবং লিফথ্রাসির নামক দুজন মানুষ হডমিমিসের ভিতরে লুকিয়ে থাকবে সুরটের আগুনের সময় (Surt's fire) এবং এই মানুষের মাধ্যমেই পৃথিবীতে মানব জাতির বিস্তার ঘটবে এবং পৃথিবী পুনরায় বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।[৪]
মতবাদ
[সম্পাদনা]ক্যারলিন ল্যারিংটন উল্লেখ করেন যে, র্যাগ্ন্রকের কোথাও Yggdrasil গাছের পরিনতি সম্পর্কে লেখা হয়নি, যা মিমির এবং Yggdrasil এর Völuspá কাব্যের মাঝে যোগসুত্র স্থাপন করে এবং মত প্রকাশ ক্রেন যে হয়তো হডমিমির মিমিরের এবং বেঁচে যাওয়া দুজন মানুষের অপর নাম।[৫]
রুডলফ সিমেক মতবাদ দেন যে লিফ এং লিফথ্রাসিরের বেঁচে যাওয়া হচ্ছে এদিক এসাটোলজি মতে মানবোদ্ভববিদ্যারি একটি দ্বিত্ব। সিমেক আরও বলেন হোডমিমিস হল। আসলে কাঠ বা বনকে নয় বরং পৃথিবী বৃক্ষ Yggdrasill-কে বুঝিয়েছে। তাই, মানব জাতির জন্ম যে গাছের শাখা থেকে (Askr, Embla) র্যানার্কের পর পুনরায় দেখানো হয়েছে। সিমেক বলেন, জার্মান অঞ্চলগুলোতে (Germanic regions) মানবজাতির জন্ম গাছ থেকে তা অনেক পুরান ধারণা। সিমেক আরও দেখান, ব্যাভারিয়ান পুরানেও গাছের ভিতরে এক মেষচারকের জীবনযাপন দেখানো হয়েছে যার বংশধরেরা পরে পৃথিবীকে জনবহুল করে এক মরনঘাতি প্লেগের পর।[৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- আস্ক এবং এম্বলা ( Ask and Embla) , নোর্স পুরানের প্রথম দুই মানব।
টীকা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- Cleasby, Richard and Guðbrandr Vigfusson. An Icelandic-English Dictionary. 2nd ed. Oxford: Clarendon. 1957.
- Egilsson, Sveinbjörn. Lexicon Poëticum Antiquæ Linguæ Septentrionalis. Copenhagen: J.D. Qvist & Co. 1860.
- Larrington, Carolyne (Trans.) (1999). The Poetic Edda. Oxford World's Classics. আইএসবিএন ০-১৯-২৮৩৯৪৬-২
- Faulkes, Anthony (Trans.) (1995). Edda. Everyman. আইএসবিএন ০-৪৬০-৮৭৬১৬-৩
- Orchard, Andy (1997). Dictionary of Norse Myth and Legend. Cassell. আইএসবিএন ০-৩০৪-৩৪৫২০-২
- Simek, Rudolf (2007) translated by Angela Hall. Dictionary of Northern Mythology. D.S. Brewer. আইএসবিএন ০-৮৫৯৯১-৫১৩-১
- Schröder, F. R. (1931). "Germanische Schöpfungsmythen" in Germanisch-Romanische Monatsschrift 19, pp. 1–26.