লিকোক পুলো
লিকোক পুলো একটি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য যা ইন্দোনেশিয়ার আচেহ থেকে উদ্ভূত। স্থানীয় ভাষায় লিকোক কথার অর্থ হল নাচের অংগ সঞ্চালনা, অন্যদিকে পুলো কথার মানে হল দ্বীপ। পুলো বলতে এখানে সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর প্রান্তে একটি ছোট দ্বীপকে বোঝানো হয়েছে। এই দ্বীপকে ব্রুহ দ্বীপ বা বেরাস দ্বীপ নামেও অভিহিত করা হয়।
এই নৃত্যটির উদ্ভব হয় ১৮৪৯ সালের দিকে। এটি তৈরি করেছিলেন একজন প্রাচীন মুসলিম ধর্মগুরু যিনি সমুদ্রে ভেসে গিয়ে পুলো আচেহর চড়ায় আঁটকা পড়েছিলেন। এই নৃত্যটি ধান রোপণের পরে বা ধান কাটার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানটি সাধারণত রাতে অনুষ্ঠিত হয় যদিও নাচের প্রতিযোগিতা সারা রাত ধরে সকাল পর্যন্ত চলতে পারে। মাটির উপর উবু হয়ে একই রেখায় বসে বা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিবেশন করা হয়।
চেহ নামক একটি প্রধান নৃত্যকার এই নৃত্য পরিবেশনার কেন্দ্রবিন্দু। দুই রাপাই শিল্পী তার পিছনে বা বামে এবং ডান পাশে থাকে। নৃত্য চলাকালীন নৃত্যশিল্পীর শরীরের শুধুমাত্র উপরের অঙ্গ যেমন হাত ও মাথার সঞ্চালনা হয়। নৃত্য আন্দোলন ও শরীরের আন্দোলনের স্বকীয়তা নৃত্যশিল্পীর দক্ষতার উপর নির্ভর করে। নৃত্যের সময় সামনের দিকে, বাম বা ডান দিকে, উপরে এবং সামনে থেকে পিছন দিকে অথাবা বৃত্তাকারভাবে বিভিন্ন দিকে অংগ সঞ্চালনা হয়। নৃত্যের গতি প্রথমে ধীর থাকে, তারপর দ্রুত হয়।[১]