লজ্জা গোস্বামী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

লজ্জা গোস্বামী (জন্ম ২৮শে সেপ্টেম্বর ১৯৮৮) একজন ভারতীয় মার্কসওম্যান (নির্ভুল গুলি চালানোয় দক্ষ) এবং মহিলা পুলিশ[১] তিনি একজন প্রাক্তন ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস (এনসিসি) ক্যাডেট। তিনি ২০০৯ সালে প্রদত্ত রক্ষামন্ত্রী পদক জিতেছিলেন।[২]স্পেনের গ্রানাডায়, (২০১৩) আইএসএসএফ বিশ্বকাপে তিনি মহিলাদের ৩ অবস্থান ৫০-মিটার রাইফেল ইভেন্টে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[৩] তিনি গুজরাট রাজ্যের একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর,[৪] এবং ক্রীড়া কোটায় গুজরাট পুলিশ কর্মচারীবৃন্দের মূলকাঠামোয় একজন পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে নিযুক্ত হওয়া প্রথম ক্রীড়াবিদ হয়েছেন।[৫]

তিনি ২০১৪ এশিয়ান গেমসেও অংশগ্রহণ করেছেন এবং শীর্ষ ৮-এ শেষ করেছেন। শৈশব থেকেই লজ্জা রাইফেল এবং বন্দুকের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। অন্যান্য শিশুরা যখন পুতুল এবং খেলনা নিয়ে খেলত, লজ্জার তখন প্রিয় খেলনা ছিল বন্দুক। তাই সে অন্য শিশুদের থেকে আলাদা ছিল।

প্রথম দিকে লজ্জা একজন এনসিসি ক্যাডেট হিসেবে শুটিংয়ে তাঁর প্রতিভা দেখিয়েছিলেন। তারপরে তাঁর প্রদর্শনের ধার তীক্ষ্ণ করতে, তিনি পুনের ভারতীয় শুটিং একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নেন এবং কোচ সানি থমাস তাঁকে শুটিংয়ে প্রশিক্ষণ দেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তিনি গুজরাটের আনন্দ জেলায় অবস্থিত একটি ছোট গ্রাম জিতোদিয়ার বাসিন্দা। লজ্জার বাবা, তিলক গিরি গোস্বামী, জিতোদিয়া গ্রামে বৈজানাথ মহাদেব নামে একটি প্রাচীন শিব মন্দিরের একজন তত্ত্বাবধায়ক।[৫] তিনি চার সদস্যের একটি ছোট পরিবারে থাকতেন, পরিবারে আছেন তাঁর বাবা, মা এবং এক ভাই।

শৈশবের শুরুতে[সম্পাদনা]

লজ্জা একটি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছিলেন। তাঁর বাবা তিলক গিরি, গণমাধ্যমকে বলেছিলেন যে অন্যান্য শিশুরা যখন পুতুল এবং খেলনা নিয়ে খেলত, তখন লজ্জার পছন্দ ছিল বন্দুক।[৫] শ্যুটিংয়ের প্রতি তিনি বিশেষ মনোযোগী হয়ে ওঠেন যখন তিনি ক্যাডেট হিসেবে এনসিসিতে ভর্তি হন। তিনি পুনেতে কোচ সানি টমাসের কাছ থেকে শুটিংয়ের প্রশিক্ষণ নেন।[৬]

কৃতিত্ব এবং পদক[সম্পাদনা]

খেলা ঘটনা স্থান পদক বছর
কমনওয়েলথ গেমস ৫০ মিটার রাইফেল ৩ অবস্থান (পেয়ার ইভেন্ট) নয়াদিল্লি (ভারত) সিলভার ২০১০
একাদশ সর্দার সজ্জন সিং শেঠি মেমোরিয়াল মাস্টার্স শুটিং প্রতিযোগিতা ৫০ মিটার রাইফেল ৩ অবস্থান (ব্যক্তিগত ইভেন্ট) নয়াদিল্লি (ভারত) সোনা ২০১২
আইএসএসএফ বিশ্বকাপ ৫০ মিটার রাইফেল ৩ অবস্থান (ব্যক্তিগত ইভেন্ট) গ্রানাডা (স্পেন) সিলভার ২০১৩
কমনওয়েলথ গেমস ৫০ মিটার রাইফেল ৩ অবস্থান (ব্যক্তিগত ইভেন্ট) গ্লাসগো (স্কটল্যান্ড) ব্রোঞ্জ ২০১৪
আন্তর্জাতিক শুটিং প্রতিযোগিতা ৫০ মিটার রাইফেল প্রোন (ব্যক্তিগত ইভেন্ট) হ্যানোভার (জার্মানি) সোনা ২০১৫

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Lajja grabs first spot at shooting national selection trials"Business Standard। জুন ২৫, ২০১৮। 
  2. "Gujarat's ace shooter bags Raksha Mantri medal"The Times of India। জুন ৩, ২০০৯। 
  3. "Lajja Gauswami wins silver in shooting World Cup"। The Times of India। জুলাই ৯, ২০১৩। 
  4. "This Gujarati sensation is shooting for the stars"New Indian Express। মার্চ ১, ২০১৯। এপ্রিল ২৯, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১০, ২০২৩ 
  5. "Shooter Lajja Goswami is now an inspector"। Ahmedabad Mirror। Times of India। ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪। 
  6. Menon, Prasanth (অক্টোবর ৬, ২০১০)। "Lajja bags cwg silver"। Ahmedabad Mirror। The Times of India