রোমানজো ক্রিমিনালে
রোমানজো ক্রিমিনালে | |
---|---|
পরিচালক | মিশেল প্লাচিদো |
রচয়িতা | গিয়ানকার্লো দি কাতালদো |
শ্রেষ্ঠাংশে | কিম রসসি স্টুয়ার্ট, আনা মোগলালিস, পিয়েরফ্রান্সিস্কো ফাভিনো, ক্লদিও সান্তামারিয়া, স্তেফানো আকর্সি and জেসমিন ত্রিনকা |
সুরকার | পাওলো বুওনভিনো |
চিত্রগ্রাহক | লুকা বিগাজ্জি |
সম্পাদক | এসমারেলদা ক্যালাব্রিয়া |
পরিবেশক | ওয়ার্নার ব্রস পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫২ মিনিট ১৭৪ মিনিট (director's cut) |
দেশ | ইতালি |
ভাষা | ইতালীয় |
রোমানজো ক্রিমিনালে একটি ইতালীয় ভাষার চলচ্চিত্র। ২০০৫ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। মিশেল প্লাচিদো ছবিটি পরিচালনা করেন। এটি একটি অপরাধ নাট্য চলচ্চিত্র, যা বহুল প্রশংসিত হয়েছিল ও ১৫টি পুরস্কার পেয়েছিল। গিয়ানকার্লো দি কাতালদার উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য রচিত হয়। উপন্যাসটি আবার "বান্দা দেলা মাগলিয়ানার" সত্য কাহিনী অবলম্বনে রচিত। মাগলিয়ানা গ্যাং রোমের সবচেয়ে শক্তিশালী অপরাধ চক্র ছিল। ১৯৭০ এর পূর্ব থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত (এনরিকো দি পেদিস যখন মারা যান) রোমের গণিকাবৃত্তি, মাদকব্যবসা ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এটি নিয়ন্ত্রণ করত। গ্যাং এর সদস্যরা ধনী ব্যক্তিদের অপহরণ ও ছোটোখাটো মাদক ব্যবসার (হাশিশ, কোকেইন, হিরোইন) মধ্য দিয়ে অপরাধজীবন শুরু করে । সত্তরের দশকে তারা ইতালীয় সিক্রেট সার্ভিস, ফ্যাসিবাদী, জঙ্গিবাদী, সিসিলীয় মাফিয়া ও "কামোররা"-দের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে। অনেক তরুণ ইতালীয় অভিনেতার কর্মজীবন এ ছবিটি গড়ে দেয়। বিশেষ করে ফাভিনো লেবানিজ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য দোনাতেল্লো পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে এটি অবলম্বনে রোমানজো ক্রিমিনালে নামে একটি টিভি সিরিজ সম্প্রচার শুরু হয়।
কাহিনী[সম্পাদনা]
১৯৭০ সালের রোম। চারজন অপরাধী- আইস, লেবানিজ, দান্দি ও গ্রান্দ একটি গাড়ি চুরি করে। একটি পুলিশ রোড ব্লকের সঙ্গে গাড়ি ধাক্কা খেলে গাড়িচালক গ্রান্দ স্টিয়ারিং কলামের সাথে সংঘর্ষে আহত হয়। সৈকতের ধারেই একটি ক্যারাভানে তাদের গোপন আস্তানা। পুলিশ তাদের সেখানে আবিষ্কার করে ফেলে। আইস, লেবানিজ ও দান্দি পালিয়ে গেলেও একসময় ধরা পড়ে। আর গ্রান্দ মারাত্মকভাবে জখম হয়ে ক্যারাভানেই মারা যায়। এভাবেই ছবিটির সূচনা হয়। কয়েক বছর পর আইস কারাগার থেকে মুক্তি পায়। লেবানিজ তার সাথে দেখা করে বলে, সে ব্যারন রসেলিনিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতে চায়। রসেলিনির অধীনে লেবানিজের বাবা-মা একসময় কাজ করতেন। সে দান্দির সাথে একটি গ্যাং গঠন করেছে। এই গ্যাংয়ের বাকি সদস্যরা হলো- ব্ল্যাক, ব্রাইট আই, রিকোত্তা, বাফালো, র্যাট, চিরো ও আলদো বাফুন্নি। ৩ বিলিয়ন লিরা মুক্তিপণ মীমাংসা হওয়ার পর ক্যান্নিজিয়ারি বাহিনীর এক সদস্য রসেলিনিকে গুলি করে হত্যা করে। কিন্তু পত্রিকায় মৃত রসেলিনির ছবি ছাপিয়ে তারা ঠিকই তিন বিলিয়ন লিরা পায়। লিরার নোটগুলোর সিরিয়াল নাম্বার পুলিশ কমিশনার নিকোলা স্কালিয়োজা সংরক্ষণ করে রেখেছেন। লেবানিজ ৫০০ মিলিয়ন লিরা ভাগাভাগির নির্দেশনা দেয়। বাকি ২.৫ বিলিয়ন লিরা দিয়ে সে রোমে অপরাধের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। মাদকব্যবসা দিয়েই সে এর উদ্বোধন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। কিন্তু মাদক ব্যবসা "তেরিবল" এর নিয়ন্ত্রণাধীন- লেবানিজ জেমিতোকে ঘুষ দিয়ে তেরিবলকে নির্মূল করে।
চরিত্রায়ণে[সম্পাদনা]
- কিম রসসি স্টুয়ার্ট - ইল ফ্রেদদো
- অ্যানা মোগলালিস - পাত্রিজিয়া
- পিয়েরফ্রান্সিসকো ফাবিনো -লিবানো
- ক্লদিও সান্তামারিয়া - ইল দান্দি
- স্তেফানো অ্যাককোরসি-কমিশনার সিয়ালোজা
- রিকার্দো স্কামার্সিও -ইল নিরো
- জেসমিন ত্রিনকা -রবার্তা
- এলিও জার্মানো - ইল সোর্চিও
- মাসিমো পপোরিজিও-ইল তেরিবিলে।