রাজা সালবান

রাজা সালবান ( সালিবাহন নামেও পরিচিত)^[১]একজন পৌরাণিক রাজা, যিনি শিয়ালকোট শহর এবং দুর্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।^[২]^[৩] পাঞ্জাবি লোককাহিনী অনুসারে, তিনি ছিলেন পুরাণ ভগত এবং রাজা রাসালুর পিতা, রাজা রাসালুর অভিযানের নায়ক।^[৪]

কাহিনি[সম্পাদনা]

রাজা সালবানের প্রথম স্ত্রী রানী ইচ্চিরার গর্ভে পুরাণ ভগতের জন্ম হয়। স্থানীয় জ্যোতিষীদের পরামর্শে, পুরাণকে তার জীবনের প্রথম ১২ বছরের জন্য রাজার কাছ থেকে অনেক দূরে পাঠানো হয়েছিল। বলা হতো যে, জন্মের রাজা তার পুত্রের মুখ দেখতে পারেননি।^[৫] পুরাণ ভগত দূরে থাকাকালীন, রাজা লুনা নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন, লুনা চামারের মেয়ে ছিলেন। ১২ বছর বিচ্ছিন্ন থাকার পর, পুরাণ রাজপ্রাসাদে ফিরে আসেন। সেখানে, কিশোরী রানী লুনা তার সমবয়সী পুরাণের প্রতি প্রণয়ের জন্য আকৃষ্ট হয়।^[৫] সৎপুত্র হওয়ায়, রাজপুত্র পুরাণ রানী লুনার আগ বাড়ানো প্রেমকে অস্বীকার করেছিলেন। মর্মাহত লুনা পুরাণকে তার সম্মানহানীর জন্য অভিযুক্ত করেন।^[৫]

ক্ষুব্ধ রাজা সালবান পুরাণের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে হত্যা নির্দেশ দেন।^[৫] সৈন্যরা রাজার আদেশ পালন করে এবং পুরাণের হাত-পা কেটে তাকে জঙ্গলে একটি কূপে (পুরাণের কূপ) ফেলে দেয়।^[৫]^[৬] বেশ কয়েক বছর পর গুরু গোরক্ষনাথ, তাঁর অনুগামীদের নিয়ে কূপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আওয়াজ শুনতে পান। তিনি একটি দড়ি এবং সেঁকানো মাটির পাত্র ব্যবহার করে পুরাণকে কূপ থেকে উদ্ধার করেন। তাকে পরে গোরক্ষনাথ দত্তক নেন এবং তিনি নিজে একজন যোগী হন।^[৭]

বহুবছর পর যোগী পুরাণ ভগত তার পিতার মুখোমুখি হন। এক সন্ন্যাসীর আশীর্বাদের কারণে রাজা সালবানের আরেকটি পুত্র ছিল- রাজা রাসালু ।যিনি পাঞ্জাবের আরেকটি জনপ্রিয় লোককথার চরিত্র।^[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

↑ Khalid, Haroon (২০২২-১২-২৬)। Walking With Nanak (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Random House India Private Limited। পৃষ্ঠা 81। আইএসবিএন 978-93-5492-847-5।
↑ Anjum, Zafar (২০১৪-১০-১৩)। Iqbal: The Life of a Poet, Philosopher and Politician (ইংরেজি ভাষায়)। Random House India। পৃষ্ঠা 242। আইএসবিএন 978-81-8400-656-8।
↑ E.Y, Mbogoni, Lawrence (২০১৩-১১-০৩)। Human Sacrifice and the Supernatural in African History (ইংরেজি ভাষায়)। Mkuki na Nyota Publishers। পৃষ্ঠা 172। আইএসবিএন 978-9987-08-242-1।
↑ "Four Legends of King Rasalu of Sialkot"। The Folk-Lore Journal। 1 (5): 129–151। ১৮৮৩। আইএসএসএন 1744-2524।
↑ ^ক ^খ ^গ ^ঘ ^ঙ Miraj, Muhammad Hassan (২০১২-১০-০৮)। "Pooran Bhagat"। www.dawn.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-২২।
↑ Tareekh-i-Sialkot
↑ Kaul, H. Kumar (১৯৯৪)। Aspects of Yoga। BR publishing corporation। আইএসবিএন 9788170188100।
↑ Khalid, Haroon (২০২২-১২-২৬)। Walking With Nanak (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Random House India Private Limited। পৃষ্ঠা 181। আইএসবিএন 978-93-5492-847-5।

[1] Khalid, Haroon (২০২২-১২-২৬)। Walking With Nanak (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Random House India Private Limited। পৃষ্ঠা 81। আইএসবিএন 978-93-5492-847-5।

[2] Anjum, Zafar (২০১৪-১০-১৩)। Iqbal: The Life of a Poet, Philosopher and Politician (ইংরেজি ভাষায়)। Random House India। পৃষ্ঠা 242। আইএসবিএন 978-81-8400-656-8।

[3] E.Y, Mbogoni, Lawrence (২০১৩-১১-০৩)। Human Sacrifice and the Supernatural in African History (ইংরেজি ভাষায়)। Mkuki na Nyota Publishers। পৃষ্ঠা 172। আইএসবিএন 978-9987-08-242-1।

[4] "Four Legends of King Rasalu of Sialkot"। The Folk-Lore Journal। 1 (5): 129–151। ১৮৮৩। আইএসএসএন 1744-2524।

[:0-5] ক ^খ ^গ ^ঘ ^ঙ Miraj, Muhammad Hassan (২০১২-১০-০৮)। "Pooran Bhagat"। www.dawn.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-২২।

[6] Tareekh-i-Sialkot

[7] Kaul, H. Kumar (১৯৯৪)। Aspects of Yoga। BR publishing corporation। আইএসবিএন 9788170188100।

[8] Khalid, Haroon (২০২২-১২-২৬)। Walking With Nanak (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Random House India Private Limited। পৃষ্ঠা 181। আইএসবিএন 978-93-5492-847-5।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]