বিষয়বস্তুতে চলুন

রাজবাড়ী বধ্যভূমি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি রাজবাড়ী শহরের বিনোদনপুরে অবস্থিত একটি বধ্যভূমি। এটি রাজবাড়ি জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি।[১][২][৩]

রাজবাড়ী বধ্যভূমি
বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি
বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিসৌধ
স্থানাঙ্ক২৩°৪৫′৪১″ উত্তর ৮৯°৩৯′২২″ পূর্ব / ২৩.৭৬১৩৯৮৮° উত্তর ৮৯.৬৫৬২৩৩৩° পূর্ব / 23.7613988; 89.6562333
নির্মাণের কারণযারা গণহত্যার শিকার হয়েছিল তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজবাড়ীর বিনোদপুররে লোকোশেড এলাকা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প ছিল। পাক-সেনারা শহরের বিভিন্ন জায়গায় থেকে অসংখ্য মানুষকে এখানে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। তখন রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করত। যাত্রীবাহী ট্রেন রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে থামলে পাক-সেনা ও তাদের দোসররা ট্রেনে অবস্থানরত যেসকল যাত্রীদের সন্দেহ হতো তাদেরকে ধরে লোকোশেড ক্যাম্পে ধরে নিয়ে আসত। তারপর নির্যাতন করে হত্যার পর লোকোশেড পুকুরে ফেলে দিত।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী (২০১৯-১২-১৪)। "রাজবাড়ীর লোকোসেড বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভকে নিজ উদ্যোগে রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছে গোলাম নবী"দৈনিক মাতৃকন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৩ 
  2. সৌরভ বিশ্বাস, রাজবাড়ী (২০১৬-১২-২৫)। "অবহেলায় রাজবাড়ী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি"প্রতিদিনের সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৩ 
  3. নেহাল আহমেদ (২০২৩-১২-১৭)। "মুক্তিযুদ্ধে রাজবাড়ীর গণহত্যা"দি ডেইলি স্টার - বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৩ 
  4. আবু সাঈদ (২০২০-০১-০১)। "মুক্তিযুদ্ধে রাজবাড়ী-মানিকগঞ্জে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও লুটতরাজ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৩