রসা
অবয়ব
রসা পশ্চিমবঙ্গের একপ্রকার জনপ্রিয় ব্যঞ্জন। রসা অর্থে রসযুক্ত। রসায় আদা বা পেঁয়াজ কুচি কুচি দেওয়ার পরিবর্তে বেঁটে রসটুকু দিতে হয়।[১] রসা অপেক্ষাকৃত অধিক মশলাযুক্ত এবং স্বল্প ঝোলযুক্ত একটি মাখা মাখা পদ।[১] রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র কচি পাঁঠা ও হরিণের মাংসের রসার কথা উল্লেখ করেছেন।[২] পূর্ণিমা দেবী তার 'ঠাকুরবাড়ির রান্না'য় আলু কড়াইশুটির রসার উল্লেখ করেছেন।[৩] আমিষের মধ্যে ইলিশ, কাতলা, বোয়াল মাছের ও মুরগীর এবং নিরামিষের মধ্যে ফুলকপি, ছানা ইত্যাদির রসা জনপ্রিয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ দত্ত, মিলন (অক্টোবর ২০১৫)। বাঙালির খাদ্যকোষ (প্রথম সংস্করণ)। কলকাতা: দে'জ পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৩৪৮। আইএসবিএন 9788129524164।
- ↑ রায়, প্রণব (জুলাই ১৯৮৭)। বাংলার খাবার। কলকাতা: সাহিত্যলোক। পৃষ্ঠা ১৪।
- ↑ দাশগুপ্ত, সোহিনী (৭ মে ২০১৭)। "The tacit art of Tagore's kitchen"। ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস (ইংরাজি ভাষায়)। এসেল গ্রুপ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৮।