জাল তেক্কে
জাল তেক্কে | |
---|---|
স্থানীয় নাম আলবেনীয়: Teqeja e Zallit | |
![]() সবুজ গম্বুজবিশিষ্ট জাল তেক্কের পশ্চাৎদৃশ্য | |
অবস্থান | গিরোকাস্ত্র |
স্থানাঙ্ক | |
নির্মিত | ১৭৮০ |
অবৈধ উপাধি |
জাল তেক্কে (আলবেনীয়: Teqeja e Zallit) অথবা আসিম বাবা তেক্কে (তুর্কি: Âsım Baba Tekkesi) আলবেনিয়ার গিরোকাস্ত্র শহরে অবস্থিত একটি বেকতাশি তেক্কে। এটি একটি স্বীকৃত আলবেনিয়ার সাংস্কৃতিক নিদর্শন।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এই তেক্কে ১৭৮০ সালে ইস্তানবুলের উস্কুদার এলাকা থেকে আগত সাইয়্যিদ মুহাম্মদ আসিম বাবা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি “জাল তেক্কে” বা “পাথরের তেক্কে” নামেও পরিচিত, কারণ এটি একটি সাধারণত শুষ্ক নদীখাতের পাশে অবস্থিত।[২]
তেক্কেটি দীর্ঘ সময় ধরে নিম্নোক্ত বাবাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল:[২]
- আসিম বাবা (১৭৮০–১৭৯৬)
- হাসান বাবা তুরকু (১৭৯৬–১৭৯৮)
- গিরোকাস্ত্রের সুলেইমান বাবা (১৭৯৮–১৮০৬)
- আলি বাবা গেগা (১৮০৬–১৮৩০)
- ক্রুয়ার হাজি ইয়াহিয়া বাবা (১৮৩০–১৮৩৬)
- ইব্রাহিম বাবা তুরকু (১৮৩৬–১৮৪৬)
- এলবাসানের হুসেইন বাবা (১৮৪৫–১৮৬১)
- এলবাসানের আলি হাকি বাবা (১৮৬১–১৯০৭)
- এলবাসানের সেলিম রুহি বাবা (১৯০৭–১৯৪৪)
তেক্কেটিতে একসময় একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার ছিল, যেখানে আরবি, ফারসি, তুর্কি এবং পরবর্তীতে আলবেনীয় ভাষার পাণ্ডুলিপি ও বই সংরক্ষিত ছিল।
বাল্কান যুদ্ধের সময় এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ৩ বছরের জন্য তেক্কেতে গ্রিক সেনারা অবস্থান করেছিল। সেই সময় তেক্কেতে কোনো বাবা বা দরবেশ ছিলেন না। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাবা ও দরবেশগণ ফিরে আসেন এবং ১৯১৬ সালে তেক্কেটির পুনর্নির্মাণ করা হয়।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Religious buildings with the "Culture Monument" status"। Republic of Albania National Committee for Cult। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ ক খ গ Elsie, Robert (২০১৯)। The Albanian Bektashi: history and culture of a Dervish order in the Balkans। I.B. Tauris। আইএসবিএন 978-1-78831-569-2।