মোল্লা জালাল উদ্দীন আহমেদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(মোলা জালালউদ্দিন আহমেদ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
মোল্লা জালাল উদ্দীন আহমেদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মমোল্লা জালাল উদ্দীন আহমেদ
১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৬
গোপালগঞ্জ
মৃত্যু১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৯(1979-12-18) (বয়স ৫৩)
ঢাকা
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তা ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
পেশাজাতীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, আইনজীবী

মোল্লা জালাল উদ্দীন আহমেদ (১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৬ - ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৯) ছিলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৭২-১৯৭৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ফরিদপুর-১১ফরিদপুর-১০ আসনের তিনি সাবেক সংসদ সদস্য।[১]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

মোল্লা জালাল উদ্দীন আহমেদ গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামে ১৯২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।[২]

১৯৫২ সাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রী এবং ১৯৫৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনা শেষ করে ঢাকা কোর্টে আইন পেশায় যোগ দেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মোল্লা জালাল উদ্দীন আহমেদ পেশাগত জীবনে একজন আইনজীবী ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

রাজনীতি[সম্পাদনা]

মোল্লা জালাল উদ্দীন আহমেদ ছাত্র অবস্থা থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। তিনি বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।

১৯৪১ সালে তাকে ফরিদপুর শহর শাখার সভাপতি করা হয়। এরপর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট রেফারেন্ডামে নেতৃত্বদানকারী এবং আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্যদের একজন ছিলেন।

১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবেতনভুক কর্মচারীদের ধর্মঘট চলছিলো, তিনি উক্ত ধর্মঘটে সমর্থন করেন ও আন্দোলন পরিচালনার দায়ে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে বহিষ্কৃত হন।

১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।[২]

ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি একজন ভাষা সৈনিক। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয়দফা আন্দোলনকালে নিরাপত্তা আইনে তিনি গ্রেফতার হন। তাকে জেলে বন্দি রাখা হয়।

১৯৬৮ সালে জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন। ১৯৬৯ সালে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান কর্তৃক রাওয়ালপিন্ডি গোলটেবিল বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন।[২]

১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের দূত হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন। বৈরুতে তিনি বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ছিলেন।

১৯৭২-৭৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক, তার ও টেলিফোন দফতরের এবং পরে বন, মৎস্য ও পশুপালন, ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।[২]

 ১৯৭৪ সালে স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১১ আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩]

১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মোল্লা জালাল উদ্দীন আহমেদ ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৯ সালে ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rahman, Syedur। Historical Dictionary of Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Scarecrow Press। পৃষ্ঠা 306। আইএসবিএন 9780810874534। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৬ 
  2. "আহমদ, মোল্লা জালালুদ্দিন - বাংলাপিডিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০১ 
  3. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।