মেরি লুপ্লাউ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেরি লুপ্লাউ (c.১৯১০)

হেনরিয়েট মারি অ্যান্টোনেট লুপ্লাউ (সেপ্টেম্বর ৭, ১৮৪৮ - আগস্ট ১৬, ১৯২৫) ছিলেন একজন ডেনিশ শিল্পী, শিক্ষাবিদ এবং নারী আন্দোলনে স্বক্রিয় অংশগ্রহনকারী। তিনি তার সঙ্গী, শিল্পী এমিলি মুন্ডের সাথে কোপেনহেগেনে মহিলাদের জন্য একটি আর্ট স্কুল পরিচালনা করেন। [১]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

মেরি লুপ্লাউ জুটল্যান্ড উপদ্বীপের ভার্দেতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি এক গ্রামীন যাজক ড্যানিয়েল কার্ল এরহার্ড লুপ্লাউ এবং একজন নারীবাদী সংবাদপত্র প্রকাশক এবং ভোটাধিকারী লাইন লুপ্লাউ- এর কন্যা ছিলেন। তিনি ভিলহেম কিনের সাথে শিল্প অধ্যয়ন করেছিলেন। ভিলহেম কিন ছিলেন কোপেনহেগেনের কয়েকজন বিশিষ্ট প্রশিক্ষকের মধ্যে একজন যিনি মহিলা ছাত্রদেরও শিক্ষাদান করতে ইচ্ছুক ছিলেন। [২] তিনি বিশদ অধ্যয়নের জন্য জন্য বেশ কয়েক বছর মিউনিখে অতিবাহিত করেন এবং তারপর অ্যাকাডেমি কলারোসিতে পড়াশোনা করার জন্য প্যারিসে চলে যান।

১৮৭৫ সালে, ডেনিশ উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন (ডি কে) -এর সহায়তায় লুপ্লাউ এবং অন্য পাঁচজন মহিলা শিল্পী ডেনমার্কের আর্ট একাডেমিতে পড়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি মহিলা ছাত্রীদের ভর্তি নিতনা। তার ফলে কাজের মান ও শিক্ষাগত যোগ্যতা বিচার না করেই লুপ্লাউসহ ওই সকল মহিলা আবেদনকারীকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। [৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

গ্যামেল কোঙ্গেভেজ ১৩৬-৩৮; যে বিল্ডিংটিতে লুপলাউয়ের বাড়ি এবং পেইন্টিং স্কুল ছিল

১৮৮৬ সালে, মেরি লুপলাউ এবং এমিলি মুন্ড্ট কোপেনহেগেনে তাদের বাড়িতে একটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৮৮৮ সালে আর্ট একাডেমির প্রোগ্রামগুলিতে মহিলাদের ভর্তির প্রস্তুতির জন্য এই স্কুলটি খোলা হয়েছিল। স্কুলটি ১৯১৩ সাল পর্যন্ত স্বক্রিয় ছিল। স্কুলটি ফ্রেডেরিকসবার্গের গ্যামেল কঙ্গেভেজ ১৩৬-৩৮ এ অবস্থিত ছিল। ভবনটির মালিক ছিলেন আলবার্ট নিকোলাই শিওল্ডান । [৪] তাদের উল্লেখযোগ্য ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন এমিলি ডেম্যান্ট হ্যাট, অ্যাস্ট্রিড ভালবর্গ হোলম এবং অলিভিয়া হোলম-মোলার ।

মারি লুপ্লাউ, নারী আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে (১৮৯৭)

তিনি মহিলাদের স্বাস্থ্য এবং পোষাক সংস্কার সম্পর্কেও সরব ছিলেন এবং এই বিষয়ে বিভিন্ন রচনা লিখেছিলেন। তার সমস্ত লেখনির বিষয়বস্তু একত্রিত করে ১৮৯৪ সালের প্রবন্ধ "অন সাইক্লিং ফর উইমেন" ("ওম সাইক্লিং ফর ড্যামের") এ সংকলিত করা হয়েছে। [৫]

১৯১৭ সালের তথ্য অনুসারে জানা যায় যে ম্যারি লুপ্লাউ-এর অংকিত তার মা -এর চিত্র এবং অন্যান্য ডেনিশ নারীবাদীদের আঁকা চিত্রকর্ম ডেনিশ পার্লামেন্ট ভবনে বহুকাল ধরে অসংরক্ষিত অবস্থায় পরে ছিল।। আরহাসের মহিলা জাদুঘর ২০০৭ সালে লুপ্লাউ এবং মুন্ডের কাজের একটি প্রদর্শনী আয়োজন করেছিল। [৬]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

মেরি স্টেন : মেরি লুপ্লাউ এবং এমিলি মুন্ড তাদের ফ্রেডেরিকবার্গের বাড়িতে, গ. ১৮৮৫
মেরি লুপ্লাউ এবং এমিলি মুন্ড তাদের দত্তক কন্যা কার্লা মুন্ড লুপ্লাউ (১৯১৫) এর সাথে

মারি লুপ্লাউ -এর সাথে এমিলি মুন্ডের দেখা হয় যখন তারা দুজনেই ভিলহেম কিনের ছাত্র ছিলেন। তারা সারাজীবন একসাথে বসবাস এবং কাজ করেছেন এবং ১৮৯১ সালে তারা কার্লা মুন্ড-লুপলাউ নামক একটি কন্যাকে দত্তক নেয়। লুপ্লাউকে তার চেহারা, অনুপযোগী পোশাক, ছোট-কাটা চুল এবং সিগার, ধূমপান, সাইকেল চালানো ইত্যাদি অভ্যাসের জন্য কটু সমালোচনা শুনতে হয়েছিল। [২]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Luplau, Henriette Marie Antonette"Dansk Kvindebiografisk Leksikon। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১, ২০২১ 
  2. Barbara Sjoholm, "What We Want: The Art of Marie Luplau and Emilie Mundt" Feminist Studies 35(3)(Fall 2009): 549-572.
  3. Inga Christensen, "Early 20th Century Danish Women Artists in Light of DeBeauvoir's The Second Sex" Woman's Art Journal 9(1)(Spring-Summer 1988): 10.
  4. "Gl. Kongevej 136-138 – det hemmelige kunstnerkollektiv" (Danish ভাষায়)। Frederiksberg City Archives। ৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  5. Marianne Thesander, The Feminine Ideal (Reaktion Books 1997): 102. আইএসবিএন ৯৭৮১৮৬১৮৯০০৪৭
  6. "Symbiose af liv og kunst" Kvindemuseet Denmark, August 30-December 30, 2007.