মেডেনস হোটেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেডেনস হোটেল
মানচিত্র
হোটেল চেইনওবেরয় হোটেলস এবং রিসোর্টস
সাধারণ তথ্য
ঠিকানাসিভিল লাইন্স, দিল্লী
কার্যারম্ভ১৯০৩
ওয়েবসাইট
www.maidenshotel.com

মেডেনস হোটেল দিল্লিতে অবস্থিত একটি হোটেল যাকে ওবেরয় মেডেনস হোটেল নামেও জানা যাই এবং গোড়ায় যাকে মেডেনস মেট্রোপলিটন হোটেল বলা হত সেই হোটেল টি দিল্লির সিভিল লাইনস অঞ্চলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্য সম্পন্ন হোটেল| ১৯০৩ সালে খোলা এই হোটেল টি দিল্লিতে প্রথম দিকে খোলা আধুনিক হোটেল গুলোর মধ্যে একটি এবং এটি সেই জায়গায় তৈরী করা হযেছে যেখানে সব ইউরোপীয় শৈলী হোটেল গুলো অবস্থিত এবং যেখানে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তারা এসে থাকতেন|[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মূল হোটেল টি ১৮৯৪ সাল থেকে যৌথভাবে দুই ইংরেজ, মেডেন ভাই দের দ্বারা পরিচালিত হত এবং ১৯০২ সাল থেকে তার বর্তমান অবস্থানের মধ্যে থেকে জে| মেডেন এটার পরিচালনা করত| বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই হোটেলটিকে দিল্লির সেরা হোটেল হিসেবে বিবেচনা করা হত| ১৯০৩ সালে যখন লর্ড কার্জন দ্বারা অভিষেক দরবার অনুষ্ঠিত হয় যেটা এডওয়ার্ড সপ্তম এর ভারতের সম্রাট হিসাবে রাজ্যাভিষেক হওয়ার আনন্দে ছিল তখন কার সময়ে এই মেট্রোপলিটন হোটেল দিল্লির সব থেকে দামী হোটেল ছিল থাকার জন্য|

আজ এই হোটেল ওবেরয় হোটেলস ও রিসর্টস চেন এর একটি অংশ|[১][২]

খাদ্য এবং পানীয়[সম্পাদনা]

এই হোটেল এ খাবার জন্য তিনটে জায়গার ব্যবস্থা আছে যার নাম হল যথারুপে-

  • দি কার্জন রুম
  • দি গার্ডেন টেরেস
  • দি কাভালরী বার

এর মধ্যে কার্জন রুমের দেওয়ালে ৭০ টারও বেশি অনন্য এবং বিস্ময়কর ছবি দিয়ে সাজানো হযেছে| এখানে ইউরোপীয় এবং ভারতীয় খাবার পরিবেশন করা হয়| দি গার্ডেন টেরেস এ একটি তদর্থক কফি শপ আছে যার মধ্যে একটি সুন্দর উঠোন ও আছে| এখানে বায়ুমণ্ডল খুব আনন্দদায়ক যেটা বই পড়া এবং কথোপকথন জন্য আদর্শ জায়গা| দি কাভালরী বার হল ১৯ শতকের গোড়ার দিকের একটি বার যেখানে আদেশ অনুযায়ী পানীয় সরবরাহ করা হয়|[৩]

বাসভবন[সম্পাদনা]

এই হোটেল এ থাকার জন্য নিম্নলিখিত চার ধরনের ঘরের ব্যবস্থা আছে –

  • হেরিটেজ রুম
  • প্রিমিয়ার রুম
  • ডিলাক্স সুইট
  • লাক্সারি সুইট

এখানে গেস্টরা তাদের স্বার্থ এবং চাহিদা অনুযায়ী চয়ন করতে পারেন|

  • হেরিটেজ রুম, হেরিটেজ উইং এর প্রথম তলায় অবস্থিত. এই কোষের শিল্প, ১৯ শতকের কারুকার্য মনে করিয়ে দেয়|
  • প্রিমিয়ার রুম টি হল একটি নতুন আপডেটেড ঘর কিন্তু এর ভিতরটা পুরানো আমলের ঝলক এ ভর্তি|
  • ডিলাক্স সুইট হল একটি নতুন আপডেটেড সুইট যার বৈশিষ্ট্য গুলোকে উন্নত এবং আপগ্রেড করা হয়েছে| এর মধ্যে প্রাচীন কালের ঝলক এর সাথে সাথে নতুন বৈশিষ্ট্য ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে|
  • লাক্সারি সুইট হল এই হোটেলের সর্ব শ্রেষ্ঠ থাকার কোষ যার মধ্যে কিং সাইজ বেড, বড় টিভি এবং বড় বৈঠকখানার সাথে আরও অনেক ভালো ভালো সুবিধা প্রদান করা হযেছে|

সেবা[সম্পাদনা]

হোটেলের সমস্ত কক্ষ কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং ব্যক্তিগত রুমে তাপমাত্রা পরিবর্তন, ইত্যাদির ব্যবস্থাপনা আছে যেমন মিনি বার, ২৪-ঘণ্টা স্যাটেলাইট চ্যানেল, বেতার ইন্টারনেট, সরাসরি ডায়াল টেলিফোন এবং আরও অনেক|[৪]

উপহার হিসাবে গেস্ট দের কিছু সামগ্রী দেওয়া হয় যেমন

  • মিনারেল ওয়াটার বোতল
  • কুকিজ বা ফলের ঝুড়ি এবং
  • সুইমিং পুল ব্যবহারে ডিসকাউন্ট, ইত্যাদি|[৫]

সভা[সম্পাদনা]

এই হোটেল এ সেমিনার এবং সম্মেলন ইত্যাদির জন্য উন্নত প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত রুম আছে| এই কোষগুলিতে অডিও মতামত প্রেরণের জন্য অর্থ প্রদান করা হয় এবং সহায়তার জন্য সবসময় কর্মীরা উপস্থিত থাকে|[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "লজদ ইন দি হার্ট অফ নিউ দিল্লি"। Hindustan Times। আগস্ট ৩০, ২০১১। জানুয়ারি ২৫, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৯, ২০১৫ 
  2. "আদার গ্রুপ হোটেল"। ওবেরয় হোটেলস ও রিসর্টস। 
  3. "ডাইনিং"। মেদেন্স হোটেল। 
  4. "হোটেলের বৈশিষ্ট"। Cleartrip.com। 
  5. "একোমোডেসন"। মেদেন্স হোটেল। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "মিটিং"। মেদেন্স হোটেল। 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

এক্সটার্নাল লিংক[সম্পাদনা]