মৃত্যুকালীন জবানবন্দী
মৃত্যুকালীন জবানবন্দী (Dying Declaration) হলো আদালত প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত একটি পরিভাষা যা ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের (Indian Evidence Act -1872) ৩২ নং ধারার (১) উপধারা বলে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রাহ্য করা হয়। সাধারণভাবে ব্যক্তির দেওয়া মৌখিক সাক্ষ্য সেই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নয়, মৃত্যুকালীন জবানবন্দী সেক্ষেত্রে একটি বিশেষ ব্যতিক্রম।[১]
শর্ত
[সম্পাদনা]মৃত্যুকালীন জবানবন্দী প্রাসঙ্গিক হতে গেলে মূলত: ১) সাক্ষ্যদানকারীর মৃত্যু হতে হবে ২) জবানবন্দী তার মৃত্যুর কারণ বা মৃত্যুর সাথে সরাসরি সম্পর্ক যুক্ত হতে হবে ৩) মৃত্যুর কারণ প্রশ্নাধীন বিষয় হতে হবে।
আইনানুসারে জবানবন্দী নথিবদ্ধকারী যদি প্রসাশনিক (Executive) বা বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (Judicial) নাও হন তবু সেই সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে। সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি, পুলিশ, ডাক্তার এই সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারেন অবস্থার প্রেক্ষিতে। মৃত্যুকালীন জবানবন্দী কোনো বিশেষ ব্যক্তিকেই নথিবদ্ধ করতে হবে এমন কোনো বাঁধাধরা নিয়ম ভারতীয় সাক্ষ্য আইনে নেই।
মূল্য ও গুরুত্ব
[সম্পাদনা]মৃত্যুকালীন জবানবন্দী আদালতে শপথনামাপূর্বক নেওয়া হয় না বা তার প্রতি-পরীক্ষা (Cross Examination) ও করার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই সাক্ষ্য 'অন্যের শোনা সাক্ষ্য' (Hearsay Evidence) হিসেবে ব্যতিক্রমীভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে আদালতের বিবেচনায়। জবানবন্দীর বিশ্বাসযোগ্যতা, প্রাসঙ্গিক পরিস্থিতি বিচার করে আদালত যদি মনে করেন তবে এই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অপরাধীকে দোষী সাব্যস্তও করতে পারেন।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Dying Declaration"। LSI। ২৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 19.01.2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ মেজর ক্রিমিনাল এক্টস (২০১৪)। ভারতীয় সাক্ষ্য আইন। কলকাতা: ল'ম্যান পাবলিশিং হাউস। পৃষ্ঠা ৫৮ (৩)।