মুহাম্মদ জমির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুহাম্মদ জমির বাংলাদেশের একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা।[১] তিনি সাবেক সচিব।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, জমির মিশরে পাকিস্তান দূতাবাসে অবস্থান করছিলেন এবং আরবি অধ্যয়ন করছিলেন।[৩] তিনি প্রবাসে থাকা বাঙালি সরকারের পক্ষে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মিশরে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের কাছ থেকে একটি কভার বার্তা পান যা তিনি করতে সম্মত হন।[৩]

জমির ২০০৩ সালে ব্রাসেল ভিত্তিক ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।[৪]

৩১ মার্চ ২০১০ তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার নিযুক্ত হন।[৫] তার কমিশনার ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ আবু তাহের এবং অধ্যাপক সাদেকা হালিম[৬] তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের অফিস থেকে সাংবাদিকদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের সাথে একমত নন।[৭] তিনি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল কালাম আজাদের সাথেও দ্বিমত পোষণ করেন যিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকার করেন এবং বলেছিলেন যে তারা তার সাথে কথা বলার "অনুমোদিত" নন।[৮]

জমির ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ পর্যন্ত তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫] তিনি মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[৯]

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে জমির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপদেষ্টা পরিষদে নিযুক্ত হন।[১০][১১] জুলাই ২০১২ থেকে জুন ২০১৫ পর্যন্ত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের স্বাধীন আপিল প্যানেলের সদস্য ছিলেন। [১০]

জমির বাংলাদেশ ফোকলোর রিসার্চ সেন্টারের সভাপতি।[১০] তিনি বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য শক্তি সোসাইটির চেয়ারম্যান।[১২]

২০১৭ সালের জুলাইয়ে জমির ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার স্বাধীন স্থায়ী মানবাধিকার কমিশনে নির্বাচিত হন।[১৩]

পারিবারিক[সম্পাদনা]

তার স্ত্রী নাসরিন জমির ঢাকায় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অনারারি কনসাল, ইনটেরিয়র ডিজাইনার, ব্যবয়ায়ী এবং নারী উদ্যোক্তা।[১৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Report, Star Online (২০১৭-০৭-১২)। "Muhammad Zamir elected as IPHRC member"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮ 
  2. "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 726"archive.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮ 
  3. Tripathi, Salil (২০১৬-০১-০১)। The Colonel who Would Not Repent: The Bangladesh War and Its Unquiet Legacy (ইংরেজি ভাষায়)। Yale University Press। পৃষ্ঠা 104। আইএসবিএন 978-0-300-21818-3 
  4. Publications, Europa Europa (২০০৩)। The Europa World Year Book 2003 (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 200। আইএসবিএন 978-1-85743-227-5 
  5. "Information Commission Bangladesh"www.infocom.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮ 
  6. Staff Correspondent (২০১০-০৩-৩০)। "Zamir to be made chief information commissioner"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮ 
  7. Sarkar, Kailash (২০১২-০৬-২৯)। "ACC slaps restrictions on media"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮ 
  8. "Drug DG's anti-RTI sermon"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-১০-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮ 
  9. "Ambassador Zamir elected to OIC-IPHRC"Dhaka Tribune। ২০১৭-০৭-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮ 
  10. "PROFILE OF AMBASSADOR (Rtd.) MUHAMMAD ZAMIR" (পিডিএফ)oic-iphrc.org। ১৮ জুন ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৩ 
  11. "Muhammad Zamir made AL advisory council member"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৯-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮ 
  12. "Form an agency for renewable energy"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০৬-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮ 
  13. Correspondent, Senior। "Ambassador Muhammad Zamir is elected as new member of OIC's Human Rights Commission"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮ 
  14. ঢাকায় লুক্সেমবুর্গের অনারারি কনসাল নাসরিন জমির, বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ৯ জুন ২০১৬