মুহাম্মদ ঘোরি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুইজউদ্দিন ঘুরি সাম্রাজ্যের অন্যতম মহান শাসক ছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম শাসনের ভিত্তি তিনি স্থাপন করেছেন। তার শাসনাধীন অঞ্চলসমূহের মধ্যে রয়েছে বর্তমান আফগানিস্তান, ইরান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারত।

১১৭৩ খ্রিষ্টাব্দে মুইজউদ্দিন গজনি শহর দখল করে নেন। তিনি উত্তর ভারতে অভিযানের জন্য এই শহরকে সূচনাস্থল হিসেবে ব্যবহার করেন।[১] এ সময়ে পশ্চিম এশিয়ায় বৃহত্তর খোরাসানের আধিপত্য নিয়ে খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্যের সাথে প্রতিযোগীতায় তিনি তার ভাই গিয়াসউদ্দিনকে সহায়তা করেন। ১১৭৫ খ্রিষ্টাব্দে হামিদ লুদি রাজবংশের কাছ থেকে মুইজউদ্দিন মুলতান জয় করেন। হামিদ লুদিরা পশতু ছিল তবে ইসমাইলি শিয়াদের সাথে তাদের সংযোগের কারণে অনৈসলামিক বলে অভিযোগ ছিল। ১১৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি উচ অধিকার করেন। এছাড়াও তিনি ১১৮৬ খ্রিষ্টাব্দে লাহোরের গজনভি রাজ্যকে নিজ অধিকারে নিয়ে আসেন। এটি ছিল তার সর্বশেষ পারস্যায়িত প্রতিপক্ষ।[১] ১২০২ খ্রিষ্টাব্দে গিয়াসউদ্দিনের মৃত্যুর পর মুইজউদ্দিন ঘুরি সাম্রাজ্যের শাসক এবং ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত শাসন করেন।

এ সময় ঘুরি নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা দেয়। ১২১৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে খোয়ারিজমীয়রা ঘুরি সালতানাতের উপর জয়ী হয়। ঘুরি সাম্রাজ্য ভেঙে পড়লেও তৈমুরীয়দের আগমনের আগ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু ঘুরি রাজ্য টিকে ছিল। মুইজউদ্দিনের বিজয় অভিযান ভারতে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। মুইজউদ্দিনের একজন সাবেক দাস কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লির প্রথম সুলতান ছিলেন।