মুহাম্মদ আখতার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুহাম্মদ আখতার
মৃত্যু১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১
পেশাসাংবা্দিক, বুদ্ধিজীবী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ

মুহাম্মদ আখতার ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের একজন। [১] নিজগৃহে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে তিনি রাজাকার-আলবদরদের রোষানলে পড়েন। সত্তরের দশকে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ললনা নামে নারীদের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রচলিত ছিল। মুহাম্মদ আখতার ছিলেন এই পত্রিকার কর্মাধ্যক্ষ।

জন্ম ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মুহাম্মদ আখতারের জন্ম টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি গ্রামে ১৯৪০ সালের ১৯ জানুয়ারি। বাবা হাফেজ মীর মো. হাসান। ১৯৫৭ সালে তার স্কুলশিক্ষা সম্পন্ন হয় টাঙ্গাইলে। এরপর ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে তিনি কিছুদিন পড়াশোনা করেন। ষাট দশকের মাঝামাঝি ঢাকায় এসে তিনি সাংবাদিকতা, বিশেষ করে মুদ্রণশিল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন।এরপরে যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে, সংশোধনী বিভাগে। বাংলা বর্ণমালার সংস্কার নিয়ে বেশ কয়েকটি নিবন্ধ লেখেন তিনি। তিনি রেডিও পাকিস্তানের এলান পত্রিকার প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত হন। পরে তিনি ইস্টার্ন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজেস লিমিটেডে যোগ দেন। এখান থেকেই প্রকাশিত হতো সাপ্তাহিক ললনা।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]

মুহাম্মদ আখতার ঢাকার পুরানা পল্টনের একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। সেখান থেকে পৃথিবী নামে একটি পত্রিকা প্রকাশনা করতেন তিনি। যদিও মুক্তিযুদ্ধে পত্রিকাটির স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা ছিল। পত্রিকার সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী আলবদর বাহিনীর সদস্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাসায় মুক্তিযোদ্ধারা আশ্রয় নিতেন। অনেককে তিনি প্রথমে নিজের বাসায় রেখে পরে কুমিল্লার রামচন্দ্রপুরের পথে আগরতলা যাবার পথ-ঘাট চিনিয়ে দিতেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর প্রগতিশীল ও স্বাধীনতাপ্রিয় মুহাম্মদ আখতারকে তার বাসা থেকে আলবদররা ধরে নিয়ে যায়। ১৮ ডিসেম্বর রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে আরও অনেকের সঙ্গে তার বিকৃত মরদেহ পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "উপেক্ষিতই রয়ে গেলেন ধনবাড়ীর শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ আখতার"banglanews24.com। ২০১৯-১২-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১২