বিষয়বস্তুতে চলুন

মিশরীয় (নবি)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মিশরীয় ছিল ১ম শতাব্দীর একজন মহিশীয় ইহুদি বিদ্রোহী নেতা। তার বিদ্রোহ যিহূদীয়ার রোমান প্রশাসক আন্তোনিয়াস ফেলিক্স (শা. ৫২-৬০ খ্রিস্টাব্দ) দ্বারা দমন করা হয়েছিল ও যখন তার অনেক অনুসারীকে হত্যা ও বন্দী করা হয়েছিল তখন মিশরীয় পালিয়ে গিয়েছিল, বাকিরা নিজেদের পালিয়ে যেতে ও লুকানোর ব্যবস্থা করে।

ফ্লাভিয়াস জোসেফাস তার ইহুদি যুদ্ধে লিখেছেন (২.২৬১-২৬২)

একজন মিশরীয় ভন্ড নবী ছিল যে ইহুদিদের দিয়ে পূর্বের চেয়ে বেশি অনিষ্ট করিয়েছিল; কারণ সে ছিল একজন প্রতারক ও নিজেকে নবি বলেও জাহির করত এবং তার দ্বারা প্রতারিত ত্রিশ হাজার লোককে একত্র করেছিল৷ সে তাদেরকে মরুভূমির থেকে জলপাই নামের পর্বতের চারদিকে নিয়ে গেল৷ সে সেই জায়গা থেকে জোরপূর্বক জেরুসালেম প্রবেশ করতে প্রস্তুত ছিল; এবং যদি সে একবার রোমান সেনা ও জনগণকে উপর বিজয় লাভ করতে পারে তবে সে তার সেই রক্ষীদের সহায়তায় তাদের শাসন করতে চেয়েছিল যারা তার সাথে শহরে প্রবেশ করবে। ফ্লাভিয়াস জোসেফাস, ইহুদি যুদ্ধ, ২.২৬১-২৬২[]

প্রেরিতদের আইন নামক খ্রিস্টধর্মীয় গ্রন্থে জেরুসালেমের রোমান সেনাদের নির্দেশক (চিলিয়ার্ক), ক্লডিয়াস লিসিয়াস, পৌলকে মিশরীয় ভেবে ভুল করে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বলেছিল যে "তুমি কি সেই মিশরীয় নও যে বিদ্রোহ শুরু করেছিল এবং কিছু সময় পূর্বে চার হাজার সন্ত্রাসীকে মরুভূমিতে নিয়ে গিয়েছিল?"[]

বেলজীয় ক্যাথলিক ধর্মতাত্ত্বিক এডওয়ার্ড শিলিবেকক্স (১৯১৪-২০০৯) এই মিশরীয়কে একজন 'মিশরীয় ইহুদি পরকালবিদ্যায় মোজেজা দেখানো নবি' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন যিনি জেরুসালেমের দেয়াল ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যিহোশূয় ৬-এ জেরিকোর পতিত প্রাচীরের ন্যায় এবং তাকে রোমান প্রকিউরেটর কুসপিয়াস ফাদুস (শা. ৪৪-৪৬ খ্রিস্টাব্দ)-এর আমলের থিসাসুদের এবং অন্য একজন 'পরকালবিদ্যার নবির সাথে তুলনা করেছিলেন যিনি রোমান প্রকিউরেটর পোরসিয়াস ফেস্টাস (শা. ৫৯-৬২ খ্রিস্টাব্দ) এর সময়ে অলৌকিক ঘটনা এবং সমস্ত দুঃখ থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার অনুসারীদেরকে মরুভূমিতে নিয়ে গিয়েছিলেন'।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Messianic claimants (10) The Egyptian prophet"। ১০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  2. Acts.
  3. Schillebeeckx, Edward (১৯৭৪)। Jezus, het verhaal van een levende (ওলন্দাজ ভাষায়)। Uitgeverij H. Nelissen B.V.। পৃ. ৩৬৫–৩৬৬। আইএসবিএন ৯০ ২৪৪ ১৫২২ ৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২০